ডক্টর শফিকুল ইসলাম মাসুদ

আ.লীগ তরুণ প্রজন্মের হাতে বই না দিয়ে অস্ত্র আর মাদক তুলে দিয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক প্রকাশিত: অক্টোবর ২৭, ২০২৪, ০৪:৫৫ পিএম

আওয়ামী লীগ তরুণ প্রজন্মের হাতে বই তুলে না দিয়ে অস্ত্র আর মাদক তুলে দিয়েছে মন্তব্য করে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদের সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের সেক্রেটারি ডক্টর শফিকুল ইসলাম মাসুদ বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের লাইব্রেরিতে বইয়ের পরিবর্তে মাদকের আড্ডা খানা বানিয়েছে। হলগুলোকে বানিয়েছে অস্ত্রের গোডাউন। গত ১৫ বছর আওয়ামী লীগ ইসলামী বইমেলা করতে দেয়নি।

তিনি বলেন, আলেমদের হাতে কুরআন আর হাদিস পেলে পুলিশ আটক করে তাদেরকে জঙ্গি সাজিয়ে মামলা দিয়ে জুলুম নির্যাতন চালিয়েছে। মাদ্রাসার ছাত্রদের ধরে নিয়ে জঙ্গি উপাধি দিয়েছে। শিশু শিক্ষার্থীরাও আওয়ামী লীগের হামলা-মামলা থেকে রক্ষা পায়নি।

শনিবার (২৬ অক্টোবর) সন্ধ্যায় বায়তুল মোকাররম মসজিদের দক্ষিণ-পূর্ব গেইটে চলমান ইসলামী বই মেলা পরিদর্শনে গিয়ে সংক্ষিপ্ত আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন।

এসময় উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের নায়েবে আমীর অ্যাডভোকেট ড. হেলাল উদ্দিন, সহকারী সেক্রেটারি মুহাম্মদ দেলোয়ার হোসাইন, পল্টন দক্ষিণ থানা আমীর শাহীন আহমেদ খান, ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের কর্মপরিষদের সদস্য এস.এম কামাল উদ্দীন, প্রচার ও মিডিয়া বিভাগের সমন্বয়ক আবদুস সাত্তার সুমন সহ প্রমুখ নেতৃবৃন্দ।

ড. মাসুদ আরো বলেন, ফ্যাসিবাদ আওয়ামী লীগের বিদায়ের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশে ইসলাম প্রতিষ্ঠার প্রাথমিক বিজয় হয়েছে। ইসলামী বই অধ্যয়নের মাধ্যমে ইসলামী জ্ঞান আহরণ করে ইসলাম প্রতিষ্ঠায় ভূমিকা পালনে তিনি উপস্থিত দর্শনার্থীদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, শেখ হাসিনা নামাজ ও কুরআন তেলওয়াত নিয়েও জাতির সাথে মিথ্যাচার করেছে।

শেখ হাসিনা বলতো তিনি নাকি তাহাজ্জুতের নামাজ পড়েন, ফজরের নামাজ শেষে কুরআন পাঠ করে দেশ পরিচালনা করেন। কিন্তু শেখ হাসিনা পালিয়ে যাওয়ার পর বহু ছাত্র গণভবনে তার জায়নামাজ আর কুরআন খুঁজেছে। কিন্তু সেটি পাওয়া যায়নি। শেখ হাসিনা বই পড়তেন না বলেই ছাত্রদের হাতে বই না দিয়ে অস্ত্র দিয়েছে। আগামীতে ছাত্রদের হাতে বই আর কলম থাকবে। কোন ছাত্র পরিবারের জন্য বোঁঝা হবে না। মাদক নিয়ন্ত্রণ নয় বাংলাদেশ থেকে মাদক নির্মূল করা হবে। পরে নেতৃবৃন্দ বই মেলার স্টল ঘুরে ঘুরে ব্যবসায়ী ও আগত দর্শনার্থীদের সাথে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।  

বিআরইউ