জীবন থেকে নেয়া : মুক্তিযুদ্ধের কথা

আবু জাফর মুহাম্মদ সোহেল প্রকাশিত: ডিসেম্বর ১৪, ২০২৪, ০৩:০২ পিএম

মায়ের আকাশটা এখন সন্তানদের নিয়েই। নিজের বলতে কিছুই আর অবশিষ্ট নেই। সারাক্ষণ শুধু সন্তানদের চিন্তায় অস্থির থাকেন। কিন্তু তার ব্যাপারে সন্তানরা কতটুক সচেতন কিংবা যত্নবান তা যেন ভাবারই সময় নেই। সবাই বড় হয়ে নিজে নিজে চলতে শিখেছে, তবুও মা মনে করেন, তার সন্তানরা সবাই এখনো ছোট। তার সোনামনি। কিন্তু সন্তানরা…

এই তো সেদিন আবার সুযোগ হল মায়ের সাথে গল্প করে রাত কাটানোর। স্মৃতির আয়না থেকে তিনি অতীতের মতো আজও এড়িয়ে গেলেন কিশোর বয়সের দুরন্ত স্বপ্নগুলো… তবে সুখের স্মৃতি থেকে খণ্ড খণ্ড চিত্র তুলে ধরলেন। মায়ের বয়স যখন ১৩-১৪ তখন গ্রাম বাংলার মাঠভরা সবুজ চাদর আর বাড়ির আঙিনায় গোলাভরা ধান, গোয়ালভরা গরু, পুকুরে মাছের কোলাহল এসব বলতে গিয়েই উজ্জ্বল হয়ে উঠত তার মুখ।

আজকের ডিজিটাল যুগের মতো সেদিন হাতে হাতে মোবাইল ছিল না, তবে ছিল অফুরান ভালোবাসা। পরিবার কিংবা বাড়ি বললে ভুল হবে, পুরো পাড়াই ছিল একটি সন্তানের মতো। সবাই সবার সুখ-দুঃখে, আনন্দ উৎসবে শামিল হতো। সারাক্ষণ বাড়ি ভর্তি মানুষে মুখর থাকতো। দুপুরের খাবারের বৈঠকে নাকি ৫০-৫৫ জন মানুষ একসাথে খাবার খেতো, যা এখন কল্পনাও করা যায় না।

নানুর বাড়িতে এখন মাত্র ২-৩ পরিবারের বসবাস। অন্য সবাই টুনাটুনির সংসার পেতে দেশের বিভিন্ন শহর বা বিদেশে অবস্থান করছে।

মা ছিলেন, নানুর বড় সন্তান, তাই সবার নয়নের মনি। আদর আর সোহাগ ভরা জীবনে কখনো কষ্টের ছায়া মাড়াতে হয়নি। গ্রামের মেঠো পথে সরিষা খেতের মাঝে উড়ে বেড়ানোর গল্প শুনে খুব লোভ হয়, সেরকম কিছু করতে। কিন্তু আমরা তো এখন ইটপাথরের আর যান্ত্রিক শহর ঢাকায় বন্দি। কীসের লোভ আর পাওয়ার নেশায় এ শহর ছাড়াতে ইচ্ছে করে না কারোর। তাই মাঝে মাঝে মায়’ই ছুটে আসেন ঢাকা। কিন্তু আসলে কি হবে, কয়েকদিন অতিবাহিত হলেই হাঁপিয়ে উঠেন, তখন আর থাকতে চান না। বাড়ি চলে যাওয়ার জন্য তাড়া দিতে থাকেন।

হঠাৎ এক মাঝরাতে মাকে কেমন যেন উদাসীন দেখাচ্ছে, মায়ের চোখটা কেমন যেন ছল ছল। দিনটি ছিল শুক্রবার। বললাম মা যাও ঘুমাতে যাও অনেক রাত হয়েছে। মা দখিনা জানালার ফাঁকে কালো রাত্রির দিকে তাকিয়ে বললেন, বাবা এই রকম রাত আমার জীবনেও এসেছে। আমি আর মাকে থামালাম না।
১৯৭১ সালের অক্টোবর মাসের কথা। শুক্রবার রাতে সবাই যখন খাবার নিয়ে ব্যস্ত তখন হঠাৎ কেউ একজন এসে মাকে খবর দিলো বাবাকে রাজাকাররা ধরে নিয়ে গেছে। বড় আর মেজো ভাইয়া তখন মায়ের সাথে খাবার খাচ্ছিলেন। তাদের দুজনের বয়স ৫-৭ হবে। আকাশটা যেনো ভেঙে পড়লো। সারা বাড়িতে হৈচৈ পড়ে গেলো। সবার ছুটাটুটিতে মায়ের নীরব কান্নাটাও যেনো হারিয়ে গেলো। দাদা-চাচারা সবাই ছুটছে বাবার সন্ধানে।

