বিদ্যুৎ ও জ্বালানি উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান বলেছেন, অন্তর্বর্তী সরকার ব্যর্থ হলে বড় ধরনের বিদ্রোহ হবে।
বলেন, দাতা সংস্থারা আমাদের যা বোঝান, আমরা সেটাকেই মেনে নিই। এভাবে অপচয় কতদিন চলতে পারে? এর পরিণতি আমরা সবাই জানি। এবার যদি সরকার ব্যর্থ হয়, তাহলে আরও বড় বিদ্রোহ হবে। অনেকে মনে করে, এটা (গণবিদ্রোহ) ‘ওয়ান টাইম এপিসোড’। আসলে তা নয়।
শুক্রবার সকালে রাজধানীর সাউথইস্ট ইউনিভার্সিটিতে এইচআর কনভেনশনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপদেষ্টা এসব কথা বলেন। ‘ফেডারেশন অব বাংলাদেশ হিউম্যান রিসোর্স অর্গানাইজেশন (এফবিএইসআরও)’ এর আয়োজন করে।
অনুষ্ঠানে জ্বালানি উপদেষ্টা বলেন, পাবলিক সেক্টরে দুর্নীতি ও অনিয়মের জন্য আমরা সাধারণত রাজনীতিবিদদের দোষ দিয়ে থাকি। কিন্তু তারা কাদের সহায়তায় করে? ব্যাংকগুলো যে ফাঁকা করেছে, এগুলো কি রাজনীতিবিদরা ভল্ট খুলে নিয়ে গেছে? এগুলোর সহযোগী কারা? এটা একটা গভীর সংকট।
ফাওজুল কবির বলেন, খুলনার রূপসায় আট হাজার কোটি টাকা খরচ করে একটা বিদ্যুৎকেন্দ্র হয়েছে। কিন্তু সেখানে কোনো গ্যাস নেই। পদ্মা রেল ব্রিজে ৪১ হাজার কোটি টাকা খরচ। শেষ মুহূর্তে সেখানে কয়েক হাজার কোটি টাকা খরচ কমানো হয়েছে। রাজস্ব দেখলাম, লেখা আছে– বছরে ১৪০০ কোটি টাকা। ৬ মাসে দেখলাম আসছে মাত্র ৩৭ কোটি টাকা! এভাবেই প্রকল্প ‘জাস্টিফাই’ করা হয়েছে। এগুলো অপচয় ছাড়া কিছুই না। এগুলোর দায় শুধু রাজনীতিবিদদের না; এখানে সরকারি কর্মকর্তারাও জড়িত।
সাধারণ চাকরির জন্য বিদেশ থেকে লোক নিয়োগ দেওয়া হবে না জানিয়ে উপদেষ্টা বলেন, বিদেশি ও অভিজ্ঞদের নিয়োগের ক্ষেত্রে দেশের সব সেক্টরে হিউম্যান রিসোর্স কম রয়েছে। তাই বিদেশিদের শুধু বড় পদের জন্য বিবেচনা করা হবে।
অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন সাউথইস্ট ইউনিভার্সিটির উপাচার্য অধ্যাপক ড. ইউসুফ মাহাবুবুল ইসলাম, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব ড. মো. মোখলেস উর রহমান, ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির চেয়ারম্যান ও অ্যাসোসিয়েশন অব প্রাইভেট ইউনিভার্সিটিজ অব বাংলাদেশের (এপিইউবি) চেয়ারম্যান ড. মো. সবুর খান, সাউথইস্ট ইউনিভার্সিটি ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান রেজাউল করিম।
ইএইচ