পররাষ্ট্র উপদেষ্টা

জাতীয় স্বার্থে বৃহৎ ঐক্য থাকা প্রয়োজন

নিজস্ব প্রতিবেদক প্রকাশিত: ডিসেম্বর ২৮, ২০২৪, ১১:৪২ পিএম

পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন বলেছেন, পৃথিবীর বেশির ভাগ দেশই আছে, যেসব দেশে দুটো বড় দল আছে সেখানেও আলোচনার ভিত্তিতে অনেক কিছু নির্ধারিত হয়। কিন্তু আমাদের দেশে গত ৫২ বছরে তা দেখিনি। সব সময় সরকার যেটা মনে করেছে তাই করেছে।

বলেন, অনেক সময় সরকারি দল সঠিক সিদ্ধান্ত নিলেও বিরোধী দল বিরোধিতার খাতিরে বিরোধিতা করে। এ অবস্থা থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। দ্বিমত থাকতে পারে। একই বিষয়ে বিভিন্ন সমাধান থাকে। কিন্তু জাতীয় স্বার্থের প্রশ্নে বৃহৎ ঐক্য থাকা প্রয়োজন।

শনিবার খামারবাড়ি কৃষিবিদ ইনস্টিটিউটে ফোরাম ফর বাংলাদেশ স্টাডিজ আয়োজিত ঐক্য, সংস্কার ও নির্বাচন শীর্ষক জাতীয় সংলাপে তিনি এসব কথা বলেন।

দর্শকের এক প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ভারতের পররাষ্ট্রসচিব আমাদের নলেজেই সেনাপ্রধানের সঙ্গে দেখা করতে গেছেন। কোনো গোপনীয়তা ছিল না।

থাইল্যান্ড মিয়ানমার ইস্যুতে অনানুষ্ঠানিক বৈঠক প্রসঙ্গে তৌহিদ হোসেন বলেন, মূল আলোচনা তিনটা বিষয় ছিল। তা হল- সীমান্ত, অপরাধ ও মাদক এবং মিয়ানমারের ভবিষ্যৎ কি হবে। সেখানে রোহিঙ্গা ইস্যু ছিল না। আমাকে আমন্ত্রণ জানালে বলেছিলাম এই তিনটা ইস্যুতে রোহিঙ্গাদের স্বার্থ ওৎপতভাবে জড়িত। রোহিঙ্গা সমস্যার সমাধান না হলে তিনটা জিনিসের সমাধান হবে না।

সাইড লাইন বৈঠকের বিষয়ে তিনি বলেন, সবার সঙ্গে বৈঠকে আমি বলেছি রোহিঙ্গাদের সমস্যার সমাধান করো। তাদের ২ লাখ তরুণ-তরুণী আছে। তারা যদি আগ্রাসী হয় সেখানে বাংলাদেশসহ প্রতিটি দেশের ক্ষতি হবে। এরই মধ্যে সেই লক্ষণ দেখা যাচ্ছে।

‘মিয়ানমারে শান্তি প্রতিষ্ঠা হলে রোহিঙ্গাদের ফেরত পাঠাতে হবে। তা না হলে তোমাদের (মিয়ানমারের প্রতিবেশি সবদেশ) শান্তিও থাকবে না,’ বলেন তিনি।

উপদেষ্টা বলেন, বলা হয় ব্যক্তির চেয়ে দল বড়, দলের চেয়ে দেশ বড়। কিন্তু বাস্তবে দেখেছি উল্টোটা। দেখেছি রাষ্ট্রের চেয়ে একটা গ্রুপের স্বার্থকে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে, যার মধ্যে যিনি প্রধান তার স্বার্থকে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।

ইএইচ