আজ ১৭ মার্চ, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০৫তম জন্মবার্ষিকী। ১৯২০ সালের এই দিনে গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় তিনি জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবা শেখ লুৎফর রহমান ও মা সায়েরা খাতুন।
আত্মত্যাগ, রাজনৈতিক প্রজ্ঞা ও জনগণের প্রতি অসীম ভালোবাসার কারণে তিনি বাঙালির অবিসংবাদিত নেতা হিসেবে পরিচিত হন।
শেখ মুজিবুর রহমানের শিক্ষাজীবন শুরু হয় গিমাডাঙ্গা প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। এরপর গোপালগঞ্জ মিশন স্কুলে পড়াকালীন সময়ে ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলনে অংশ নিয়ে প্রথমবারের মতো কারাবরণ করেন। পরে কলকাতার ইসলামিয়া কলেজে ভর্তি হন এবং ১৯৪৭ সালে সেখান থেকে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেন।
রাজনীতিতে তার আনুষ্ঠানিক পথচলা শুরু হয় ১৯৪০ সালে সর্বভারতীয় মুসলিম ছাত্র ফেডারেশনে যোগদানের মাধ্যমে। ১৯৪৬ সালে তিনি কলকাতা ইসলামিয়া কলেজ ছাত্র সংসদের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। ১৯৪৯ সালে আওয়ামী মুসলিম লীগের পূর্ব পাকিস্তান শাখার যুগ্ম সম্পাদক এবং ১৯৫৩ সালে দলের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। ১৯৫৪ সালে যুক্তফ্রন্ট থেকে পূর্ব পাকিস্তানের আইন পরিষদের সদস্য হন।
তিনি ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলন, ১৯৫৪ সালের যুক্তফ্রন্ট নির্বাচন, ১৯৫৮ সালের সামরিক শাসনবিরোধী আন্দোলন, ১৯৬৬ সালের ছয় দফা, ১৯৬৯ সালের গণঅভ্যুত্থানসহ প্রতিটি গণতান্ত্রিক আন্দোলনে নেতৃত্ব দেন। তার দূরদর্শী নেতৃত্বে ১৯৭০ সালের সাধারণ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ ঐতিহাসিক জয় লাভ করে, কিন্তু পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠী ক্ষমতা হস্তান্তর না করে বাঙালির ওপর দমন-পীড়ন শুরু করে।
১৯৭১ সালের ৭ মার্চ শেখ মুজিব ঐতিহাসিক ভাষণে স্বাধীনতার ডাক দেন এবং ২৬ মার্চ আনুষ্ঠানিকভাবে বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করেন। নয় মাসের রক্তক্ষয়ী মুক্তিযুদ্ধের পর বাংলাদেশ স্বাধীনতা অর্জন করে।
স্বাধীন বাংলাদেশের স্থপতি শেখ মুজিব ১৯৭২ সালের ১০ জানুয়ারি স্বদেশ প্রত্যাবর্তন করেন এবং যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশ পুনর্গঠনের কাজে আত্মনিয়োগ করেন। তবে ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট এক নির্মম হত্যাকাণ্ডে সপরিবারে তিনি শহীদ হন।
ইএইচ