ঝিনাইদহে প্রবাসীকে মেরে মাথা ফাটিয়ে দিলো ইউপি সদস্য

ঝিনাইদহ প্রতিনিধি প্রকাশিত: এপ্রিল ১, ২০২৪, ০৫:২৩ পিএম

৫লক্ষ টাকা চাঁদা না দেওয়ায় ঝিনাইদহের সাগান্না ইউনিয়নের সাগান্না গ্রামের ব্রুনাই প্রবাসী মোশারফ হোসেনের মাথা ফাটিয়ে দিলো একই ইউনিয়নের রাজু মেম্বার। রোববার রাতে তাকে ডেকে রাজু মেম্বারসহ আরো ৪ জনকে সাথে নিয়ে বাঁশের লাঠি দিয়ে মাথা ফাটিয়ে দেয়। রাজু মেম্বার সাগান্না ইউনিয়নের সাগান্না গ্রামের মৃত-নেকবার মণ্ডলের ছেলে ও ৮নং ওয়ার্ডের বর্তমান মেম্বার। আহত প্রবাসী মোশারফ হোসেন আহত অবস্থায় ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে ভর্তি আছে।

আহত ব্রুনাই প্রবাসী মোশারফ হোসেন জানান, দীর্ঘ ১৩ বৎসর আমি ব্রুনাই অবস্থান করি। বিদেশ থাকাকালীন সময় থেকে আমার নিকট চাঁদা চেয়ে আসছিলো রাজু মেম্বার ও তার লোকজন। গত ২১ মার্চ আমি দেশে আসি। এরপর সে আমার নিকট ৫ লক্ষ টাকা চাঁদা দাবি করে। আমি চাঁদা দিতে অস্বীকার করলে আমার উপর ক্ষিপ্ত হয়ে পড়ে। এরপর ২৬ মার্চ আমার এক আত্মীয় অ্যাকসিডেন্ট করায় বাহিরে অবস্থান করি। এসময় রাজু মেম্বার আমার বাড়িতে থাকা দুই নাবালক ছেলে ইমরান ও রাব্বীর নিকট থেকে বাড়ি তালা দিয়ে বাড়ির চাবি নিয়ে চলে যায়। আমি ২৯ মার্চ বাড়িতে আসলে ট্রাক্টরের চাবিও নিয়ে যায়। ঐদিন রাতে ৯৯৯ কল সেন্টারে কল করলে কাতলামাড়ি পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ বাড়ি ও গাড়ির চাবি উদ্ধার করে দিয়ে যায়। গত ৩১ মার্চ রাতে রাজু মেম্বার আমাকে ডেকে নিয়ে যায়। এক পর্যায়ে চাঁদা দিতে অস্বীকার করলে আমাকে জামাল, মনোয়ার, আলম ও ছাত্তার হাত-পা ধারে রাখে আর রাজু মেম্বার লাঠি ও বাশের চটা দিয়ে মাথায় আঘাত করে। এরপর রাজু মেম্বারসহ ৫জন আমাকে কিল-ঘুষি মেরে ফেলে রেখে যায়। আমার পরিবারের লোকজন আমাকে উদ্ধার করে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। আমি বর্তমানে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছি। সুস্থ হয়ে ঝিনাইদহ সদর থানায় মামলা করবো বলেও তিনি জানান।

এ বিষয়ে রাজু মেম্বারের সাথে কথা হলে তিনি জানান, ব্রুনাই প্রবাসী মোশারফ হোসেনের মার-ধরের সময় আমি ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলাম। তবে আমি তার গয়ে হাত দেয়নি এটা তাদের পারিবারিক ঘটনা। এর সাথে জড়িত নয় বলে তিনি জানান।

আরএস