রাজধানীর খিলগাঁওয়ের তালতলা এলাকায় ‘আপন কফি হাউজ’ নামের একটি কফিশপের সামনে মারধরের শিকার সেই তরুণীর খোঁজ মিলেছে।
গত ১১ এপ্রিলের মারধরের ওই ঘটনা সোমবার (১৪ এপ্রিল) সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ার পর তিনজনকে হেফাজতে নেয় পুলিশ। পরে মালিক জিয়াউর রহমান অসুস্থ থাকায় তাকে পরিবারের জিম্মায় ছেড়ে দিয়ে বাকি দুজনকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে পরদিন আদালতে পাঠায় পুলিশ।
ভুক্তভোগী তরুণীর খোঁজ না মেলায় সোমবার (১৪ এপ্রিল) রাতে পুলিশ বাদী মামলা নথিভুক্ত হয় রামপুরা থানায়। সেই মামলায় কফিশপের ম্যানেজার আল আমিন ও কর্মচারী শুভ সূত্রধরকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে বলে জানান ডিএমপির মতিঝিল বিভাগের খিলগাঁও জোনের সহকারী পুলিশ কমিশনার আল আমিন।
বুধবার (১৬ এপ্রিল) দুপুরে তিনি বলেন, গতরাতে আমরা ভুক্তভোগী সেই তরুণীর খোঁজ পেয়েছি। ভুক্তভোগী তরুণী পরিবারের সঙ্গে খিলগাঁওয়ে থাকে।
রামপুরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আতাউর রহমান আকন্দ বলেন, ভুক্তভোগী তরুণীর খোঁজ পাওয়া গেছে। পরিবারসহ রাতে ওই ভুক্তভোগী তরুণীকে থানায় ডেকে নেওয়া হয়। পরিবারের সামনেই ঘটনা সম্পর্কে তরুণীকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। আজ ঘটনা সম্পর্কে জবানবন্দির জন্য ভুক্তভোগীকে আদালতে পাঠানো হবে।
এর আগে ওসি আতাউর রহমান বলেন, গত ১১ এপ্রিল রামপুরা থানার আপন কফিশপে এক তরুণী ঢোকার চেষ্টা করেন। তখন ক্ষিপ্ত হয়ে কফিশপটির ম্যানেজার আলামিন তাকে লাঠি দিয়ে পেটান। তখন তরুণী খোঁড়াতে খোঁড়াতে সেখান থেকে চলে যান। বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে।
তিনি আরও বলেন, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তরুণীকে মারধর করার ভিডিও নজরে আসার সঙ্গে সঙ্গে আপন কফিশপে অভিযান চালিয়ে ম্যানেজার আল আমিন ও কর্মচারী শুভ সূত্রধরকে আটক করে থানায় নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।
তরুণীকে মারধরের বিষয়ে ওসি বলেন, কফিশপের দুজন জিজ্ঞাসাবাদে দাবি করেছেন ওই তরুণী কফিশপে ঢুকে গ্রাহকদের বিরক্ত করতেন।
আরএস