বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের পারস্পরিক স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয়ে বৈপরিত্যের সম্ভাবনা ক্ষীণ বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মোহাম্মদ রফিকুল আলম। বৃহস্পতিবার (৫ ডিসেম্বর) বিকেলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাপ্তাহিক ব্রিফিংয়ে তিনি এ কথা জানান।
‘যুক্তরাজ্যের একটি আলোচনা সভায় ভার্চুয়ালি বক্তব্য রাখবেন শেখ হাসিনা’, বিষয়টি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানে কি না এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমাদের জানা পত্রিকার মাধ্যমে। তিনি রাজনৈতিক অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি বক্তব্য দেবেন। আপনারা যেমনটা জানেন আমরাও তেমনটাই জানি। কীভাবে এ ফ্যাসিলেটেড হচ্ছে সেটা আমার বক্তব্য দেওয়ার বিষয় নয়। তিনি ভারতে আছেন, ভারত সরকার কীভাবে এটা হ্যান্ডেল করছে এটা তারাই ভালো বলতে পারবেন।
ট্রাম্প প্রশাসনের সঙ্গে কাজ করার ক্ষেত্রে কোনো বৈপরিত্য দেখা যাবে কি না? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আমাদের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক সুদীর্ঘ এবং বহুমাত্রিক। যুক্তরাষ্ট্র আমাদের অন্যতম বাণিজ্য এবং বিনিয়োগ অংশীদার। এছাড়া দুই দেশের মধ্যে পারস্পরিক স্বার্থ সংশ্লিষ্ট অনেক বিষয় রয়েছে। দীর্ঘ পাঁচ দশকের সম্পর্কে বাংলাদেশ ডেমোক্রেট এবং রিপাবলিকান উভয় দলের অধীন সরকারের সঙ্গে কাজ করেছে।
আমাদের পাঁচ দশকের সম্পর্ক পর্যালোচনা করলে এটা সহজেই অনুমেয় যে ক্ষমতাসীন দলের পরিবর্তন হলেও সঙ্গে তাদের পররাষ্ট্রনীতি ও কৌশলগত অবস্থান এবং জাতীয় লক্ষ্যসমূহ অনেকটাই অপরিবর্তিত থাকে। আমরা আগের ট্রাম্প সরকারের সঙ্গে কাজ করেছি। আমাদের দুই দেশের পারস্পরিক স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয়ে বৈপরিত্যের সম্ভাবনা ক্ষীণ।
আগরতলা সহকারী হাইকমিশনের কার্যক্রম সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আগরতলা মিশন থেকে এখন কনস্যুলার সেবা প্রদান বন্ধ আছে নিরাপত্তা জনিত কারণে। পরিস্থিতি উন্নতি ঘটলে আপনারা জানতে পারবেন।
আরএস