পারস্পরিক সহযোগিতা বৃদ্ধি এবং বাণিজ্য ও ব্যবসায়িক সম্ভাবনা অনুসন্ধানে পাকিস্তানের সঙ্গে সম্পর্ক আরও শক্তিশালী করার ওপর জোর দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
বৃহস্পতিবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে পাকিস্তানের পররাষ্ট্র সচিব আমনা বালুচ সাক্ষাৎ করতে গেলে তিনি এ আহ্বান জানান।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, কিছু প্রতিবন্ধকতা রয়েছে। আমাদের সেগুলো কাটিয়ে উঠতে হবে এবং এগিয়ে যেতে হবে।
তিনি বলেন, আমি সব সময়ই পাকিস্তানসহ প্রতিবেশী দেশগুলোর সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্কের পক্ষে, বিশেষ করে সার্ক কাঠামোর মধ্যে। দুই দেশের জনগণের মধ্যে বন্ধন জোরদারে যুব ও সাংস্কৃতিক কার্যক্রম বিনিময় আরও বাড়ানো উচিত। আমরা অনেকদিন ধরে একে অপরকে হারিয়ে ফেলেছি, সম্পর্ক স্থবির ছিল। সেই বাধাগুলো কাটিয়ে উঠতে হবে।
তিনি আরও বলেন, ২০২৪ সালের সেপ্টেম্বর মাসে নিউইয়র্কে ৭৯তম জাতিসংঘ সাধারণ অধিবেশনের ফাঁকে এবং ডিসেম্বর মাসে কায়রোতে অনুষ্ঠিত ডি-৮ সম্মেলনের ফাঁকে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফের সঙ্গে তার বৈঠক হয়েছিল, যা দ্বিপক্ষীয় অগ্রগতিতে সহায়ক হয়েছে। বাংলাদেশ ও পাকিস্তান আঞ্চলিক এবং বহুপাক্ষিক মঞ্চ যেমন সার্ক, ওআইসি ও ডি-৮ এ ঘনিষ্ঠভাবে কাজ চালিয়ে যাবে।
এ সময় পাকিস্তানের পররাষ্ট্র সচিব বলেন, অতীতের কিছু সমস্যা থাকলেও বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের উচিত পারস্পরিক সম্ভাবনাগুলো কাজে লাগানো। আমাদের নিজ নিজ বাজারে বিশাল সম্ভাবনা রয়েছে, যা আমাদের কাজে লাগানো উচিত। প্রতিবারই সুযোগ হাতছাড়া করলে চলবে না।
তিনি বলেন, দুই দেশের বেসরকারি খাতের মধ্যে নিয়মিত ব্যবসায়িক পর্যায়ে যোগাযোগ এবং সব পর্যায়ে সফর বিনিময় প্রয়োজন।
তিনি আরও বলেন, পাকিস্তানের উপপ্রধানমন্ত্রী ইসহাক দারের আসন্ন বাংলাদেশ সফর (এপ্রিলের শেষে) দুই দেশের সম্পর্ক আরও এগিয়ে নিতে সহায়ক হবে।
বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) বিষয়ক জ্যেষ্ঠ সচিব লামিয়া মোরশেদ এবং ঢাকায় নিযুক্ত পাকিস্তানের হাইকমিশনার সৈয়দ আহমেদ মারুফসহ অন্যরা।
প্রসঙ্গত, চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে পাকিস্তানের এফপিসিসিআইর একটি প্রতিনিধিদল বাংলাদেশ সফর করে এফবিসিসিআইয়ের সঙ্গে একটি সমঝোতা স্মারক সই করে।
ইএইচ