তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী

ভিপিএন ব্যবহার ৫ হাজার শতাংশ বাড়ায় ইন্টারনেটে ধীরগতি

নিজস্ব প্রতিবেদক প্রকাশিত: জুলাই ৩০, ২০২৪, ০৪:০৯ পিএম

কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে সৃষ্ট সহিংসতার পর বাংলাদেশে ইন্টারনেট শাটডাউন হয়ে যায়। ধীরে ধীরে ইন্টারনেট সেবা চালু হলেও ‌‘গুজব ও অপপ্রচার’ ঠেকাতে ফেসবুক, টিকটক, হোয়াটসঅ্যাপ ও ইনস্টাগ্রাম বন্ধ রেখেছে সরকার। বাধ্য হয়ে ভিপিএন ব্যবহার করে এসব মাধ্যমে সক্রিয় হচ্ছেন ব্যবহারকারীরা।

সম্প্রতি দেশে ভিপিএনের ব্যবহার ৫ হাজার শতাংশ বেড়েছে। এ কারণে ইন্টারনেটে ধীরগতি বলে দাবি করেছেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।

[287861]

তিনি বলেন, ‘টেকনিক্যাল পারসনরা (প্রযুক্তিবিদরা) আমাদের জানিয়েছেন, দেশে সম্প্রতি ভিপিএন ব্যবহার বেড়েছে প্রায় ৫০০০ শতাংশ। যখন তারা ভিপিএন ব্যবহার করছেন; তখন তারা বাংলাদেশ নয়, অন্য দেশের নেটওয়ার্ক ব্যবহার করছেন। বিদেশের ব্যান্ডউইথের ট্র্যাফিক বেড়ে যাচ্ছে। ইন্টারনেটের গতি কমে যাওয়ার এটা একটা অন্যতম কারণ। এতে অনেক সময় মোবাইলে ফোরজি ইন্টারনেট একটু স্লো পাওয়া যাচ্ছে। ব্রডব্যান্ডের ক্ষেত্রেও ধীরগতি দেখা যাচ্ছে।’

ইন্টারনেটের গতি নিয়ে সরকারের পক্ষ থেকে কোনো বাধা-নিষেধ নেই জানিয়ে জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, ‘ইন্টারনেটের গতি নিয়ে আমরা কোনো রেস্ট্রিকশন (নিষেধাজ্ঞা) রাখিনি। বিটিআরসির পক্ষ থেকে সম্পূর্ণরূপে এটা অবাধ ও ছেড়ে দেওয়া হয়েছে, কোথাও কোনো বাধা নেই। কোনো নিষেধাজ্ঞা নেই, কোনো গাইডলাইনও (নির্দেশনা) নেই।’

[287903]

মঙ্গলবার (৩০ জুলাই) দুপুর দেড়টার দিকে ‘চলমান সময়ে সাইবার নিরাপত্তাবিষয়ক জরুরি সভা’ শেষে ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন। রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের (বিসিসি) সম্মেলনকক্ষে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।

এর আগে দুপুর ১২টা থেকে দেড়টা পর্যন্ত অনুষ্ঠিত সাইবার নিরাপত্তা সভায় উপস্থিত ছিলেন টেলিযোগাযোগ বিভাগের সচিব ড. মো. মুশফিকুর রহমান, ন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন মনিটরিং সেন্টারের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল জিয়াউল আহসান, বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের নির্বাহী পরিচালক রণজিৎ কুমার, ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (আইএসপিএবি) সভাপতি ইমদাদুল হক, জাতীয় সাইবার নিরাপত্তা এজেন্সির মহাপরিচালক আবু সাঈদ মো. কামরুজ্জামান, বাংলাদেশ ব্যাংক, সিভিল অ্যাভিয়েশন, পুলিশ, ডিজিএফআই ও এনএসআই প্রতিনিধিরা।

আরএস