জুলাই গণহত্যার বিচার ও গণহত্যাকারীদের রাজনীতি নিষিদ্ধের দাবিতে গঠিত হয়েছে জুলাই মঞ্চ।
মঙ্গলবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে জাতীয় জাদুঘরের সামনে এই মঞ্চ গঠন করা হয়।
এসময় গণহত্যাকারীদের বিচারের দাবিতে শাহবাগে লাগাতার কর্মসূচি পালনের ঘোষণা দেন মঞ্চের প্রতিনিধিরা।
এসময় জুলাই মঞ্চের সদস্য আরিফুল ইসলাম তালুকদার বলেন, জুলাইয়ে যারা গণহত্যা চালিয়েছে সেই আওয়ামী লীগ ও তার সহযোগী সংগঠনগুলোকে নিষিদ্ধ করতে হবে। এসব সংগঠনের সদস্যদের সর্বোচ্চ বিচারের আওতায় আনতে হবে। এছাড়াও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও প্রশাসনে যারা ফ্যাসিবাদের দোসর হিসেবে কাজ করেছে তাদেরকেও দ্রুত গ্রেপ্তার করে বিচারের মুখোমুখি করতে হবে।
তিনি বলেন, আমরা লক্ষ্য করছি ফ্যাসিস্টদের বিচার নিয়ে এই সরকার শিথিলতা দেখাচ্ছে। এটা কোনোভাবেই মেনে নেওয়া হবে না। যতদিন পর্যন্ত ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের বিচার নিশ্চিত না হবে আমরা শাহাবাগে লাগাতার অবস্থান কর্মসূচি চালিয়ে যাব। অভ্যুত্থানের পর থেকেই আমরা সরকারের কাছে দাবি জানিয়েছি যত দ্রুত সম্ভব ফ্যাসিস্টদের আইনের আওতায় এনে গণহত্যার বিচার নিশ্চিত করতে হবে।
তিনি আরও বলেন, আমরা দেখছি ডেভিল হান্টের আওতায় যাদের গ্রেপ্তার করা হচ্ছে তারা পতিত শক্তির নিম্ন পর্যায়ের নেতা। শুধু তাদের গ্রেপ্তার করে দায়সারা কাজ করলে হবে না। শেখ হাসিনাসহ আওয়ামী লীগের পলাতক নেতাদের দেশে ফিরিয়ে এনে বিচার করতে হবে। যতদিন পর্যন্ত বিচার নিশ্চিত না হবে আমাদের এই সংগ্রাম চলবে।
এসময় মঞ্চের সদস্য সাকিব হোসাইন বলেন, গণহত্যার জন্য প্রমাণ জোগাড় করা প্রয়োজন নেই। এটা প্রমাণিত সত্য শেখ হাসিনা ও আওয়ামী লীগের নেতৃত্বেই জুলাইয়ে ২ হাজারের অধিক ছাত্র-জনতা হত্যা এবং একইসঙ্গে ২৫ হাজারের অধিক মানুষের অঙ্গহানি হয়েছে। সুতরাং ছাত্র-জনতার আদালতে আওয়ামীলকে নিষিদ্ধ ও হাসিনাকে ফাঁসির দড়িতে ঝুলাতে হবে। যতদিনে এই বিচার করা না হবে ততদিন পর্যন্ত আমাদের অবস্থান কর্মসূচি চলমান থাকবে।
অবস্থান কর্মসূচিতে এসময় উপস্থিত ছিলেন, জুলাই মঞ্চের সদস্য রাকিব হোসেন গাজী, ইন্জিনিয়ার টিসিএম চাক, জাবের মাহমুদসহ অন্যান্যরা।
আরএস