প্রবল ঘূর্ণিঝড় রিমালের প্রভাবে সারা দেশে ভারি বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। সোমবার (২৭ মে) সকালে এ তথ্য জানায় আবহাওয়া অফিস।
আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়, প্রবল ঘূর্ণিঝড় রিমালের প্রভাবে রাজশাহী, রংপুর, ময়মনসিংহ, ঢাকা, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগে দমকা/ঝোড়ো হাওয়াসহ ভারি (৪৪-৮৮ মিমি/২৪ ঘণ্টা) থেকে অতি ভারি (২৮৯ মিমি/২৪ ঘণ্টা) বর্ষণ হতে পারে। ভারি বর্ষণের প্রভাবে কক্সবাজার, বান্দরবান, রাঙ্গামাটি, খাগড়াছড়ি ও চট্টগ্রামের পাহাড়ি অঞ্চলের কোথাও কোথাও ভূমিধস হতে পারে।
এদিকে, কক্সবাজার ও চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দরকে ০৯ (নয়) নম্বর মহাবিপৎসংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। উপকূলীয় জেলা চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, ফেনী, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, চাঁদপুর এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরসমূহ ০৯ (নয়) নম্বর মহাবিপৎসংকেতের আওতায় থাকবে।
জানা গেছে, মোংলা, সাতক্ষীরার শ্যামনগর, পটুয়াখালীর কলাপাড়া, কুয়াকাটা ও খেপুপাড়ায় ব্যাপক তাণ্ডব চালিয়েছে রিমাল। বৃষ্টির সঙ্গে ঝোড়ো হাওয়ায় ভেঙে গেছে ঘরবাড়ি, গাছপালা। বাঁধ ভেঙে লোকালয়ে পানি ঢুকে গেছে।
রিমালের তাণ্ডবে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে কলাপাড়া, খেপুপাড়া ও কুয়াকাটায়। প্রতিনিধিদের পাঠানো তথ্য থেকে জানা যায়, এই প্রবল ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে বিষখালি-সন্ধ্যা, পায়রা, আন্ধারমানিক, গলাচিপা ও তেঁতুলিয়া নদীর উপচেপড়া পানিতে বরগুনা ও পটুয়াখালীর নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। আশঙ্কার তুলনায় আগেভাগেই ঘূর্ণিঝড় রিমালের অগ্রভাগের প্রভাবে পটুয়াখালীর নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হতে শুরু করে।
বাগেরহাটের বলেশ্বর,পানগুছি-খাসিয়াখালি এবং দড়াটানা নদীর পানি বিপৎসীমার ওপরে। এতে শরণখোলা ও মোরেলগঞ্জের বেশকিছু এলাকা প্লাবিত। রিমালের প্রভাবে স্বাভাবিকের চেয়ে প্রায় চার ফুট পানি বেড়ে প্লাবিত হয়েছে গোটা সুন্দরবন। বাগেরহাটে পাঁচ লাখেরও বেশি মানুষ বিদ্যুৎবিচ্ছিন্ন অবস্থায় রয়েছে।
আরএস