হজযাত্রীদের ভিসা হওয়া নিয়ে কোনো সমস্যা নেই দাবি করে ধর্মমন্ত্রী মো. ফরিদুল হক খান বলেন, সব হজযাত্রী সঠিক সময়ে যাবে, সঠিক সময়ে ভিসা হবে।
মঙ্গলবার (৭ মে) সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এক প্রশ্নের জবাবে ধর্মমন্ত্রী এ কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, ‘ভিসা নিয়ে কোনো সমস্যা নেই। এটা যে যেভাবে বলুক, আমাদের ফ্লাইট যখন যেটা চালু হচ্ছে, আমাদের হজযাত্রীরা টিকিট নিচ্ছে, ভিসা নিচ্ছে, কোনো সমস্যা নেই। আপনারা নিশ্চিত থাকুন, এটা কোনো সমস্যা হবে না। আমরা নির্দ্বিধায় এটা চালিয়ে নিতে পারব, সে সুযোগ আমাদের আছে।’
অর্ধেকের বেশি ভিসা হয়নি তাই অনিশ্চয়তার বিষয়টি ঘুরে ফিরে বারবার আসছে এ বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘আমি আপনাকে বোঝাতে চাই, এ অর্ধেক যারা আছে তারা এই তিন দিনের মধ্যে সবাই চলে যাবে? সমস্যার চিন্তা তো আমাদের বেশি আপনাদের চাইতে। আমরা সমস্যা অনুভব করছি না। আমরা সঠিক সময় আমাদের সব কাজই করতে পারব। এতে কোনো সন্দেহ নেই।’
মন্ত্রী বলেন, ‘হজযাত্রী নেওয়ার দায়িত্ব সৌদি আরব সরকারের। ভিসা দেওয়ার দায়িত্বও তাদের। তারা যদি হজযাত্রী না নিতে পারে ব্যর্থতা তাদের। তবে আমি এটুকু বলতে পারি আমাদের পক্ষ থেকে এবং সৌদি সরকারের পক্ষ থেকে, সব হজযাত্রী সঠিক সময়ে যাবে, সঠিক সময়ে ভিসা হবে।’
ভিসা আবেদনের সময় কতদিন বেড়েছে তা সুনির্দিষ্টভাবে জানাতে চাননি ধর্মমন্ত্রী। কারণ সময় জানলে গতি কমে যায়, সবাই যেন স্বল্প সময়ের মধ্যে ভিসা আবেদন করে ফেলে এজন্য তিনি শেষ সময়টা জানাতে চান না। তবে ধর্ম মন্ত্রণালয় থেকে জানা গেছে, আগামী ১১ মে পর্যন্ত ভিসা আবেদন করা যাবে।
সমুদ্রপথে জাহাজে করে হজ করার বিষয়ে আলোচনা করা হচ্ছে জানিয়ে ধর্মমন্ত্রী মো. ফরিদুল হক খান বলেছেন, তবে সৌদি সরকার বিষয়টি ‘এনকারেজ’ করছে না।
তিনি বলেন, ‘আলোচনা করলেও আমাদের চিন্তা ধারাটা এমন, ডেডিকেটেড ফ্লাইটে আমরা হজ যাত্রী পাঠাচ্ছি। আমরা যখন জাহাজে পাঠাবো তখন তো ডেডিকেটেড ফ্লাইট আর হবে না। কারণ সমুদ্রপথে যাবে তাদের জন্য সেই জায়গায় আবার বাংলাদেশ এবং সৌদি আরব দুই অংশেই ইমিগ্রেশন হয়, সেই ইমিগ্রেশন তখন তো আবার একবার গিয়ে চিটাগাং পড়বে, আবার জেদ্দা পড়বে। এগুলো তো আর হবে না।’
মন্ত্রী বলেন, ‘সৌদি সরকার অনেকটা বলা চলে এটা ইনকারেজ করছে না। তারা বলছে এটাই (বর্তমান ব্যবস্থা) সবচেয়ে ভালো।’
আরএস