জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সঙ্গে সাক্ষাতের সূচি ছিল ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) রাষ্ট্রদূত চার্লস হোয়াইটলির। কিন্তু কোটা সংস্কার আন্দোলনের কারণে রাজধানী ঢাকায় তখন তীব্র যানজট। কিন্তু নির্ধারিত সময়ে জাতীয় সংসদ ভবন পৌঁছাতে প্রথমে হেঁটে, তারপর দৌড়ে এবং শেষে সিএনজি চেপে গন্তব্যে পৌঁছেছেন তিনি।
এটি ছিল স্পিকার শিরীন শারমিনের সঙ্গে হোয়াইটলির বিদায়ী সাক্ষাৎকার।
চার্লস হোয়াইটলি নিজেই তাঁর এই অভিজ্ঞতা তুলে ধরেছেন ফেসবুকে। নিজের প্রোফাইলে শেয়ার করা একটি ভিডিওতে বর্ণনা করেছেন তাঁর যাত্রার অভিজ্ঞতা।
পোস্ট করা ভিডিও শেয়ার করে হোয়াইটলি লিখেছেন, ‘বিক্ষোভের কারণে এক্সপ্রেসওয়েতে গাড়ি ছেড়ে মাননীয় স্পিকারের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে সিএনজিতে। “মৃত্যুর উপক্রম হওয়া” তীব্র উত্তেজনার সিকোয়েন্সসহ ভিডিওটি তৈরি করেছেন বার্নড।’
পরে অবশ্য সময় মতোই সংসদ ভবনে স্পিকারের কার্যালয়ে পৌঁছান হোয়াইটলি ও তার সঙ্গীরা।
স্পিকারের দপ্তর থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, সাক্ষাৎকালে তাঁরা সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপসহ জাতীয় সংসদের সাথে ইউরোপীয় ইউনিয়নের বিভিন্ন কর্মকাণ্ডের বিষয়ে আলোচনা করেন।
ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, ‘সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপ বাংলাদেশ ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের দ্বিপাক্ষিক বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক জোরালো করতে ভূমিকা রাখতে পারে। বাজেট অধিবেশনকালীন সময়ে জাতীয় সংসদে বাজেট ডিব্রিফিং সেশন অনুষ্ঠিত হয়। বাজেট সম্পর্কে ধারণা পেতে সংসদ সদস্যরা এই সেশনগুলোতে অংশগ্রহণ করেন। জাতীয় সংসদে বাজেট ডিব্রিফিং সেশনের সফলতার জন্য ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রশংসনীয় ভূমিকা রয়েছে।’
এসময় ইইউ রাষ্ট্রদূত চার্লস হুইটলি দীর্ঘদিন জাতীয় সংসদের স্পীকার হিসেবে দায়িত্ব পালনের জন্য ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীকে অভিনন্দন জানান। তিনি জানান, নারীর ক্ষমতায়ন ও লিঙ্গসমতা আনার ক্ষেত্রে জাতীয় সংসদের স্পীকার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে চলেছেন।
আরএস