যশোরের বেনাপোলে মিথ্যা ঘোষণায় ভারত থেকে আমদানিকৃত সামুদ্রিক মাছের ট্রাকে বিপুল পরিমাণ চিংড়ি মাছ আটক করেছেন কাস্টমস কর্মকর্তারা।
আজ সোমবার বিকেলে বেনাপোল বন্দরের ৩১ নম্বর ট্রান্সশিপমেন্ট ইয়ার্ডে মিথ্যা ঘোষণা দিয়ে সামুদ্রিক মাছের ট্রাকে চিংড়ি আমদানি করে সরকারের ১৫ লক্ষ টাকার রাজস্ব ফাঁকি দেওয়া হচ্ছিল বলে কাস্টমস সূত্র জানায়।
পণ্য চালনটির আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান খুলনার বুলবুল ট্রেডার্স, পণ্য চালানটি খালাসের দায়িত্বে ছিল বেনাপোলের সিএন্ডএফ এজেন্ট শহিদ ট্রেডিং কর্পোরেশন। পণ্য চালানটির ভারতীয় ট্রাক নং- ডই-২৩-ঋ-৮৩০৩ । আমদানিকৃত মাছের কাস্টম বিল অব এন্ট্রি নম্বর সি-৩৭৩৮১ তারিখ:- ২৯/০৪/২৪। যার বিল নম্বর-০০২০৭৩৪০৬। মাছের চালানটিতে ঘোষণা দেওয়া হয়, ৮৭ কার্টুন মাছ যার ঘোষিত নিট ওজন ৫ হাজার ১৭ কেজি, কিন্তু কাস্টমস কর্তৃপক্ষ মিথ্যা ঘোষণায়, ১১ প্যাকেজ মাছ বেশী পায়। আকারে বড় ও অতিরিক্ত ৪৭০ কেজি চিংড়ি মাছ আটক করেন। আমদানিকৃত চিংড়ি মাছের চালানে ১৫ লক্ষ টাকার রাজস্ব ফাঁকি দেওয়া হয়েছে।
বেনাপোল কাস্টমস কমিশনার মো: আব্দুল হাকিম জানান, গোপন সূত্রে খবর পেয়ে ভারত থেকে আমদানি করা একটি সামুদ্রিক মাছের চালানের ট্রাকে তল্লাশি করা হয়। তল্লাশি করে ঘোষণা অতিরিক্ত ১১ প্যাকেজে ৪৭০ কেজি বড় আকারের চিংড়ি মাছ আটক করা হয়।
আমদানিকারকের বিল লক করা হবে এবং সিএন্ডএফ এজেন্টের লাইসেন্স বাতিল করা হবে জানান তিনি।
বিআরইউ