আধুনিক বৈজ্ঞানিক সভ্যতার অপরিমেয় অগ্রগতি মানুষকে যেমন অশেষ কল্যাণ দান করেছে তেমনি তার জীবনকে সমূহ বিপদ ও অমঙ্গলের আশঙ্কায় শঙ্কিত করে তুলেছে। বর্তমানকালের উন্নত মানবসভ্যতার প্রস্ফুটিত রঙিন পুষ্পের অভ্যন্তরে দুষ্ট কীটের মতো প্রকট হয়ে উঠেছে নানাবিধ প্রাণঘাতী সমস্যা, যা জীবনকে চরম ভীতি ও বিপর্যয়ের মধ্যে নিপতিত করছে।
পরিবেশদূষণ এসব নব উদ্ভুত সমস্যার অন্যতম। বৈজ্ঞানিক সভ্যতার দুরারোগ্য সংক্রামক ব্যাধি এ পরিবেশদূষণ যে বিষাক্ত কালনাগিনীর মতো ফণা বিস্তার করে মরণছোবল হানতে উদ্যত হয়েছে, তা প্রতিকারের জন্য আজ মানুষ বিশ্বব্যাপী কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ করছে।
‘বৃক্ষরোপণ’ এ পরিকল্পনার একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশবিশেষ। দক্ষিণ এশিয়ার বিপুল জন অধ্যুষিত, দারিদ্র্যপীড়িত, বঙ্গোপসাগরের উপক‚লে অবস্থিত পলিমাটি’ গঠিত বিশ্বের এ বৃহত্তম ব-দ্বীপ, উন্নয়নশীল বাংলাদেশেও এ বৃক্ষরোপণ অভিযান একটি জাতীয় মহাপরিকল্পনারূপে স¤প্রসারিত হচ্ছে। প্রতিনিয়ত দেশ-বিদেশের বিভিন্ন পত্রপত্রিকায়, রেডিও-টেলিভিশনের ঘোষণায়, সভা-সমিতিতে, আলাপ-আলোচনায় পরিবেশ সংরক্ষণের উপায়রূপে বনায়ন বা বৃক্ষরোপণের কথা অহরহ ধ্বনিত হচ্ছে।
মানবসভ্যতার শুভ উন্মেষ ঘটেছিল অরণ্যের শ্যামল ছায়া শোভিত স্নিগ্ধ রমণীয়তায়, বৃক্ষলতা আচ্ছাদিত মেহনীড়ে। প্রকৃতির অবারিত পরিসরে বসবাসকারী মানুষের জীবনের প্রয়োজনীয় দ্রব্যসামগ্রীর যোগান দিয়ে অনলাই মানুষের জীবনকে মৃত্যুঞ্জয়ী মহিমায় বিকশিত হতে সাহায্য করেছিল। তাই বনাঞ্চলের সাথে মানুষের জীবনের সম্পর্ক ছিল অতি গভীর ও অবিচ্ছেদ্য। বর্তমান যুগের সুউচ্চ সৌধবাসী মানুষও অপরিহার্যরূপে উদ্ভিদের ওপর নির্ভরশীল হয়ে বেঁচে আছে।
বৃক্ষ মানুষের পরম উপকারী বন্ধু। এটি আমাদেরকে খাদ্য, বস্ত্র, আশ্রয়, শিক্ষা ও স্বাস্থ্য বিলিয়ে যেমন উপকার করে, তেমনি এর সৌন্দর্য হৃদয়কে আপ্লুত করে। বৃক্ষ দেশের আবহাওয়া নিয়ন্ত্রণ করে। বৃক্ষ আবহাওয়া ও পরিবেশের ভারসাম্য বজায় রাখে। বাতাসে জলীয় বাষ্পের ক্ষমতা বাড়িয়ে আবহাওয়াকে শীতল রাখে। প্রচুর বৃষ্টিপাতে বৃক্ষরাজি বিশেষ সহায়ক। কোনো অঞ্চলের গাছপালা সেখানকার পানিপ্রবাহকে অনেকখানি নিয়ন্ত্রণ করে ভ‚মিক্ষয়ের হাত থেকে রক্ষা করে। গাছপালা, মূল ভ‚-ভাগ ও নতুন সৃষ্ট চরাঞ্চলকে নদীর ভাঙন, বৃষ্টিপাত ও পানিফীতির হাত থেকে রক্ষা