মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার বলেছেন, বিলুপ্তির পথে দেশীয় প্রজাতির মাছসহ সব ধরনের মাছ রক্ষায় কাজ করতে হবে। একইসঙ্গে সকল মানুষের আমিষের চাহিদা পূরণের লক্ষ্যে, সঠিক পদ্ধতিতে চাষকৃত মাছেরও উৎপাদন বাড়াতে হবে।
আজ বুধবার মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার রাজধানীর বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিল অডিটোরিয়ামে মৎস্য অধিদপ্তরের আওতাধীন ‘সরকারি মৎস্য খামারসমূহের সক্ষমতা ও মৎস্য উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্প (১ম পর্যায়)’ এর কেন্দ্রীয় পর্যায়ে অবহিতকরণ- শীর্ষক কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় একথা বলেন।
কর্মশালায় উপদেষ্টা কর্মকর্তাদের উদ্দেশ্যে বলেন, অনেকেই বাণিজ্যিকভাবে মাছ চাষ করতে গিয়ে অপরিকল্পিতভাবে কাজ করছে। তাদেরকে সচেতন ও প্রশিক্ষিত করতে মৎস্য কর্মকর্তাদের আন্তরিক প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখতে হবে।
ফরিদা আখতার আরো বলেন, স্বাদ ও পুষ্টিগুণে দেশীয় প্রজাতির মাছ অনন্য। ছোটবড় প্রায় সব মানুষের কাছেই সুস্বাদু প্রাণিজ আমিষ হলো এই দেশীয় মাছ। এত প্রজাতির মাছ অন্য কোন দেশে নেই। প্রায় বিলুপ্তির পথে থাকা মাছগুলোকে আমাদেরই রক্ষা করতে হবে।
মৎস্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. মো. আবদুর রউফের সভাপতিত্বে আরো বক্তৃতা করেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব (রুটিন দায়িত্ব) তোফাজ্জেল হোসেন, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব সৈয়দা নওয়ারা জাহান।
কর্মশালায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বিদ্যমান সরকারি মৎস্য খামার সমূহের সক্ষমতা ও মৎস্য উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্পের (১ম পর্যায়) প্রকল্প পরিচালক মো. মশিউর রহমান।
উল্লেখ্য, এ প্রকল্পের অন্যতম উদ্দেশ্য হলো, সরকারি খামারগুলো উন্নয়নের মাধ্যমে ২০২৮ সালের মধ্যে দেশে মাছের উৎপাদন ৩০ শতাংশ বৃদ্ধি করা। এছাড়াও প্রযুক্তি সম্প্রসারণের লক্ষ্য খামারে উন্নত মৎস্য প্রযুক্তি স্থাপন, উন্নত কৌলিতাত্ত্বিক গুণসম্পন্ন প্রজননক্ষম মাছ সংরক্ষণ ও মৎস্য খামারে নিয়োজিত জনবলের কারিগরি সক্ষমতা বৃদ্ধিকল্পে দক্ষতা উন্নয়ন।
আরএস