আগামী শিক্ষাবর্ষে গুচ্ছ পদ্ধতিতে ভর্তি পরীক্ষা নিতে নারাজ বেশ কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়। তারা আলাদাভাবে ভর্তির বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করছে। অনেক বিশ্ববিদ্যালয়ে আবেদন প্রক্রিয়াও শেষদিকে। শিক্ষা মন্ত্রণালয় বারবার অনুরোধ করলেও গুচ্ছ ভর্তি পদ্ধতিতে ফেরার ব্যাপারে কোনো সাড়া দেয়নি বিশ্ববিদ্যালয়গুলো।
এবার গুচ্ছ ভর্তি পদ্ধতি চালু রাখার দাবি জানালেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ। একই সঙ্গে তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির আবেদন ফি কমানোর দাবিও জানিয়েছেন। হাসনাতের ভাষ্য, ‘আবেদন ফি কমাও, গুচ্ছ পদ্ধতি চালু রাখো।’
শনিবার (১৪ ডিসেম্বর) দুপুরে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক আইডিতে দেওয়া পোস্টে তিনি এমন স্লোগানে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির ক্ষেত্রে এ দুটি দাবি তুলে ধরেন।
পোস্টে হাসনাত আব্দুল্লাহ লিখেছেন, ‘শিক্ষা সবার অধিকার, বাণিজ্যের পণ্য নয়! হাজার টাকার আবেদন ফি, যাতায়াত ও থাকার খরচে বর্তমান ভর্তি প্রক্রিয়া শিক্ষার্থীদের জন্য এক ভয়ানক আর্থিক চাপ। প্রতিটি শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যৎ ঝুলছে টাকার অঙ্কে।’
তিনি আরও লেখেন, ‘মেধার মূল্যায়ন নয়, বৈষম্যের দেওয়াল টেনে দিচ্ছে এই ব্যবস্থা। উচ্চশিক্ষা কি শুধুই ধনীদের জন্য? আবেদন ফি কমাও, গুচ্ছ পদ্ধতি চালু রাখো।’
জানা গেছে, চলতি বছর ২৪টি সাধারণ ও বিজ্ঞান-প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের গুচ্ছ থেকে সবার আগে বেরিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেয় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়। এরপর শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়সহ (শাবিপ্রবি) আরও কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয় বেরিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়ায় সবচেয়ে বড় গুচ্ছটি ভেঙে গেছে। তবে শেষ পর্যন্ত অল্প কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয় এই গুচ্ছে থাকতে পারে বলে জানিয়েছে ইউজিসি।
অন্যদিকে, প্রকৌশল গুচ্ছ স্পষ্টতই ভেঙে গেছে। গুচ্ছভুক্ত চুয়েট ও কুয়েট বিশ্ববিদ্যালয় নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় ভর্তির বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে আবেদন নিচ্ছে। আর রুয়েট ভর্তির পরীক্ষার তারিখ নির্ধারণ করেছেন।
তাছাড়া কৃষি গুচ্ছ থেকে বেরিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়ে রেখেছে দেশের সবচেয়ে বড় কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (বাকৃবি)। ফলে কৃষি গুচ্ছ শেষ পর্যন্ত থাকলেও তাতে কতটি বিশ্ববিদ্যালয় থাকবে, তা নিয়ে সংশয়ে খোদ ইউজিসিও।
আরএস