ইমিগ্রেশন পার হননি

অবৈধ পথে ভারত পালিয়েছেন সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

আমার সংবাদ ডেস্ক প্রকাশিত: অক্টোবর ২, ২০২৪, ০১:৫৯ পিএম

বহুল সমালোচিত আওয়ামী লীগ সরকারের দাপুটে সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালসহ উচ্চপর্যায়ের অনেকের দেখা মিলছে না। তারা কোথায়? দেশে নাকি বিদেশে পালিয়ে গেছেন সেই প্রশ্ন যখন জনমনে তখন কলকাতার একটি পার্কে দেখা গেছে সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালসহ বেশ কয়েকজনকে।

যার নির্দেশে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে নজিরবিহীন দমন-পীড়ন চালানো হয়েছে সেই সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বিরুদ্ধে হয়েছে অর্ধশতাধিক মামলা।

সেই সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী কীভাবে দেশ ছেড়ে পালালেন?
এ বিষয়ে জানতে চাইলে পুলিশের বিশেষ শাখার (এসবি) প্রধান অতিরিক্ত পুলিশ মহাপরিদর্শক (চলতি দায়িত্ব) মো. শাহ আলম বলেন, আমি গণমাধ্যমে খবর দেখেছি, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীসহ বেশ কয়েকজনকে কলকাতার একটি পার্কে দেখা গেছে। তারা কীভাবে গেছেন সে তথ্য ইমিগ্রেশন পুলিশে নেই।

শাহ আলম বলেন, এতোটুকু নিশ্চয়তা দিতে পারি, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীসহ যাদের দেখা গেছে তারা কেউ ইমিগ্রেশন ক্রস করেননি। ইমিগ্রেশনে তাদের দেশত্যাগের কোনো তথ্য নেই।

তাহলে কীভাবে গেলেন? জানতে চাইলে পুলিশের বিশেষ শাখার প্রধান শাহ আলম বলেন, ইমিগ্রেশনে যেহেতু তথ্য নেই, অবশ্যই অবৈধ পথে গেছেন। হেঁটে যেতে পারেন, গাড়িতেও যেতে পারেন, স্থলপথেও অবৈধভাবে সীমান্ত পার হতে পারেন।

একই প্রশ্ন করা হলে র‌্যাবের লিগ্যাল ও মিডিয়া উইং পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মুনীম ফেরদৌস বলেন, তাদের কাছেও এধরনের কোনো তথ্য নেই।

মঙ্গলবার (১ অক্টোবর) বাংলাদেশের একটি বেসরকারি টেলিভিশনের ক্যামেরায় সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীসহ বেশ কয়েকজনকে কলকাতার ইকো পার্কে দেখা গেছে। আসাদুজ্জামান খান কামাল ছাড়াও সেখানে সাবেক সংসদ সদস্য অসীম কুমার উকিল, অপু উকিল ও হাজী সেলিমের এক ছেলে রয়েছেন বলে জানা গেছে।

কীভাবে দেশ ছেড়ে পালালেন তারা?

কারওয়ান বাজার র‌্যাব মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে জানতে চাইলে র‌্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক লে. কর্নেল মুনীম ফেরদৌস বলেন, আমাদের কাছে এ রকম কোনো তথ্য নেই। সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বৈধভাবে গেছে নাকি অবৈধভাবে গেছে সে সম্পর্কে র‌্যাবের কাছে কোনো তথ্য নেই। এখানে র‌্যাবের কোনো ধরনের উদাসীনতা বা গাফিলতির বিষয় নেই। আমাদের যে দায়িত্ব ও কর্মপরিধি সে অনুযায়ী সর্বোচ্চ কাজ করে যাচ্ছি।

আরএস