করে। এটি মাটির স্থিতিশীলতাকে বজায় রাখে। অঞ্চল বিশেষের পানি সংরক্ষণ এবং বৃষ্টি নিয়ন্ত্রণেও সেই অঞ্চলের গাছপালা অনেক সাহায্য করে। বৃক্ষরাজি ঝড়-ঝঞ্জা ও অন্যান্য প্রাকৃতিক দুর্যোগের হাত থেকে বাসগৃহকে রক্ষা করে। জনস্বাস্থ্য রক্ষায় বৃক্ষ বিশেষ ভ‚মিকা পালন করে। গাছপালা জ্বালানি, গৃহ নির্মাণ ও আসবাবপত্র তৈরির বিপুল চাহিদা মিটিয়ে আমাদের অর্থনৈতিক ও ব্যবহারিক জীবনে যথেষ্ট উপকার করে।
বৃক্ষ আমাদের গ্রামীণ অর্থনীতির বুনিয়াদ। বৃক্ষ আমাদের জন্ম থেকে মৃত্যু পর্যন্ত আবশ্যক। শিশুর দোলনা থেকে মৃত ব্যক্তির খাট পর্যন্ত যাবতীয় কাজকর্মে কাঠ ও বাঁশ একান্ত প্রয়োজনীয়। নৌকা, গরুর গাড়ি, বাস, ট্রাক, স্টিমার, লঞ্চ, জাহাজ ইত্যাদি তৈরিতে কাঠ প্রয়োজন। কাগজ, রেয়ন, দিয়াশলাই, প্যাকিং বাক্স ইত্যাদি বহু শিল্পের কাঁচামাল সরবরাহ বন থেকে। বৃক্ষ আমাদের অর্থনীতির বুনিয়াদ। বৃক্ষ আমাদের জন্ম থেকে মৃত্যু পর্যন্ত আবশ্যক। শিশুর দোলনা থেকে মৃত ব্যক্তির খাট পর্যন্ত যাবতীয় কাজ-কর্মে কাঠ ও বাঁশ একান্ত প্রয়োজনীয়। নৌকা, গরুর গাড়ি, বাস, ট্রাক, স্টিমার, লঞ্চ, জাহাজ ইত্যাদি তৈরিতে কাঠ প্রয়োজন। পৃথিবীতে মানুষের বেঁচে থাকার সাথে গাছের সম্পর্ক ওতপ্রোতভাবে জড়িত। কারণ মানুষ প্রতি নিঃশ্বাসে যে কার্বন ডাই-অক্সাইড ত্যাগ করে গাছপালা তা শোষণ করে নেয়, আর গাছপালা যে অক্সিজেন ত্যাগ করে মানুষ তা গ্রহণ করে বেঁচে থাকে। এভাবে বিবিধ ক্ষেত্রে মানবজীবনে বৃক্ষের প্রয়োজনীয়তা অপরিসীম ।
মানবজীবনের এত উপকারী বনাকাল বিনাশে বর্তমান যুগের মানুষ যে ভ‚মিকা পালন করছে অত্যন্ত বেদনাদায়ক। সভ্যতার ক্রমবিবর্তনে, জনসংখ্যা বৃদ্ধিতে, জীবনের চাহিদা বাড়ার সাথে সাথে মানুষ বৃক্ষনিধনে অধিক তৎপর হয়েছে। কিন্তু যে হারে বনাঞ্চল ধ্বংস হচ্ছে সে অনুপাতে মানুষ বনায়নের ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি। ফলে পৃথিবীর আবহাওয়া ও জলবায়ুর ভারসাম্য নষ্ট হয়ে বন্যা, খরা ইত্যাদির প্রকোপ বেড়ে গেছে। পৃথিবীর পাঁচ হাজার বছর পূর্বের উন্নত সিন্ধু সভ্যতা ধ্বংসের অন্যতম কারণ ছিল সেখানে অপরিমেয় বৃক্ষনিধনের ফলে উদ্ভূত খরা ও বন্যার প্রকোপ।
