জুলাই অভ্যুত্থান নিয়ে জাতিসংঘের তদন্ত প্রতিবেদন প্রকাশ আজ

আমার সংবাদ ডেস্ক প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ১২, ২০২৫, ১১:১৩ এএম

গত বছরের জুলাই-আগস্টে বাংলাদেশে সংঘটিত মানবাধিকার লঙ্ঘনের তদন্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করবে জাতিসংঘের ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং মিশন। আজ বুধবার দুপুর আড়াইটায় জেনেভায় এই প্রতিবেদন প্রকাশ করা হবে বলে জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনারের দপ্তর জানিয়েছে।

এর আগে জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনারের দপ্তরের পক্ষ থেকে আগামীকাল বৃহস্পতিবার তদন্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করা হবে বলে জানিয়েছিল। তবে একদিন এগিয়ে আজই এই প্রতিবেদন করা হবে।

এদিকে পরিবর্তিত তদন্ত প্রতিবেদন প্রকাশ উপলক্ষে আজ জেনেভায় সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। এতে জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনার ভলকার তুর্ক উদ্বোধনী বক্তব্য প্রদান করবেন। এ ছাড়া প্যানেল সদস্য হিসেবে আরো উপস্থিত থাকবেন জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক দপ্তরের এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চল প্রধান ররি মাঙ্গোভেন, মানবাধিকার কর্মকর্তা জ্যোত্স্না পৌদ্যাল এবং প্রধান মুখপাত্র রাভিনা শামদাসানি।

দক্ষিণ এশিয়ার বিভিন্ন দেশে মানবাধিকার লঙ্ঘন তদন্তে জাতিসংঘ ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং মিশন গঠনের নজির ছিল। তবে বাংলাদেশের ক্ষেত্রে এটিই প্রথম।

গত বছর জুলাই-আগস্টে কোটাবিরোধী আন্দোলনে অতিরিক্ত বলপ্রয়োগ, নির্বিচার গুলিবর্ষণ ও হত্যাযজ্ঞের অভিযোগ ওঠার পরপরই জাতিসংঘ গভীর উদ্বেগ জানিয়ে আসছিল। ছাত্র-জনতার প্রবল আন্দোলনের মুখে গত বছরের ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতন ঘটে। এরপর ৮ আগস্ট ড. ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকার গঠিত হয়।

ড. মুহাম্মদ ইউনূস দায়িত্ব নেওয়ার পরপরই জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক দপ্তরের প্রধান ভলকার তুর্ককে মানবাধিকার লঙ্ঘন তদন্তের আহ্বান জানান।

গত আগস্টেই প্রাক-তদন্ত দল ঢাকা আসে এবং সেপ্টেম্বরে মূল তদন্ত শুরু হয়। ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং মিশন গত বছরের ১ জুলাই থেকে ১৫ আগস্ট পর্যন্ত গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিষয়ে তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করেছে। সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো জানায়, গত মাসের শেষ সপ্তাহে জাতিসংঘ তাদের খসড়া প্রতিবেদন নিয়ে মতামতের জন্য বাংলাদেশ সরকারকে দিয়েছিল। সরকার গত সপ্তাহে মতামত জানিয়েছে।

জানা গেছে, প্রায় দেড় শ পৃষ্ঠার প্রতিবেদনে ঘটনা ও এর কারণ এবং ভবিষ্যতে এ ধরনের ঘটনা এড়ানোর সুপারিশ করেছে জাতিসংঘের ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং মিশন।

একটি সূত্র জানায়, গত বছরের ৫ আগস্ট ক্ষমতাচ্যুত হওয়া আওয়ামী লীগ সরকারের উচ্চ পর্যায়ের নেতৃত্বের নির্দেশে ব্যাপক হত্যাকাণ্ড ও মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা ঘটেছে বলে জাতিসংঘের ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং মিশন প্রমাণাদি পেয়েছে। একই সঙ্গে ওই ঘটনাগুলোর আরো তদন্ত করার জন্য সরকারকে সুপারিশ বা পরামর্শ দিয়েছে ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং মিশন। তবে ওই সুপারিশ বা পরামর্শগুলো বাংলাদেশ মানতে বাধ্য নয়। অন্যদিকে এ ধরনের ফ্যাক্ট-ফাইন্ডিং মিশনের তথ্য-উপাত্ত আদালতে যুক্তি হিসেবে তুলে ধরার নজির রয়েছে।

বিআরইউ