মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার বলেছেন, শুধু বিচারের মুখোমুখি হতে শেখ হাসিনা দেশে আসবে, অন্যথায় নয়।
আজ দুপুরে রাজধানীর সেগুনবাগিচায় ঢাকা রিপোর্টারস ইউনিটির মিলনায়তনে গণ-আকাঙ্ক্ষা মঞ্চ আয়োজিত `গণ-আকাঙ্ক্ষা, গণ-অভ্যুত্থান : প্রত্যাশা ও প্রাপ্তি, বর্তমান পরিস্থিতি পর্যালোচনা` শীর্ষক আলোচনা সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন,“এতো-এতো মৃত্যুর ঘটনা শুধু জুলাই-আগস্টে ঘটেনি, গত ১৫ বছরে ঘটেছে। বহু মানুষ গুম-খুনের শিকার হয়েছে কিন্তু বিচার দিতে পারেনি। হাসিনা যদি দেশে আসে তাহলে তার বিচারের জন্য আসবে এবং এ দেশের মাটিতেই তার বিচার হবে।”
তিনি আরও বলেন, “কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে বিচারের মুখোমুখি হতেই তাকে আসতে হবে, তাছাড়া এদেশে আসার কোন অধিকার তার নেই।”
সাম্প্রতিক সময়ে দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করতে একটি বিশেষ মহলের চক্রান্ত থেকে দেশবাসীকে সচেতন থাকার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, “কেউ ভয় দেখাতে চাইলেই আমরা ভয় কেন পাবো? ছোট-ছোট ছেলে-মেয়েরা সারা পৃথিবীকে দেখিয়ে দিয়েছে গণ-অভ্যুত্থান কি। ১৫ বছরের বেশি সময় ধরে ক্ষমতা আঁকড়ে থাকা ফ্যাসিবাদীদের তারা সরিয়ে দিয়েছে, যেটা অন্য কোন রাজনৈতিক দলও করে দেখাতে পারেনি। সুতরাং, ভুলে গেলে চলবে না এ দেশ আমাদের এবং এর সার্বভৌমত্ব রক্ষা করা আমাদের সবার দ্বায়িত্ব।”
“গণ-অভ্যুত্থানের মর্যাদা অক্ষুণ্ন রাখতে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবেন এমন সব রাজনৈতিক দলকে আগে থেকেই এ বার্তা দিতে হবে যে, ‘ক্ষমতায় বসা’র জন্য নয়, দেশের দ্বায়িত্ব যদি নিতে চান, নিতে পারেন, তবেই নির্বাচনে অংশগ্রহণ করুন। কারণ আমরা দেখেছি, ‘ক্ষমতায় বসা’ কি জিনিস এবং এর পরিণাম কি।”
এসময়, তিনি জাতি-ধর্ম এসবের পরিচয়ের ওপর ভিত্তি করে নিজেদের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টিকে রুখে দিয়ে মানবিক মূল্যবোধ ও মানুষে-মানুষে সম্প্রীতির বন্ধন গড়ে তোলার আহ্বান জানান, যেন জুলাই-আগস্টে শহিদদের প্রাণের ও আহতদের আত্নত্যাগের যথাযথ মূল্যায়ন হয়।
আলোচনায় সভাপতিত্ব করেন গণ-আকাঙ্ক্ষা মঞ্চ’র আহ্বায়ক আব্দুল মজিদ অন্তর।
অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন ‘রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলন’র প্রধান সমন্বয়ক এডভোকেট হাসনাত কাইয়ুম, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগী অধ্যাপক ড. সামিনা লুৎফা ও ড. গোলাম সরওয়ার, বাংলাদেশ প্রেস ইন্সটিটিউটের মহাপরিচালক ফারুক ওয়াসিফ ও জুলাই-আগস্ট বিপ্লবে শহিদদের পরিবারের সদস্যরা।
আরএস