সারাদেশে জেঁকে বসেছে তীব্র শীত। বিশেষ করে উত্তরাঞ্চলের জেলাগুলোর মানুষের জবুথবু অবস্থা। রাজধানীতেও এর প্রভাব পড়তে শুরু করেছে। সন্ধ্যার পর থেকেই শীতের আবহ বাড়তে শুরু করে। এরই মধ্যে গতকাল দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৮ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায়।
এদিকে দেশের তিন জেলা পঞ্চগড়, রাজশাহী ও চুয়াডাঙ্গায় শৈত্যপ্রবাহ শুরু হয়েছে। এই পরিধি আরও কয়েকটি জেলায় ছড়িয়ে পড়তে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
শুক্রবার (১৩ ডিসেম্বর) রাতে আবহাওয়া অধিদফতর থেকে প্রকাশিত পরবর্তী ৭২ ঘণ্টার পূর্বাভাসে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।
পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, শনিবার দেশের আরও নতুন নতুন এলাকায় শৈত্যপ্রবাহ ছড়িয়ে পড়তে পারে। সামগ্রিকভাবে সারা দেশের তাপমাত্রা কিছুটা কমতে পারে। দিনভর কুয়াশা থাকতে পারে। ফলে দিন ও রাতের তাপমাত্রার পার্থক্য কমে আসতে পারে। পরবর্তী ৪৮ ঘণ্টায় সারা দেশে রাত এবং দিনের তাপমাত্রা সামান্য কমতে পারে এবং রোববার সারা দেশে রাত এবং দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে বলেও এতে জানানো হয়েছে।
এতে আরও বলা হয়, দক্ষিণপশ্চিম বঙ্গোপসাগরের শ্রীলঙ্কা উপকূলে অবস্থানরত সুস্পষ্ট লঘুচাপটি দুর্বল হয়ে লঘুচাপে পরিণত হয়েছে এবং গুরুত্বহীন হয়ে পড়েছে। মৌসুমের স্বাভাবিক লঘুচাপ দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে। এর বর্ধিতাংশ উত্তর বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। উপমহাদেশীয় উচ্চচাপ বলয়টি পশ্চিম বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকা পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে।
সংস্থাটি সতর্ক করে জানায়, ঘন কুয়াশার কারণে যানবাহন চলাচলে সাবধানতা অবলম্বনের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। বিশেষ করে দেশের উত্তরাঞ্চল ও দক্ষিণ–পশ্চিমাঞ্চলের জেলাগুলোয় শৈত্যপ্রবাহ বেশি ছড়িয়ে পড়তে পারে। আগামী দুই দিন ওই শৈত্যপ্রবাহ চলতে পারে। চলতি মাসের বাকি সময়জুড়ে দেশের বিভিন্ন স্থানে তীব্র শীতের অনুভূতি থাকতে পারে বলেও জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদফতর।
বিআরইউ