প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান বলেছেন, একটি সত্যিকারের গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রের অন্যতম নির্ণায়ক হচ্ছে গণমাধ্যমের স্বাধীনতা। রাষ্ট্রের অঙ্গগুলো যত গণমাধ্যমবান্ধব হবে, ততই শক্তিশালী হয়ে উঠবে গণতন্ত্র। ততটাই বিস্তৃতি পাবে মতপ্রকাশের স্বাধীনতা।
শুক্রবার মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক সাংবাদিকতায় বজলুর রহমান স্মৃতিপদক-২০২৩ প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান বিচারপতি এসব কথা বলেন।
প্রধান বিচারপতি বলেন, গণমাধ্যম হচ্ছে সমাজের দর্পণ, সমকালের নির্ভুল প্রতিফলন। আমাদের বোধ ও বুদ্ধি নির্মাণের প্রভাবক। অচিন্তনীয় ঝুঁকির বোঝা মাথায় নিয়ে সাংবাদিকেরা তথ্য সরবরাহ করছেন, রাষ্ট্র যন্ত্রের বিভিন্ন উপাংশের জবাবদিহি নিশ্চিত করছেন।
বিচার বিভাগ সম্পর্কে প্রধান বিচারপতি বলেন, এ বিভাগ নাগরিকের সর্বশেষ আস্থার স্থল। ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার চূড়ান্ত গন্তব্য। জনগণের আস্থাকে বিচার বিভাগের সবচেয়ে বড় সম্পদ। গণমাধ্যমে এ আস্থা প্রতিফলিত হয়।
বিশিষ্ট সাংবাদিক দৈনিক সংবাদের সম্পাদক বজলুর রহমান ২০০৮ সালে আকস্মিক মৃত্যুবরণ করেন। তারপর তার স্ত্রী বর্তমানে জাতীয় সংসদের উপনেতা মতিয়া চৌধুরীর উদ্যোগে এই পদক প্রবর্তন করে মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর।
এ বছর ছাপা সংবাদপত্রের বিভাগে যৌথভাবে পদক পেয়েছেন দৈনিক ভোরের কাগজের ডেপুটি চিফ রিপোর্টার ঝর্ণা মণি এবং দ্য ডেইলি স্টারের রিপোর্টার আহমদ ইসতিয়াক। ইলেকট্রনিক মাধ্যমে পদক পেয়েছেন চ্যানেল আইয়ের স্টাফ রিপোর্টার লায়লা নওশীন। প্রধান বিচারপতি তাদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন।
ইএইচ