৬৫.৯ শতাংশ বলেছেন, অন্তর্বর্তী সরকার যা যা সংস্কার করা প্রয়োজন মনে করবে তার সবগুলো করার পরই নির্বাচন আয়োজন করা উচিত।
অন্যদিকে বাংলাদেশের ৬১.১ শতাংশ মানুষ মনে করেন এক বছরের মধ্যে আগামী জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়া উচিত। আর শুধু নির্বাচন সংক্রান্ত জরুরি সংস্কারগুলো শেষ করে নির্বাচন আয়োজনের পক্ষে মত ৩১.৯ শতাংশ উত্তরদাতার। সম্প্রতি বাংলাদেশব্যাপী ভয়েস অব আমেরিকার করা এক জরিপে এসব তথ্য উঠে এসেছে।
শনিবার (২৩ নভেম্বর) এ জরিপের ফলাফল প্রকাশ করে এক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে গণমাধ্যমটি।
প্রতিবেদনে বলা হয়, অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেয়ার পর কেমন আছে বাংলাদেশ, এ নিয়ে কী ভাবছেন দেশের নাগরিকরা, এ বিষয়ে অক্টোবরের ১৩ থেকে ২৭ তারিখ, ভয়েস অব আমেরিকা বাংলাদেশব্যাপী একটি জরিপ করে।
জরিপে দেখা যায়, বাংলাদেশের ৬১.১ শতাংশ মানুষ এক বছরের মধ্যে আগামী জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়া উচিত বলে মনে করেন। তবে অন্তর্বর্তী সরকার যা যা সংস্কার করা প্রয়োজন মনে করবে, তার সবগুলো করার পরই নির্বাচন আয়োজন করা উচিত বলে মনে করছেন বাংলাদেশের বেশিরভাগ মানুষ অর্থাৎ ৬৫.৯ শতাংশ মানুষ।
জরিপে ১৮.৭ শতাংশ লোক চান দুই থেকে তিন বছরের মধ্যে নির্বাচন আর ৮.৬ শতাংশ নির্বাচন চান ১৮ মাসের মধ্যে। সবচেয়ে কম ৫.৮ শতাংশ জনগণ চার বছর বা তার চেয়ে বেশি সময় পর আগামী জাতীয় নির্বাচন হওয়ার পক্ষে মত দিয়েছেন।
অন্যদিকে, নির্বাচন নিয়ে মাথাব্যথা নেই অর্থাৎ, কত দ্রুত নির্বাচন হওয়া উচিত এ ব্যাপারে কিছু জানেন না বলেছেন ৪.৬ শতাংশ মানুষ আর নির্বাচন কবে হওয়া উচিত সম্পর্কে কিছু বলতে চাননি ১.১ শতাংশ।
প্রতিবেদনে বলা হয়, জরিপটি ভয়েস অব আমেরিকা বাংলার গবেষণা ও জরিপ প্রতিষ্ঠান ওআরজি-কোয়েস্ট রিসার্চ লিমিটেড। দেশের আটটি বিভাগে ১৮ বছর বা এর চেয়ে বেশি বয়সী এক হাজার মানুষের মধ্যে জরিপটি পরিচালিত হয়।
বিআরইউ