প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম জানিয়েছেন, আইএমএফের চাপে নয়, ট্যাক্স-জিডিপি অনুপাত বাড়াতে সরকার কিছু পণ্যের ওপর ভ্যাট বাড়িয়েছে।
রোববার (১২ জানুয়ারি) প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইংয়ের সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন তিনি।
শফিকুল আলম বলেন, বাংলাদেশের উন্নতি ও মানুষের কল্যাণের জন্য শুল্ক ও জিডিপির অনুপাত একটি নির্দিষ্ট জায়গায় নিতেই হবে। সে প্রেক্ষিতেই কিছু শুল্ক আরোপ করা হয়েছে। এছাড়া ভ্যাটের ক্ষেত্রে বিভিন্ন প্রকারভেদ ছিল। কিছু কিছু পণ্যের ক্ষেত্রে ৩/৪ শতাংশ, কোনো কোনো পণ্যের ক্ষেত্রে আরও একটু বেশি ছিল। সরকার চাইছে, পুরোটিকে একটি নির্ধারিত ১৫ শতাংশে আনতে যাতে লিকেজ কমানো যায়।
তিনি বলেন, আমরা বলছি না যে ট্যাক্স বাড়ালে মানুষের ওপর প্রভাব পড়বে না। তবে আমরা মনে করছি সেটা খুবই মিনিমাম হবে।
প্রেস সচিব বলেন, সত্যিকার অর্থে আমরা চাচ্ছি যে ট্যাক্স এমন একটা জায়গায় যাক যেন আমাদের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি হয়। ট্যাক্স-জিডিপি অনুপাত কমে যাওয়া মানে যে ঋণ করা হচ্ছে, তা পরিশোধ করা সম্ভব নাও হতে পারে।
আইএমএফের চাপে ভ্যাট বাড়ানো হচ্ছে কিনা, এমন প্রশ্নের জবাবে প্রেস সচিব বলেন, আইএমএফের কথা আমরা কেন নেবো। আমাদের এখানে অর্থনীতিবিদেরা আছেন। আমাদের ম্যাক্রো ইকোনমিক স্ট্যাবিলিটি দরকার। স্ট্যাবিলিটি না থাকলে টাকার মান কমে যায়। স্ট্যাবিলিটি বাড়ানোর জন্য আমাদের ট্যাক্স-জিডিপি অনুপাত বাড়াতে হবে। গত ৫ মাসে আমাদের রাজস্ব ঘাটতি ৪২ হাজার কোটি টাকা। এ ঘাটতি আমাদের মেটাতে হবে।
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব বলেন, দেশের ফিন্যান্সিয়াল হেলথ ভালো হলে মূল্যস্ফীতি কমে আসে। আইএমএফের ঋণটাই মুখ্য নয়। আইএমএফের সঙ্গে সম্পর্ক তৈরি হলে ম্যাক্রো ইকোনমিক স্ট্যাবিলিটির জন্য তারা বেস্ট সাজেশন দেয়। তারা যেখানে ঋণ দেয়, সেখানে বিশ্বব্যাংকসহ বাইরের বিভিন্ন বিনিয়োগ আসা সহজ হয়।
তিনি আরও বলেন, অন্তর্বর্তী সরকার আসার পর থেকে আমরা চেষ্টা করছি আমাদের খরচটা কীভাবে কমানো যায়। আগে ৩০০ জনের বহর নিয়ে বিদেশ যাওয়া হতো। এখন আমাদের ৪০-৫০ জনের বেশি হয় না।
প্রেস ব্রিফিংয়ে উপস্থিত ছিলেন প্রধান উপদেষ্টার ডেপুটি প্রেস সেক্রেটারি আবুল কালাম আজাদ মজুমদার, ডেপুটি প্রেস সেক্রেটারি অপূর্ব জাহাঙ্গীর, সহকারী প্রেস সচিব সুস্মিতা তিথি।
আরএস