ঘূর্ণিঝড় রেমালের তাণ্ডবে ছয় জেলায় এখন পর্যন্ত ১০ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। নিহতদের মধ্যে রোববার (২৬ মে) দুইজন এবং সোমবার আটজনের মৃত্যু হয়েছে।
এরমধ্যে পটুয়াখালীতে তিনজন, ভোলা ও বরিশালে দুইজন করে এবং সাতক্ষীরা, চট্টগ্রাম ও কুমিল্লায় একজন করে রয়েছে।
প্রতিনিধিদের পাঠানো তথ্যমতে, রোববার সন্ধ্যায় সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলায় আশ্রয়কেন্দ্রে যাওয়ার পথে শওকত মোড়ল নামে এক বৃদ্ধ মারা যান। একইদিন বিকেলে পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলায় ঘূর্ণিঝডড়ের প্রভাবে প্লাবিত এলাকা থেকে বোনকে রক্ষা করতে গিয়ে মো. শরীফুল ইসলাম নামে একজনের মৃত্যু হয়।
এ ছাড়া সোমবার (২৭ মে) ভোরে বরিশাল নগরীর রূপাতলী এলাকায় বহুতল ভবনের দেয়াল ধসে ২ জনের মৃত্যু হয়। নিহতরা হলেন লোকমান ও মোকছেদুল।
ভোলায় ঝোড়ো বাতাসে টিনের ঘর ভেঙে চাপা পড়ে মনেজা খাতুন নামে এক নারী মারা যান। তিনি লালমোহন উপজেলার চর উমেদ গ্রামের বাসিন্দা আব্দুল কাদেরের স্ত্রী। একই জেলার দৌলতখানে গাছ ভেঙে চাপা পড়ে মাইশা (৪) নামে এক শিশুর মৃত্যু হয়। মাইশা দৌলতখান পৌরসভার ২ নম্বর ওয়ার্ডের মো. মনির হোসেনের মেয়ে।
চট্টগ্রাম নগরীর বায়েজিদ থানার টেক্সটাইল এলাকায় দেয়াল চাপায় সাইফুল ইসলাম হৃদয় নামে এক পথচারী মারা যান।
পটুয়াখালীতে ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাবে তিনজন মারা গেছেন। এর মধ্যে জেলার দুমকী উপজেলায় গাছচাপায় জয়নাল হাওলাদার নামে (৭০) এক বৃদ্ধ মারা যান। তিনি উপজেলার পাঙ্গাশিয়া ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ড নলদোয়ানি স্লুইসগেট এলাকার বাসিন্দা। জেলার বাউফলে উপজেলা পরিষদ গেটের সামনে একটি অফিস ভেঙে চাপা পড়ে মো. আব্দুল করিম (৬০) নামের এক পথচারীর মৃত্যু হয়।
এদিকে, ঘূর্ণিঝড় রেমাল দুর্বল হয়ে গভীর নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে। তবে, এর আগেই ঘূর্ণিঝড়টি তাণ্ডবে বহু ঘরবাড়ি ও দোকানপাট তছনছ হয়ে গেছে। বহু এলাকা বিদ্যুৎবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে।
এ ছাড়া দেশের বিভিন্ন জেলার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। জলোচ্ছ্বাসে ভেসে গেছে গবাদি পশু, মাছের ঘের ও ফসলি ক্ষেত। বিভিন্ন এলাকায় সড়কে গাছ পড়ে যোগাযোগ বন্ধ হয়েছে।
আরএস