জাতীয় নাগরিক কমিটি আগামী নির্বাচনে প্রবাসীদের ভোটাধিকার নিশ্চিত দেখতে চায় মন্তব্য করে সারজিস আলম বলেছেন, যখন দেশে বাংলা ব্লকেড কর্মসূচি পালন হচ্ছিল তখন বাংলাদেশের রেমিট্যান্স যোদ্ধারা রেমিট্যান্স শাটডাউন কর্মসূচি পালন করেছে। তাদের প্রতি আজীবন কৃতজ্ঞ থাকবে বাংলাদেশের মানুষ।
রোববার বাংলামোটরে সংগঠনটির কার্যালয়ে জাতীয় নাগরিক কমিটির ডায়াসপোরা কেন্দ্রীয় কমিটি ঘোষণা নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি।
প্রবাসী লেখক ও অনলাইন অ্যাকটিভিস্ট পিনাকী ভট্টাচার্য, সাংবাদিক ইলিয়াস হোসেন ও কনোক সারোয়ারের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে জাতীয় নাগরিক কমিটির মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম বলেন, এই অভ্যুত্থান পরবর্তী সময়ে ডায়াসপোরা কমিউনিটির একটি অংশকে অন্তরের অন্তস্থল থেকে স্মরণ করতে চাই। আমরা যদি উদাহরণ স্বরূপ ইলিয়াস ভাই, পিনাকি দাদা, কনোক সারোয়ারের কথা বলি, তাদের মতো এমন অসংখ্য ব্যক্তি ছিলেন যারা ওই রেজিমের বিরুদ্ধে দেশের বাইরে থেকে কথা বলেছেন এবং এখনো তাদের জায়গা থেকে দেশের জন্য কথা বলছেন। আমরা আমাদের এই ডায়াসপোরার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। নতুন বাংলাদেশ গঠনে তাদের সক্রিয় অংশগ্রহণ প্রয়োজন। যারা প্রবাস জীবন কাটিয়েছে তাদের সংসদেও আসা প্রয়োজন।
তিনি আরও বলেন, অভ্যুত্থান পূর্ববর্তী সময়ে খুনি হাসিনা মিডিয়ার গলা চেপে ধরে রেখেছিল। বিভিন্ন এজেন্সি অলওয়েজ নজরদারি করত। তারা নিউজের শব্দ ও বাক্য ঠিক করে দিত। কিন্তু দেশের বাইরে প্রবাসী ফিল্যান্সার সাংবাদিকেরা সাহস জুগিয়েছেন, খুনি হাসিনার রেজিমের বিরুদ্ধে কথা বলেছেন।
সংবাদ সম্মেলনে আরও বক্তব্য দেন জাতীয় নাগরিক কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক মনিরা শারমিন, যুগ্ম সদস্য সচিব এস এম সাইফ মোস্তাফিজ, প্রবাসী বিষয়ক সম্পাদক এহতেশাম হক প্রমুখ।
এ সময় জাতীয় নাগরিক কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক ডা. তাসনিম জারা এবং প্রবাসী বিষয়ক সম্পাদক এহতেশাম হক চার মহাদেশ ও ৩০ দেশের ৭৫ জন প্রতিনিধির সমন্বয়ে কেন্দ্রীয় প্রবাসী কমিটি ঘোষণা করেন।
কেন্দ্রীয় প্রবাসী কমিটির সদস্যদের মধ্যে রয়েছেন—আব্দুর রাকীব সামি, আবু সলমান মুরাদ, আবুল বাশার রহমান, আল আমিন, আলমগীর চৌধুরী আকাশ, আলমগীর হোসেন, এনামুল হক এনাম, দেওয়ান সাহাব-উদদীন, দিলশানা পারুল, ইসরাত জাহান চৌধুরী, ফখরুল ইসলাম, ফারিয়া ফাহি প্রমুখ।
ইএইচ