এমডি পদে কী মধু আছে? জানতে চাইলেন প্রধানমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক প্রকাশিত: জুলাই ৫, ২০২৪, ০৭:৫৮ পিএম

বিজয়ী ড. ইউনূসের এমডি পদের জন্য তদবিরের জন্য হিলারি ক্লিনটন ফোন করেছিলেন। একবার নয় দুইবার। ফ্রান্সের প্রেসিডেন্টের প্রতিনিধি এলো। অনেকেই এলো। আমি শুধু জিজ্ঞেস করলাম, আমাকে একটা কথা বলেন, এই এমডি পদে কী মধু আছে? বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

শুক্রবার বিকালে পদ্মা সেতুর মাওয়াপ্রান্তে পদ্মা সেতুর প্রকল্পের সমাপনী উপলক্ষ্যে সুধী সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

শেখ হাসিনা বলেন, পদ্মা সেতুর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনের পর অনেকেই এগিয়ে এলো। বিশ্বব্যাংক, জাইকা, দাতা সংস্থা এলো। তখন একটা সমস্যা দেখা দিল। একটা পদ, সেটা হচ্ছে ব্যাংকের এমডি পদ। একটা ব্যাংকে যদি আইন থাকে যে একজন ২০ বছর পর্যন্ত থাকতে পারবেন। ইতোমধ্যে তার বয়স ৭০ হয়ে গেছে।

শেখ হাসিনা বলেন, তিনি (ড. ইউনূস) সরকারের বিরুদ্ধে, অর্থমন্ত্রী বিরুদ্ধে বিরুদ্ধে মামলা করলেন। সে মামলায় তিনি হেরে গেলেন, আরও ক্ষেপে গেলেন। আর অ্যাম্বাসেডরদের আনাগোনা তো চলছে। বারবার একই কথা শোনায়। এরপর একজন আন্ডার সেক্রেটারি এলেন। তিনি এসে এমন কিছু কথা বললেন আমি সেদিনই তার সঙ্গে কথা বলা বন্ধ করে দিয়েছি।

সরকার প্রধান বলেন, আমাদের হুমকি দেওয়া হলো এমডির পদ না থাকলে অর্থায়ন বন্ধ হয়ে যাবে। হিলারি ফোন করলেন। ফ্রান্সের প্রেসিডেন্টের প্রতিনিধি এলো। আমি শুধু জিজ্ঞেস করলাম, এই এমডি পদে কী মধু আছে?  

শেখ হাসিনা বলেন, কী যে মধু আছে, এখন বুঝতে পারবেন। যখন লেবাররা মামলা করে তখন বোঝা যায়। যখন ট্যাক্স ফাঁকি দেওয়ার মামলা হয়। যখন দুর্নীতির মামলা হয়। তখন আসতে আসতে বের হয়ে যাবে, ওই এমডি পদে কী মধু আছে। আর গ্রামীণ ব্যাংকের যখন অডিট রিপোর্ট আসবে, আরও তথ্য বের হবে।

ইএইচ