সারাদেশে চলমান ‘বাংলা-ব্লকেড’ কোটা-সংস্কার আন্দোলনের সময় বাংলাদেশ সরকার ছাত্র আন্দোলনকারীদের বিরুদ্ধে বেআইনিভাবে শক্তি প্রয়োগ করেছে এবং তাদের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে ব্যর্থ হয়েছে বলে জানিয়েছে মানবাধিকারবিষয়ক সংস্থা অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল।
বুধবার (১৭ জুলাই) নিজেদের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে কোটা আন্দোলন পর্যবেক্ষণে এ মন্তব্য করে সংস্থাটি।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল এবং এর ক্রাইসিস এভিডেন্স ল্যাব দ্বারা বিশ্লেষিত এবং প্রমাণিত সাক্ষীর সাক্ষ্য, ভিডিও এবং ফটোগ্রাফিক প্রমাণ শিক্ষার্থী ও বিক্ষোভকারীদের বিরুদ্ধে পুলিশের বেআইনিভাবে বল প্রয়োগের বিষয়টি নিশ্চিত করে।
প্রত্যক্ষদর্শীদের সাক্ষ্য প্রমাণ করে যে, বিক্ষোভকারীদের বিরুদ্ধে অনেক বছরের সহিংসতার ধারাবাহিকতা রয়েছে এবং ক্ষমতাসীন দলের অঙ্গসংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সদস্যদের দ্বারা সহিংসতা সংঘটিত হয়েছে।
অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের দক্ষিণ এশিয়াবিষয়ক আঞ্চলিক গবেষক তকবীর হুদা বলেন, অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও সারা দেশে অন্যান্য ক্যাম্পাসে ছাত্র আবু সাঈদের হত্যা এবং কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের ওপর হামলার তীব্র নিন্দা জানায়।
এর আগে গত ১৫ জুলাই রাতে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল দক্ষিণ এশিয়া শাখার ফেসবুক পেজে নিন্দা জানিয়ে বিবৃতি দেয় সংস্থাটি।
বিবৃতিতে বলা হয়, আমরা অবিলম্বে শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভকারীদের নিরাপত্তা এবং আহতদের যথাযথ চিকিৎসা নিশ্চিত করার জন্য বাংলাদেশ সরকারের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি। বাংলাদেশকে অবশ্যই আন্তর্জাতিক আইন ও নিজস্ব সংবিধানের অধীনে জনগণের মত প্রকাশের স্বাধীনতা এবং শান্তিপূর্ণ সমাবেশের অধিকারকে সম্পূর্ণভাবে সম্মান করতে হবে। পাশাপাশি শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভকারীদের আরও ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা করতে হবে।
এদিকে শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ বিক্ষোভের বিরুদ্ধে যেকোনো সহিংসতার নিন্দা জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। একই সঙ্গে তারা বাংলাদেশে প্রতিবাদ বিক্ষোভের বিষয়ে অত্যন্ত নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছে। শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভকারীদের অধিকার সমুন্নত রাখার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে তারা। যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে নিয়মিত ব্রিফিংয়ে সাংবাদিক মুশফিকুল ফজল আনসারির বুধবার করা একাধিক প্রশ্নের জবাবে এসব কথা জানিয়েছেন মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার।
বিআরইউ