মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার বলেছেন, ডিমসহ দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির পেছনে মূল কলকাঠি নাড়ছেন মধ্যস্বত্বভোগীরা। দেশের বড় বড় ডিম উৎপাদন কোম্পানিগুলো চাহিদার মাত্র ২০ থেকে ২৫ শতাংশ সরবরাহ করতে পারে। বাকিটা প্রান্তিক খামারিদের সরবরাহ করতে হয়।
শনিবার (১৯ অক্টোবর) দুপুরে পাবনা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে পাবনা জেলার মৎস্যজীবী ও প্রান্তিক খামারিদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।
উপদেষ্টা বলেন, বাজারে মধ্যস্বত্বভোগীদের দৌরাত্ম্য দূর করে উৎপাদকদের সমবায় সমিতি গঠন করতে হবে। এর মাধ্যমে উৎপাদকেরা সমবায়ের মাধ্যমে আড়তদারদের সরাসরি ডিম সরবরাহ করতে পারবে। এক্ষেত্রে উৎপাদক-আড়তদার লাভবান হবেন এবং ভোক্তারা সাশ্রয়ী মূল্যে ডিম ক্রয় করতে পারবে।
তিনি বলেন, দেশে অত্যাধিক গরম ও শীত হচ্ছে। এর ফলে ডিমের উৎপাদন ব্যাপকভাবে হ্রাস পেয়েছে। এ ছাড়াও সাম্প্রতিক অতিবৃষ্টি ও বন্যার কারণেও অনেক খামার নষ্ট হওয়ায় ডিম উৎপাদনে ব্যাঘাত ঘটেছে।
মুরগির খাদ্যের ক্ষেত্রে কয়েকটি কোম্পানির হাতে সবাইকে জিম্মি হতে দেওয়া হবে না বলেও হুঁশিয়ারি দিয়ে তিনি বলেন, এজন্য সরকার ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।
পাবনা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মফিজুল ইসলামের সভাপতিত্বে সভায় আরও বক্তব্য দেন, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব সাঈদ মাহমুদ বেলাল হায়দর, জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. এ. কে. এস. এম মুশাররফ হোসেন, জেলা মৎস্য কর্মকর্তা আবুল কালাম। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন পাবনার বিভিন্ন উপজেলার মৎস্যজীবী ও খামারিরা।
আরএস