ঈদযাত্রা

সদরঘাটে ঘরমুখো মানুষের উপচে পড়া ভিড়

মিরাজ উদ্দিন, ঢাকা প্রকাশিত: জুন ১৪, ২০২৪, ১০:২৪ পিএম

পবিত্র ঈদুল আজহার বাকি আর মাত্র ২ দিন। ঈদের আনন্দ প্রিয়জনের সঙ্গে ভাগাভাগি করে নেওয়ার জন্য রাজধানী ছাড়ছেন নগরবাসী। ছুটির দিন হওয়ায় শুক্রবার সবচেয়ে ভিড় দেখা গেছে রাজধানীর সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনালে।

সদরঘাটের চিত্র দেখে মনে হয়েছিল যেন চিরচেনা আগের সেই সদরঘাট। পদ্মা সেতু হওয়ার কারণে অনেকটাই মানুষের স্বস্তি ফিরেছে।

ঢাকা থেকে চাঁদপুর, বরিশাল, ভোলা, হাতিয়া সবগুলো লঞ্চে দাঁড়িয়ে থাকার মতো জায়গা নেই বললেই চলে। এদিকে আজ সকাল থেকে কোন শিডিউল ছাড়াই ঢাকা থেকে ছেড়ে যাচ্ছে লঞ্চগুলো। যাত্রী হয়ে গেলেই ছেড়ে দেয় লঞ্চ। লঞ্চে যে পরিমাণ যাত্রী নেওয়ার কথা তার চেয়েও বাড়তি নিতে দেখা যায়।

রফিকুল ইসলাম পরিবার নিয়ে গ্রামে যাচ্ছেন মা বাবার সঙ্গে কোরবানির ঈদ করতে। তিনি আমার সংবাদকে বলেন, ঈদে শহর থেকে পরিবার নিয়ে গ্রামে যেতে অনেক কষ্ট হয়। কিন্তু বাড়িতে গেলে মায়ের হাসি দেখার পর আর কষ্টটা অনুভব হয় না। সন্তান স্ত্রী নিয়ে যাচ্ছি একসাথে আনন্দ ভাগাভাগি করবো।

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী রফিকুল ইসলাম তিনি আমার সংবাদকে বলেন, বাড়ি যাবো কিন্তু কেবিন পাইনি, তারা বলে আগে থেকে নাকি বুকিং করে রাখতে হয়। মাস্টার কেবিন যেগুলো আছে সেগুলোর দাম অনেক বেশি। এই বিষয়গুলা কর্তৃপক্ষের নজরে আনা উচিত।

রফিকুল ইসলামের মতো শাহীনেরও একই অবস্থা অসুস্থ মাকে নিয়ে ঢাকায় আসেন চিকিৎসা করানোর জন্য। এখন বাড়ি ফিরবেন নেই কোন কেবিনের ব্যবস্থা।

তিনি আক্ষেপ করে আমার সংবাদকে বলেন, আমাদের কোন মামা খালু নেই যার কারণে আমরা কেবিন পাই না, রাজনৈতিক পরিচয় দিলে কেবিন ব্যবস্থা হয়ে যায়, আমরা যারা সাধারণ মানুষ আছি একজনও কেবিন পাইনি। যায় দেখেন রাজনৈতিক পরিচিত লোকজন বা তাদের পরিচয় দিয়ে কেবিন বুকিং করেছে।

যাত্রীদের চলাচলের সুবিধার্থে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহণ কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) ঈদ স্পেশাল সার্ভিসের আওতায় এবার সদরঘাট টার্মিনাল থেকে মোট ১৮০টি লঞ্চ ছাড়বে। এসব নৌপরিবহনের মধ্যে ঢাকা থেকে ছাড়বে ৯০টি, বিভিন্ন স্থান থেকে ৯০টি ঢাকায় আসবে।

মিরাজ/ইলিয়াস