ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস বলেছেন, দেশের কর্মসংস্থানের একটি বৃহৎ অংশ এই ঢাকাতেই সৃষ্টি হয়। ফলে, ঢাকা মহানগরী সারা দেশের জনগণের জন্য কর্মসংস্থানের অন্যতম একটি কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছে। কিন্তু অত্যন্ত পরিতাপের সাথে লক্ষ করা যায় যে, ঢাকায় স্থায়ীভাবে বসবাসরত, ভোটার এবং ঢাদসিক এলাকার বাসা-বাড়ি, হোল্ডিং ট্যাক্স পরিশোধকারী পরিবারের অনেকেই এখনও বেকার রয়েছে এবং যথাযথ কর্মসংস্থান প্রাপ্তি হতে বঞ্চিত হচ্ছে।
তিনি বলেন, ঢাকাবাসীর সকল পরিবারের কর্মসংস্থান সৃষ্টির উদ্দেশ্য ও লক্ষ্য নিয়ে আমি পাঁচ বছর মেয়াদি মেয়র শেখ তাপসের কর্মসংস্থান কর্মসূচি, ঢাকা হবে বেকারমুক্ত নগরী কর্মসূচি ঘোষণা করছি।
বুধবার (৩১ জুলাই) নগরভবনে বাজেট ঘোষণা অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
মেয়র তাপস বলেন, উপকারভোগী জনগোষ্ঠী, ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন এলাকার স্থায়ী বাসিন্দা, ভোটার এবং বাসা-বাড়ি, স্থাপনার কর প্রদানকারী ব্যক্তি অথবা তার পরিবারের সদস্য। এখানে পরিবার বলতে ব্যক্তি, তার স্ত্রী, স্বামী ও সন্তান-সন্ততিকে (পুত্র-কন্যা) বুঝাবে। সময়কাল হবে পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনার আওতায় ২০২৪-২০২৯ মেয়াদে এই কর্মসূচি বাস্তবায়ন করা হবে।
কোন কোন খাতে সহযোগিতা করা হবে জানিয়ে মেয়র বলেন, মেধা ও যোগ্যতা অনুযায়ী ডিএসসিসি, সরকারি, আধা-সরকারি, স্বায়ত্বশাসিত সংস্থা, প্রতিষ্ঠানে বিধি মোতাবেক নিয়োগ প্রাপ্তিতে সহযোগিতা। মেধা ও যোগ্যতা অনুযায়ী বেসরকারি ব্যাংক ও অন্যান্য ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানে চাকুরি, নিয়োগ প্রাপ্তিতে সহযোগিতা। উদ্যোগী ব্যক্তির নিজস্ব কর্মসংস্থান সৃষ্টির লক্ষ্যে ডিএসসিসির বিপণি বিতান, বাজারে মেয়র কোটা থেকে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে মার্কেট উপ-আইন অনুযায়ী দোকান বরাদ্দ প্রদান। উদ্যোগী ব্যক্তির নিজস্ব ব্যবসা, বাণিজ্য শুরুর লক্ষ্যে বিনা জামানতে সুদমুক্ত দুই লক্ষ টাকা পর্যন্ত অর্থ, তহবিল প্রদান। উদ্যোগী ব্যক্তির নিজস্ব ব্যবসা, বাণিজ্য শুরুর লক্ষ্যে বিনা জামানতে ব্যাংক থেকে দুই থেকে বিশ লাখ টাকা পর্যন্ত ঋণ প্রাপ্তিতে সহযোগিতা।
প্রযোজ্য শর্তাবলির কথা উল্লেখ করে মেয়র তাপস বলেন, হালনাগাদ কর, হোল্ডিং ট্যাক্স, পরিশোধকৃত ব্যক্তি অথবা পরিবারের সদস্য আবেদন করার যোগ্য হবেন। পরিবারের যেকোনো উপযুক্ত সদস্য যেকোনো একটি কর্মসূচির আওতায় আবেদন করতে পারবে।
তিনি আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘোষিত ২০৪১ সালের মধ্যে বুদ্ধিদীপ্ত (স্মার্ট) বাংলাদেশ বিনির্মাণের অভিযাত্রায় ঢাকাকে একটি উন্নত ও বুদ্ধিদীপ্ত রাজধানী হিসেবে গড়ে তোলার অভিপ্রায়ে মেয়র হিসেবে আমার ওপর অর্পিত পবিত্র দায়িত্ব সততা, নিষ্ঠা ও আন্তরিকতার সাথে পালন করে চলেছি। ৫ বছর মেয়াদের প্রথম বছরে আমরা উন্নত ঢাকা গড়ে তোলার ভিত রচনা করতে পেরেছি, দ্বিতীয় বছরে সেই ভিত মজবুত হয়েছে, তৃতীয় বছরে সেই ভিত বিস্তৃতি লাভ করেছে এবং চতুর্থ বছরে তাতে নতুন মাত্রা সঞ্চারিত হয়েছে।
দক্ষিণ সিটির মেয়র বলেন, আমি বিশ্বাস করি, ঐতিহ্যের সুন্দর, সচল, সুশাসিত ও উন্নত ঢাকা বিনির্মাণে অতীতের ন্যায় আগামীদিনেও ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের প্রতি ঢাকাবাসীর আস্থা অবারিত থাকবে। আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, সকলের আন্তরিক প্রচেষ্টায় আমরা একটি আধুনিক, সচল ও উন্নত ঢাকা গড়ে তুলতে সক্ষম হবো, ইনশাআল্লাহ।
আরএস