আমাদের চোখের সামনে বর্তমানে ইথিওপিয়ার অনাবৃষ্টি, দুর্ভিক্ষ ও মহামারীর কারণ যে সেখানকার বৃদ্ধ সম্পদের ব্যাপক বিনাশ তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। কথায় বলে পাগলেও নিজের ভালো বোঝে। কিন্তু মানুষ নিজের মঙ্গল না বুঝে বনজ সম্পদ নষ্ট করে খাল কেটে কুমির আনতে ব্রতী হয়েছে। ফলে আগামীতে বিশ্ববাসীর অস্তিত্ব যে মারাত্মক হুমকির সম্মুখীন হবে তা সম্যকভাবে সবাই উপলব্ধি করতে পারছে না। বিশ্বের বনজ সম্পদ ধ্বংস করে, গাছপালা নষ্ট করে মানুষ আজ পৃথিবীতে সৌন্দর্যহীনতা, শুষ্কতা, অনুর্বরতা, বন্যা, খরার শিকার হচ্ছে।
যে কোনো দেশের জন্য মূল ভ‚খÐের শতকরা ২৫ ভাগ বনভ‚মি থাকা দরকার। কিন্তু সে তুলনায় বাংলাদেশের বনভ‚মির পরিমাণ মোট আয়তনের ১৭ ভাগ। বাংলাদেশের বনভ‚মি মাত্র ২৫,০০০ বর্গ কিলোমিটার। কিন্তু দুঃখের বিষয় বাংলাদেশের বনের পরিমাণ প্রয়োজনের তুলনায় অপ্রতুল হলেও তা বৃদ্ধির জন্য উদ্যোগের অভাব যথেষ্ট। অহরহ আমরা কারণে অকারণে আমাদের আশপাশ থেকে নির্বিচারে বৃক্ষ নিধন করে চলেছি। এতে করে আমরা ক্রমশ একটি অনিবার্য পরিণতির দিকে এগিয়ে চলছি। নির্বিচারে বনভ‚মি ধ্বংসের ফলে সুজলা-সুফলা বাংলাদেশ পরিবেশদূষণের শিকার হচ্ছে। ষড়ঋতুর লীলা নিকেতন বাংলাদেশের প্রাকৃতিক ভারসাম্য বিনষ্ট হচ্ছে। ফলে প্রয়োজনের তুলনায় বৃষ্টিপাত কমে গিয়ে আকস্মিক বন্যা, জলোচ্ছাস ও ঘূর্ণিঝড়ে প্রতিবছর বাংলাদেশ হচ্ছে বিপর্যস্ত। জলবায়ু এগিয়ে চলছে চরম ভাবাপন্ন অবস্থার দিকে।
বৃক্ষ নিধনজনিত অনিবার্য পরিণতির হাত থেকে রেহাই পেতে স্বাধীনতার পর থেকেই বাংলাদেশে প্রতিবছর বৃক্ষরোপণ অভিযান পরিচালিত হয়ে আসছে। সাধারণ মানুষের এ অভিযানে শিশু, মেহগনি, সেগুন, ইউক্যালিপটাস, ইপিল-ইপিল, আম, জাম, পেয়ারা, জামরুল প্রভৃতি নানা জাতের বৃক্ষের চারা রোপণের জন্য পূর্বেই সরকারি নার্সারি থেকে চারা সরবরাহের জন্য উৎসাহিত করা হয়। আমাদের উচিত এক বৃক্ষ ছেদনের পূর্বে তার বদলে কমপক্ষে চারটি করে চারা রোপণ করা এবং সেগুলোর যতœ নেওয়া। কারণ বৃক্ষ আছে বলেই পৃথিবীর মানবসমাজ আজও টিকে আছে।
প্রয়োজনের তুলনায় বাংলাদেশে বনের পরিমাণ অপ্রতুল, কিন্তু আমাদের দেশে সরকারি উদ্যোগে। বনায়ন সৃষ্টির প্রচার তুলনামূলকভাবে কম। অধিক হারে বনায়ন সৃষ্টির জন্য বৃক্ষরোপণ অভিযানের মতো আরো পদক্ষেপ সরকারের পক্ষ থেকে গ্রহণ করা উচিত। সাথে সাথে কারণে অকারণে বৃক্ষনিধন রোধ করার জন্য সরকারকে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
