সাবেক খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলামের ৮ দিনের রিমান্ড

নিজস্ব প্রতিবেদক প্রকাশিত: নভেম্বর ১৯, ২০২৪, ১০:৪২ এএম

রাজধানীর নিউমার্কেট থানার হত্যা মামলায় আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও সাবেক খাদ্যমন্ত্রী অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলামকে ৮ দিনের রিমান্ডে দিয়েছেন আদালত। 

মঙ্গলবার (১৯ নভেম্বর) ঢাকা চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. জিয়াদুর রহমানের আদালত শুনানি শেষে এ আদেশ দেন।

এর আগে কামরুল ইসলামকে আদালতে হাজির করে ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করে পুলিশ। পরে শুনানি শেষে ৮ দিনের রিমান্ড দেন আদালত।

রিমান্ড শুনানিতে পুলিশ জানায়, ১৯ জুলাই নীলক্ষেতে ছাত্র-জনতার আন্দোলনে পুলিশ গুলি চালায়। সে সময় ব্যবসায়ী আব্দুল ওয়াদুদ গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান। ঘটনার সঙ্গে কামরুল ইসলাম সরাসরি জড়িত। আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী এ নেতা ধানমন্ডিসহ আশপাশের এলাকায় সে সময় ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করে। তার সরাসরি ইন্ধনে গুলি চালানো হয়।

তবে আসামিপক্ষ অভিযোগ অস্বীকার করে তাকে নির্দোষ দাবি করে জামিন চান। যার বিরোধিতা করে রাষ্ট্র পক্ষ এবং রিমান্ডের স্বপক্ষে যুক্তি তুলে ধরেন। উভয় পক্ষের শুনানি শেষে জিয়াদুর রহমানের আদালত ৮ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

এ হত্যার ঘটনায় নিহতের শ্যালক আব্দুর রহমান সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরসহ ১৩০ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করেন।

এদিকে সোমবার (১৮ নভেম্বর) রাতে রাজধানীর উত্তরা-১২ নম্বর সেক্টর থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার রেজাউল করীম মল্লিক এ তথ্য নিশ্চিত করেন। তিনি জানান, রাত ১১ টার দিকে রাজধানীর উত্তরার একটি বাসা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাকে ডিবি কার্যালয়ে আনা হচ্ছে। আগামীকাল তাকে আদালতে হাজির করা হবে।

ইতোমধ্যে অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম এবং তার স্ত্রী-সন্তানের নামে থাকা দেশে-বিদেশে বিপুল পরিমাণ অবৈধ সম্পদের খোঁজে অনুসন্ধানে নেমেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। গত ১৪ অক্টোবর দুদকের প্রধান কার্যালয় এ সিদ্ধান্ত নেয় বলে গণমাধ্যমকে জানান সংস্থার উপ-পরিচালক ও জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. আকতারুল ইসলাম।

দুদক সূত্রে জানা যায়, সাবেক খাদ্যমন্ত্রী ও আইন প্রতিমন্ত্রী এবং ঢাকা-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য মো. কামরুল ইসলাম নিজের এবং তার স্ত্রী-সন্তানদের নামে দেশে-বিদেশে বিপুল পরিমাণ অবৈধ সম্পদ গড়ে তুলেছেন। আইন প্রতিমন্ত্রী থাকাকালে নিম্ন আদালতের বেশিরভাগ কর্মচারী নিয়োগের ক্ষেত্রে দুর্নীতি ও অনিয়মের মাধ্যমে তিনি কোটি কোটি টাকা ঘুষ গ্রহণ করেছেন। খাদ্যমন্ত্রী থাকা অবস্থায় দুর্নীতির মাধ্যমে ব্রাজিল থেকে নিম্নমানের গম ক্রয় করে সরকারের কোটি কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছেন তিনি।

বিআরইউ