বিএসইসি ঘেরাও, বিশেষ নিরাপত্তায় কার্যালয় ছাড়লেন চেয়ারম্যান

আমার সংবাদ ডেস্ক প্রকাশিত: মার্চ ৫, ২০২৫, ০৫:৩৮ পিএম

শেয়ারবাজারের নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) নির্বাহী পরিচালক সাইফুর রহমানকে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানোর আদেশ জারির পর নিয়ন্ত্রণ সংস্থাটির কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মধ্যে চরম ক্ষোভ তৈরি হয়েছে।

এর পরিপ্রেক্ষিতে বিক্ষুব্ধ কর্মকর্তা-কর্মচারীরা বুধবার (৫ মার্চ) দুপুরের দিকে বিএসইসি চেয়ারম্যান ও কমিশনারদের ফ্লোর (পঞ্চম তালা) ঘেরাও করে বিক্ষোভ করেন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে বিএসইসি ভবনের সামনে সেনাবাহিনীসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের মোতায়ের করা হয়েছে।

এক পর্যায়ে সেনাবাহিনীর নিরাপত্তায় বিএসসির কার্যালয় থেকে বের হয়ে যান চেয়ারম্যান খন্দকার রাশেদ মাকসুদ। অবশ্য বিএসএস‍‍`র চেয়ারম্যান কার্যালয় ছাড়ার আগে বিক্ষুব্ধ কর্মকর্তারা বিএসইসি ভবনের কিছু জায়গায় ভাঙচুর চালান।

বিক্ষোভ কর্মসূচি থেকে সাইফুর রহমানকে কেন বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানো হলো, তার জবাব চান কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। কেউ কেউ বিএসইসি চেয়ারম্যান খন্দকার রাশেদ মাকসুদের পতদ্যাগ দাবি করেন।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিএসইসির এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেছেন, বর্তমান কমিশন নিয়ে বিএসইসির কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মধ্যেও হতাশা আছে। এর মধ্যে অন্যতম কারণ— কমিশনারদের খারাপ আচরণ ও ১২ কোম্পানির তদন্তের আলোকে শোকজ করা। সব মিলিয়ে বাজে পরিস্থিতি বিরাজ করছে বিএসইসিতে।

মঙ্গলবার (৪ মার্চ) নির্বাহী পরিচালক সাইফুর রহমানকে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানোর আদেশ জারির পর পরিস্থিতি আরো খারাপ অবস্থায় চলে গেছে। তাই, বিএসইসির চেয়ারম্যান ও কমিশনারদের বিরুদ্ধে আন্দোলনে নেমেছেন কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।

সাইফুর রহমানকে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানোর আদেশে উল্লেখ করা রয়েছে, যেহেতু বিএসইসির নির্বাহী পরিচালক সাইফুর রহমানের চারকরিকাল ২৫ বছর পূর্ণ হয়েছে এবং যেহেতু কমিশন জনস্বার্থে তাকে চাকরি থেকে অবসর দেওয়া প্রয়োজন মর্মে বিবেচনা করে, সেহেতু বিএসইসিরর কর্মচারী চাকরি বিধিমালা, ২০২১ এর ৬৩ বিধি এবং এতদ-সংশ্লিষ্ট সরকারি চাকরি আইন, ২০১৮ এর ৪৫ ধারার ক্ষমতাবলে সোমবার (৪ মার্চ) অনুষ্ঠিত ৯৪৫তম কমিশন সভার সিদ্ধান্ত মোতাবেক তাকে চাকরি হতে অবসর দেওয়া হলো। তিনি বিধি অনুযায়ী অবসরজনিত সুবিধা প্রাপ্য হবেন।

এর আগে রাশেদ মাকসুদের নেতৃত্বাধীন কমিশন দায়িত্ব নিয়েই গত বছরের ২২ আগস্ট সাইফুর রহমানকে ইস্যুয়ার কোম্পানি অ্যাফেয়ার্স বিভাগ থেকে আরঅ্যান্ডডি বিভাগের দায়িত্ব দেয়। তখনই মূলত তাকে একপ্রকার ওএসডি করা হয়। তবে, ৯ সেপ্টেম্বর সেই দায়িত্ব থেকেও সরিয়ে দেওয়া হয় তাকে। সেই থেকে সাইফুর রহমান নিয়মিত অফিসে এসেছেন, কিন্তু কোনো কাজ করতে পারেননি।

আরএস