সরকারের সচেতন দৃষ্টির মাধ্যমে দেশের বনাঞ্চল বৃদ্ধি করা সম্ভব। বৃক্ষরোপণ একটি জাতীয় কর্ম। এ ব্যাপারটি সরকারের একক প্রচেষ্টায় সাফল্য লাভ করা কঠিন। তাই সরকারের সাথে এগিয়ে আসতে হবে সাধারণ মানুষের, বিশেষ করে গ্রামবাসীর ভ‚মিকা এতে অধিক প্রয়োজন। দেশের তরুণরা বৃক্ষরোপণ সমিতি’ গঠন করে সংঘবদ্ধ হয়ে স্ব-স্ব এলাকার রাস্তার পাশে, বাড়ির আশপাশে ফাঁকা জায়গায় বৃক্ষরোপণ ও তা সংরক্ষণের রচনা এগিয়ে আসতে পারে।
বৃক্ষরোপণ যে জাতীয় কর্তব্য আর বনসঙ্কট যে জাতীয় সমস্যা তা সবারই উপলব্ধি করা উচিত। প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলার অন্যতম হাতিয়ার হলো বৃক্ষ। বৃক্ষ দেশের আবহাওয়া নিয়ন্ত্রণ করে। বৃক্ষ আবহাওয়া ও পরিবেশের ভারসাম্য বজায় রাখে। বাতাসে জলীয় বাষ্পের ক্ষমতা বাড়িয়ে আবহাওয়াকে শীতল রাখে। প্রচুর বৃষ্টিপাতে বৃক্ষরাজি বিশেষ সহায়ক। কোনো অঞ্চলের গাছপালা সেখানকার ভাঙন, বৃষ্টিপাত ও পানিস্ফীতির হাত থেকে রক্ষা করে। এটি মাটির স্থিতিশীলতাকে বজায় রাখে। অঞ্চলবিশেষের পানি সংরক্ষণ এবং বৃষ্টি নিয়ন্ত্রণেও সেই অঞ্চলের গাছপাল। অনেক সাহায্য করে। বৃক্ষরাজি ঝড়-ঝঞ্ঝা ও অন্যান্য প্রাকৃতিক দুর্যোগের হাত থেকে মানবকুলকে রক্ষা করে। সর্বোপরি প্রাণিক‚ল রক্ষার্থে এবং পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষার্থে বৃক্ষরাজির ভ‚মিকা এককথায় অপরিহার্য।
এই ক্ষেত্রে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি সফল করার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। পুরাতন গাছ কাটা বন্ধ করতে হবে এবং নতুন গাছের চারা লাগাতে হবে। বৃক্ষের উপকারিতা সম্পর্কে বিভিন্ন কর্মসূচির মাধ্যমে জনগণকে সচেতন করতে হবে এবং তাদেরকে বৃক্ষরোপণে উৎসাহী করতে হবে। যদি কোনো প্রয়োজনে গাছ কাটতে হয় তাহলে গাছ কাটার আগে নতুন গাছের চারা রোপণ করতে হবে। সরকারি বিভাগগুলোকে বিভিন্ন জাতের বীজ ও চারা সংগ্রহ করে তা জনগণের কাছে পৌঁছে দিতে হবে। তাহলেই বৃক্ষরোপণ অভিযান বাস্তবায়নের পথে সফল হওয়া যাবে। আমাদের দেশে দিনের পর দিন বনাঞ্চল হ্রাস পাচ্ছে, সেই জন্য দেশবাসীকে বৃক্ষরোপণ সম্পর্কে সচেতন। করে তুলতে হবে।
বর্তমানে সরকারের বন বিভাগ এ পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। বন বিভাগ চারা উৎপাদন করে জনগণের কাছে সহজে পৌঁছে বিনামূল্যে চারা জনগণের মাঝে বিতরণ করা হয়, যাতে করে বৃক্ষরোপণে সবাই উৎসাহী হয়ে ওঠে। তাছাড়া এই অভিযানকে জনপ্রিয় দেওয়ার জন্য বিভিন্ন কর্মসূচি হাতে নিয়েছে। সরকারি উদ্যোগে চারা বিতরণ কেন্দ্র, চারা উৎপাদনকারী