ভূমিকম্পসহ প্রাকৃতিক ও মানবসৃষ্ট সকল দুর্যোগ মোকাবিলায় সক্ষমতা বাড়াতে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদফতরের উদ্যোগে বিশেষায়িত দল গঠন ও প্রশিক্ষণ কোর্স শুরু হয়েছে।
রোববার নারায়ণগঞ্জের পূর্বাচলে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স মাল্টিপারপাস ট্রেনিং গ্রাউন্ডে এ প্রশিক্ষণ কোর্সের উদ্বোধন করেন অধিদফতরের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মুহাম্মদ জাহেদ কামাল।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন অধিদফতরের পরিচালক (প্রশিক্ষণ, পরিকল্পনা ও উন্নয়ন) লে. কর্নেল এম এ আজাদ আনোয়ার, ফায়ার সার্ভিস ট্রেনিং কমপ্লেক্সের অধ্যক্ষ মো. ওহিদুল ইসলাম, উপপরিচালক (অপারেশন ও মেইনটেন্যান্স) মো. কামাল উদ্দিন ভূঁইয়া এবং ঢাকা বিভাগের উপপরিচালক মো. ছালেহ উদ্দিনসহ বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা।
প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণের জন্য দেশের বিভিন্ন স্টেশন থেকে ৫০ জন অগ্নিনির্বাপণ ও উদ্ধারকর্মীকে পূর্বাচলে সংযুক্ত করা হয়েছে। ১ মে পর্যন্ত চলা এ কোর্সে তাদের ভূমিকম্পের মতো বড় ধরনের দুর্যোগে অনুসন্ধান ও উদ্ধার কার্যক্রমে দক্ষ করে গড়ে তোলা হবে। এছাড়া প্রশিক্ষণপ্রাপ্তদের জন্য পূর্বাচলে প্রয়োজনীয় অনুসন্ধান ও উদ্ধার সরঞ্জাম সংরক্ষণ করা হবে।
প্রসঙ্গত, বাংলাদেশ একটি ভূমিকম্পপ্রবণ দেশ। সম্প্রতি মিয়ানমারে ভয়াবহ ভূমিকম্পের পরিপ্রেক্ষিতে এই প্রশিক্ষণের গুরুত্ব আরও বেড়ে গেছে। ভূমিকম্প বিশারদদের মতে, যেকোনো সময় বাংলাদেশেও বড় ধরনের ভূমিকম্প ঘটতে পারে। তাই ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদফতর ভলান্টিয়ার প্রশিক্ষণ, সচেতনতা বৃদ্ধিমূলক গণসংযোগ, মহড়া, সার্ভে ও পরিদর্শনসহ নানা কার্যক্রম পরিচালনা করছে।
মহাপরিচালক বলেন, "আমরা জনবল ও উদ্ধার সরঞ্জামসহ আমাদের কার্যক্রমকে বিকেন্দ্রীকরণের (ডিসেন্ট্রালাইজ) মাধ্যমে পরিচালনার উদ্যোগ নিচ্ছি, যেন বড় ধরনের ভূমিকম্পের সময় সবকিছু একসাথে ক্ষতিগ্রস্ত না হয়।"
তিনি আরও বলেন, "এই বিশেষায়িত প্রশিক্ষণের মাধ্যমে গঠিত দল যেকোনো দুর্যোগ, বিশেষ করে ভূমিকম্প পরবর্তী উদ্ধার কার্যক্রমে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। পর্যায়ক্রমে আরও সদস্যদের এই ধরনের প্রশিক্ষণের আওতায় আনা হবে।"
ইএইচ