কেএনএফকে নির্মূলে সরকার বদ্ধপরিকর: পররাষ্ট্রমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক প্রকাশিত: এপ্রিল ৬, ২০২৪, ০২:৪৯ পিএম

পার্বত্য চট্টগ্রামে সশস্ত্র গোষ্ঠী কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্টের (কেএনএফ) বিরুদ্ধে সাঁড়াশি অভিযান শুরু হয়েছে। এদের নির্মূল করতে সরকার বদ্ধপরিকর বলে মন্তব্য করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।

শনিবার (৬ এপ্রিল) বেলা সাড়ে ১১টায় চট্টগ্রাম নগরীর দেওয়ানজি পুকুরলেনস্থ ওয়াইএনটি সেন্টারে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলে।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, কেএনএফের সঙ্গে আশেপাশের সন্ত্রাসীদেরও যোগাযোগ আছে। পার্শ্ববর্তী দেশে যারা ইতোমধ্যে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড ঘটিয়েছিল তাদের অস্ত্রশস্ত্র কেএনএফের হাতে এসেছে বলে জানা গেছে। এদের বিরুদ্ধে সাঁড়াশি অভিযান শুরু হয়েছে। তাদেরকে নির্মূল করতে সরকার বদ্ধপরিকর।

সোমালিয়ার জলদস্যুদের হাতে আটক এমভি আবদুল্লাহ’র নাবিকদের ঈদের আগে কাছে পেতে স্বজনরা আকুল আবেদন জানিয়েছেন, নাবিক ও জাহাজের মুক্তির বিষয়ে আলোচনা কতটুকু এগিয়েছে, সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমাদের প্রচেষ্টা আছে, সর্বমুখী প্রচেষ্টা পরিচালনা করা হচ্ছে। যারা হাইজ্যাক করেছে তাদের সাথে আলাপ আলোচনা চলছে। এবং নাবিকরা ভালো আছে। তাদের খাবার-দাবারেরও কোন অসুবিধা নেই, তারা কেবিনে আছে। যেহেতু আলোচনা অনেকদূর এগিয়েছে, আমরা আশা করছি সহসা তাদেরকে মুক্ত করা সম্ভব হবে।

তিনি বলেন, এমভি আবদুল্লাহ’র আশেপাশে বিদেশি জাহাজও প্রস্তুত আছে। আলোচনার পাশাপাশি হাইজ্যাকারদের ওপর নানামুখী চাপও রয়েছে। আমরা আশা করছি সহসা জাহাজ এবং নাবিকদের মুক্ত করা সম্ভব হবে। সেইজন্য দিনক্ষণ বলা সম্ভবপর নয়। তবে, অনেক অগ্রগতি হয়েছে। জাহাজে যারা চাকরি করে ঈদের আগে পরে হিসেব করে তাদের কোন ছুটি হয় না। তারা যায় ছয়মাস কিংবা এক বছরের জন্য। এই জাহাজ যদি হাইজ্যাক নাও হতো তারা ঈদের আগে জাহাজ ছেড়ে পরিবারের সাথে মিলিত হওয়ার কথা ছিল না।

একটি দৈত্য সবকিছু খেয়ে ফেলতেছে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুলের এমন বক্তব্যের বিষয়ে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, হরর সিনেমা যখন দেখা হয় তখন দেখা যায় যে, দৈত্য মানুষ পোড়ায়, আবার সেই পোড়া মানুষের মাংস খায়। বিএনপি যেভাবে মানুষ পুড়িয়ে হত্যা করেছে, মানুষের ওপর হামলা পরিচালনা করেছে, জীবন্ত মানুষকে পুড়িয়ে হত্যা করেছে, তারাই তো দৈত্য। হরর মুভিতে দেখা এসব বিএনপির বেলায়ও প্রযোজ্য।

তিনি বলেন, বিএনপিকে ধ্বংস করার জন্য তারেক জিয়াই যথেষ্ট, আর কাউকে লাগবে না। যতদিন তারেক জিয়া তাদের নেতা থাকবে বিএনপির ততদিন কোন সম্ভাবনা নাই। প্রকৃতপক্ষে বাজার অস্থিতিশীল করার পরিকল্পনার অংশ হিসেবে বিএনপি ভারতীয় পণ্য বর্জনের ডাক দিয়েছিল। কিন্তু তাদের এই ডাকে দেশের কেউ সাড়া দেইনি, এমনকি বিএনপির নেতাকর্মীরাও সাড়া দেইনি। বাজার আমরা মোটামুটি নিয়ন্ত্রণে রাখতে পেরেছি। অনেক পণ্যের দামও কমেছে।

আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেন, কিছু অসাধু ব্যবসায়ী এবং মজুদদার চেষ্টা করেছিল বাজারকে অস্থিতিশীল করার জন্য। এবং সেটির সাথে যুক্ত হয়েছিল বিএনপির ভারতীয় পণ্য বর্জনের ডাক। ঈদকে সামনে রেখে সবসময় বাংলাদেশে অসাধু সিন্ডিকেট চক্র সক্রিয় হয়। সেটিকেও কঠোর হস্তে দমন করার জন্য আমরা বদ্ধপরিকর আছি।

বিআরইউ