যশোরের দুঃখ হিসেবে পরিচিত ভবদহ এলাকার জলাবদ্ধতা সমস্যার স্থায়ী সমাধানের সবচেয়ে কার্যকর স্বল্পমেয়াদী উপায় আমডাঙা খাল পরিদর্শনে আসেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় এবং পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান।
রোববার (১০ নভেম্বর) দুপুর ১২টার দিকে অভয়নগর উপজেলার আমডাঙ্গা খাল এলাকায় গণশুনানিতে অংশগ্রহণ করেন। এ সময় উপদেষ্টা বলেন, ‘পাঁচ লাখ ভুক্তভোগী মানুষকে আগে বাঁচাতে হবে’। দুঃখ লাগে যে বিশ বছর একই সমস্যা, এখন আরও বেড়ে গেছে সমস্যা। আগে সমাধান করলে সহজ হত বিষয়টা। এখন একটু গাঢ় হয়ে গেছে সমস্যা। কিন্তু এই সমস্যা সমাধান করতে হবে। আমরা আপ্রাণ চেষ্ট করবো। যত দ্রæত সম্ভব এই সমস্যার একটা স্থায়ী সমাধানের দিকে আমরা যাবো। যাতে আগামী বছর আর শুনতে না হয় বা কোন বছরই শুনতে না হয়, ভবদহ এলাকায় জলাবদ্ধতা হয়েছে। তিনি আরও বলেন, যারা অবৈধভাবে খাল ও ঘের দখল করে আছে প্রশাসন সেগুলো মুক্ত করবে।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব নাজমুল আহসান, পানি উন্নয়ন বোর্ডের মহাপরিচালক মুহাম্মদ আমিররুল হক ভূঞা, যশোরের জেলা প্রশাসক আজহারুল ইসলাম, ভবদহ পানিনিষ্কাশন সংগ্রাম কমিটির আহŸায়ক রনজিৎ বাওয়ালি, অভয়নগর থানা বিএনপি’র সভাপতি ফারাজি মতিয়ার রহমান, সাধারন সম্পাদক কাজী গোলাম হায়দার ডাবলু প্রমুখ। এরপর তিনি উপজেলার সুন্দলী, বিল কপালিয়া ও ভবদহ স্লুইসগেট এলাকা পরিদর্শন ভুক্তভোগীদের সঙ্গে কথা বলেন।
এসব অঞ্চল পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, ভবদহের জলাবদ্ধতা সমস্যার স্থায়ী সমাধানে নতুন পরিকল্পনা নেওয়া হচ্ছে। তবে বিগত সময়ের মতো পানি উন্নয়ন বোর্ড, বিভিন্ন সংস্থার মতামতে নয় এবার ভুক্তভোগীদের পরামর্শে নেওয়া এই প্রকল্প অনুযায়ী কাজ হবে। বিগত সময়ে ভবদহ এলাকার প্রকল্পে দুর্নীতি প্রসঙ্গে এই উপদেষ্টা বলেন, এর আগে ভবদহ এলাকায় এসেছি। এখানকার মামলা নিয়েও লড়েছি। পানি উন্নয়ন বোর্ড ও আগের কাজগুলো নিয়ে ভবদহবাসীর মধ্যে প্রচÐ ক্ষোভ। এখানে কারিগরি সমস্যায় রূপ নিয়েছে। আগের প্রকল্পের মূল্যায়নের সঙ্গে দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। পাশাপাশি নতুন প্রকল্প যাতে স্বচ্ছতার সঙ্গে হয় সে কারণে ভুক্তভোগী ও ছাত্র প্রতিনিধিদের নিয়ে একটা কমিটি করা হবে।
রোববার সকাল ৯টা ৪৫ মিনিটে তিনি যশোর বিমানবন্দরে পৌছান। এসময় তাকে জেলা প্রশাসন ও বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন যশোরের পক্ষ থেকে ফুলেল শুভেচ্ছা ও স্বাগত জাননো হয়।
আরএস