দেশের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে সাম্প্রতিক বন্যায় প্রায় সাড়ে ১৪ হাজার কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে জানিয়েছেন সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) নির্বাহী পরিচালক ফাহমিদা খাতুন।
রোববার (৬ অক্টোবর) রাজধানীর ধানমন্ডিতে সিপিডির কার্যালয়ে কুমিল্লা, ফেনী, নোয়াখালী ও লক্ষ্মীপুরসহ দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে ভয়াবহ বন্যায় ক্ষয়ক্ষতি ও পুনর্বাসন প্রক্রিয়া নিয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান সিপিডির এই নির্বাহী পরিচালক।
ফাহমিদা খাতুন বলেন, দেশের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে সাম্প্রতিক বন্যায় ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে ১৪ হাজার ৪২১ কোটি টাকা। বন্যায় টাকার হিসেবে নোয়াখালীতে সবচেয়ে বেশি ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। এরপরের অবস্থানে রয়েছে কুমিল্লা, ফেনী ও চট্টগ্রাম।
তিনি জানান, বন্যা কবলিত এলাকাগুলোতে ত্রাণ বিতরণে বেশ সমন্বয়হীনতা ছিল। এ কার্যক্রমে জনপ্রতিনিধি থাকা দরকার ছিল কি না তা নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া রয়েছে। অনেকে একাধিকবার ত্রাণ পেয়েছে, আবার অনেকে পাননি। এছাড়া, অনেকেই ত্রাণ সামগ্রী বিক্রি করে দিয়েছেন বলেও জানান তিনি।
তিনি আরও বলেন, ফেনীতে সর্বোচ্চ ১৬ কোটি ৬০ লাখ টাকার ত্রাণ গেছে। তাছাড়া, কুমিল্লায় ১৪ কোটি ৯০ লাখ টাকার, নোয়াখালীতে ১৪ কোটি ৯০ লাখ টাকার, সিলেটে ১৪ কোটি ৬০ লাখ টাকার, হবিগঞ্জে ১৩ কোটি ৪০ লাখ টাকার, মৌলভীবাজারে ১৩ কোটি টাকার এবং চট্টগ্রামে ১১ কোটি ৮০ লাখ টাকার ত্রাণ গেছে।
ফাহমিদা খাতুন বলেন, কৃষি ও বন খাতে সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয়েছে। যার পরিমাণ ৫ হাজার ১৬৯ কোটি টাকা। এছাড়া অবকাঠামো খাতে ৪ হাজার ৬৫৩ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে।
এদিকে, দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের বন্যার রেশ কাটতে না কাটতেই গত শুক্রবার (৪ অক্টোবর) রাত থেকে টানা বৃষ্টি ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে শেরপুরে ভয়াবহ বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত আজ রোববার বন্যার পানি ঢুকেছে শেরপুর সদর ও নকলা উপজেলার আরও ১০টি ইউনিয়নে। এ নিয়ে জেলার পাঁচ উপজেলার ৩০টি ইউনিয়ন প্লাবিত হয়েছে।
বিআরইউ