পুরো কথা শেষ করার আগেই চোখ মুছলেন একবার। আমি তাকিয়ে দেখি মা কাঁদছেন। জিজ্ঞেস করলাম কাঁদছো কেনো? সেদিনের স্মৃতিটুকু মনে পড়ে গেলো তাই।

মা আবার বলা শুরু করলেন, সেদিন তোর দুই ভাই ছিল অবুঝ শিশু, তাদের দিকে তাকিয়ে কান্না থামাতে পারলাম না।

চারদিকে শুধু গুলির শব্দ, কেউ কাউকে যেনো চিনতে পারছে না। সবাই নিজেকে বাঁচানো জন্য ছুটছে। পথে পড়ে থাকা লাশ আর রক্ত পায়ের সাথে মেখে যাচ্ছে, তবুও ছুটছে সবাই। মাও তার ছোট্ট সন্তানদের নিয়ে ছুটছেন। দিন গড়িয়ে সন্ধ্যা নামলো। চট্টগ্রামের ভাটিয়ারিতে থামলো মায়েদের কাফেলা। সিদ্ধান্ত হলো, কোনো বাড়িতে রাত কাটিয়ে সকালে আবার রওনা দিতে হবে। ছোট্ট একটি ঘরে মাসহ মহিলা ও শিশুদের থাকার ব্যবস্থা হলো। রাত তখন ২টা কিংবা ৩টা হবে। হঠাৎ একটি গুলি এসে মায়ের পাশে বসে থাকা মহিলার হাতে লাগে। রক্তে ভেসে গেলো জমিন। একজন তার মুখ চেপে ধরে রেখেছে যেনো কোন শব্দ বাইরে না যায়। যন্ত্রণায় কাতরাচ্ছে আহত মহিলা। মা তার দুই ছেলেকে নিয়ে সমুদ্রের মাঝে ঝড়ের কবলে পড়া অসহায় পাখির মত ডানার নিচে দুই সন্তানকে আগলে রেখে ভিড় ভিড় করে দোয়া-দরুদ পড়তে চাইলেও যেনো পারছেন না। শব্দগুলো আটকে যাচ্ছে, শুকনো গলা দিয়ে কিছুই বের হচ্ছে না। শুধু ভাবছেন হানাদারদের কবল থেকে বুঝি আর সন্তানদের রক্ষা করা যাবে না…

বিভীষিকাময় রাত শেষে সূর্যের আলো এসে লাগলো গায়ে। নির্ঘুম রাত আর ক্লান্ত শরীর নিয়ে আবার বের হলেন সবাই। সমুদ্রের তীর ধরে হেঁটে চলছেন সবাই। মাদামবিবিরহাট পার হওয়ার পর আবারো প্রচণ্ড গুলির শব্দ। লাশের গন্ধে পথ চলতে পারছে না কাফেলা।

খণ্ড খণ্ড মিছিলের মতো সমুদ্রের ধারে মানুষের বাঁচার আকুতির চিত্র যেন মানবতাকে হার মানাচ্ছে। স্থানীয়রা মুড়ি, চিড়া, খাবার পানি যে যা পারছেন তাই দিয়ে সাহায্য করছেন তাদের। কিন্তু মা নিজের ছিলেন প্রচণ্ড অসুস্থ। সবার সাথে তাল মিলিয়ে হাঁটতে পারছেন না। কারণ তখন তিনি ছিলেন সন্তানসম্ভবা। মায়ের গর্ভে তখন ৭ মাসের সন্তানের বসবাস। হঠাৎ মায়ের হাত থেকে হারিয়ে গেলো মেজো ভাইয়া। কুমিরা খাল পার হওয়ার সময় এ ঘটনা ঘটেছে। জোয়ারের তোড়ে দুই দিকে ভাগ হয়ে চলে যায় কাফেলা। মা কোনোমতে অন্যের সাহায্যে বড় ভাইকে নিয়ে খাল পার হলেও মেঝে ভাইয়ার কোনো খবর মিলছে না।