নার্সারি ইত্যাদি জায়গা থেকে করার জন্য প্রতিবছর বৃক্ষমেলার আয়োজন করা হয়। চারা গাছ রোপণ করে রাখলেই তা পরিণত গাছে ৰূপ লাভ করতে পারে না। গাছ রোপণ করার পর সঠিক পরিচর্যা না করলে বন ও পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের অধীনে সরকারিভাবে বন বিভাগ নামে একটি দপ্তর প্রতিষ্ঠিত হয়েছে এবং তারই সক্রিয় কর্মপ্রচেষ্টার অরণ্য কারা গাছের অকালমৃত্যু হতে পারে। তাছাড়া আমাদের যেসব পুরোনো উদ্যান রয়েছে, সেগুলোর সঠিক যত্ন ও সংরক্ষণ প্রয়োজন ।
এজন্য সম্প্রসারণ ও অরণ্য সংরক্ষণের কার্যক্রম রূপায়ণের যাবতীয় কাজকর্মও চলছে। এ উদ্দেশ্যে সংশ্লিষ্ট প্রকল্পগুলোতে আর্থিক ব্যয় বরাদ্দের ব্যবস্থাদিও গৃহীত হয়েছে। বৃক্ষ সংরক্ষণের ক্ষেত্রে শুধু আর্থিক ব্যয়ের পরিমাণ বাড়ালেই অরণ্য সম্প্রসারণ , অন্য সংরক্ষণের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য যথাযথভাবে সফল হতে পারে না। এর জন্য আমাদের সবাইকে সচেতনভাবে এগিয়ে আসতে হবে।
আনাসম্পদ আমাদের অপরিহার্য, নইলে বহু শিক্ষের অপমৃত্যু অবধারিত। সুতরাং বনভ‚মি সংরক্ষণার্থে কয়েকটি পালনীয় ব্যবস্থার কথা প্রসঙ্গত উল্লেখ করা যায়। যেমন- কারণে অকারণে বৃক্ষনিধন বন্ধকরণ, নতুন চারাগাছ লাগিয়ে সেগুলোর যথাযথ পরিচর্যা করা, অপরিণত বৃক্ষচ্ছেদন যাতে না হয়, আইন করে তা নিষিদ্ধ করা, অরণ্য গবেষণার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা করা, কীট-পতঙ্গের হাত থেকে বৃক্ষকে রক্ষা করা এবং বৃক্ষনিধন রোধে জনসচেতনতা সৃষ্টি করা, তরুণ ও যুব সমাজকে এই কাজে অধিক এগিয়ে আসা এই মুহুর্তে অধিক জরুরি বলে মনে করি। এই ক্ষেত্রে বৃক্ষের গুরুত্ব এবং বৃক্ষনিধনের ভয়াবহ পরিণতি সম্পর্কে মানুষকে সচেতন করে তুলতে হবে। আমাদের সমাজে একশ্রেণির অসচেতন ব্যক্তি রয়েছে, যারা কারণ অকারণ বৃক্ষনিধন করে চলে।
এদের বৃক্ষের প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে সচেতনতা সৃষ্টি করতে হবে, যাতে করে বৃক্ষনিধন বন্ধ হয়। এছাড়া অশিক্ষিত, অবুঝ লোকদেরকে বিভিন্ন কর্মসূচির মাধ্যমে সচেতন করে তুলতে হবে, যাতে পরিবেশে বৃক্ষের গুরুত্ব সম্পর্কে তারা অবগত হয়। এভাবে বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণের মাধ্যমে বৃক্ষনিধন রোধে সচেতনতা সৃষ্টি করা সম্ভব । এই বিয়ষে সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টা গ্রহণ করতে হবে।
লেখক : কলামিষ্ট