আকাশে পূর্ণিমার আলো আর সবুজ জমিনে রাক্ষসের হানায় মানুষের জীবন দুর্বিষহ। কুমিরা খালের পাড়ে মা’র কান্নায় আকাশ-বাতাস ভারী হয়ে উঠে। শরীর আর সন্তান হারানোর কষ্টে কান্নার শক্তিটুকুও হারিয়ে ফেলেন তিনি। মায়ের এই করুণ অবস্থা দেখে এক বৃদ্ধা এগিয়ে এলেন। মাকে তাদের বাড়ি নিয়ে গেলেন, গরম পানি করে গোসল করালেন এবং বড় ভাইকে বৃদ্ধা মহিলাটি পরম মমতায় খাইয়ে ঘুম পাড়িয়ে দিলেন। বৃদ্ধা মায়ের মাথায় হাত ভুলাতে ভুলাতে বললেন মা আল্লাহর ওপর ভরসা রাখো, তিনি তোমাকে এই বিপদ থেকে মুক্তি দিবেন। কিন্তু এই সান্ত্বনা মাকে আরও আবেগ তাড়িত করে দিলো। বৃদ্ধাটি সন্তানের মতো আদর করে মাকে খাইয়ে দিলেন। চিকিৎসাও করালেন।

এভাবে কেটে গেলো দুইদিন। ছুটে চলার তাড়নায় কাফেলার তাগিদে বৃদ্ধার বাড়ি ছাড়তে হলো। মা ৪৪ বছর পরও সেই বৃদ্ধা দম্পতির জন্য দোয়া করেন।

এভাবে যুদ্ধকালীন দুর্যোগের দিনে যারা তাকে যেভাবে সাহায্য করেছেন তাদের সবার জন্য আমাদেরকেও দোয়া করতে বলেন। এ উপলক্ষ্যে বাড়িতে প্রতিবছর অক্টোবরের যেকোনো একদিন মিলাদের আয়োজন করা হয়।

কাফেলা চলতে চলতে সীতাকুণ্ডে এসে আবার থামলো। অসহ্য যন্ত্রণায় মা চলতে পারছেন না, তবুও তিনি হাত ছাড়া করছেন মেজো ভাইকে।  মেঝ ভাইয়ার জন্য আকুতি আর গর্বে থাকা সন্তানের ঝুঁকি মায়ের চোখে অন্ধকারের পাহাড়। যত কষ্টই হোক নিরাপদে তো পৌঁছতেই হবে বাড়ি।

শুভপুর ব্রিজ পার হওয়ার পর রাতে স্থানীয় একটি বাড়িতে আশ্রয় নিলো মায়েদের কাফেলা। বাড়ির কর্তা মায়ের মুখে ঘটনা শুনে বিমর্ষ হয়ে পড়লেন। তিনি ছিলেন ওই ইউনিয়ন চেয়ারম্যান। মায়ের মুখে তার নানার কথা শুনে চেয়ারম্যান মাকে বুকে জড়িয়ে নিলেন। আর বললেন, চিন্তা করিস না মা, তোর নানাকে আমি চিনি। তোমার সন্তানকেও খুঁজে পাবে। কাফেলা থেকে মাকে আদালা করে বাড়ি নিয়ে গেলেন। রাণীর মতো আদর যন্ত্র করতে লাগলেন। কিছুতেই যেনো মাকে সান্ত্বনা দিতে পারছেন না তারা। এদিকে খবর দেয়া হলো মা’র নানাকে। তিনি নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ থাকার অসিকে নিয়ে ছুটলেন। প্রায় ৪ ঘণ্টা পর মাকে দেখে কান্নায় ভেঙে পড়লেন। সেই দৃশ্যের কোনো বর্ণনা হয় না। নানা-নাতির কান্নার মাঝে কেউ সান্ত্বনাও দিতে সাহস পেলেন না। মাকে নিয়ে বাড়িয়ে ফিরে এলেন সিরাজপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান (মা’র নানা)।

শত শত মানুষ অপেক্ষায় ছিলেন কখন মাকে নিয়ে ফিরবেন তিনি। সবার অফুরান ভালোবাসায় মা ফিরলেন চিরচেনা আঙ্গিনায়। কিন্তু তখন তার সাথে নেই, প্রিয় সন্তান আর স্বামী। বাড়িতে উৎসবের আমেজ। থানার কর্মকর্তা থেকে শুরু করে বাজারের ব্যবসায়ী সবাই খোঁজ নিচ্ছেন।

এদিকে মেঝ ভাইয়ার সন্ধানে বিভিন্ন থানায় জানানো হলো। কিন্তু দিন কেটে রাত হলো তার কোনো খবর না পেয়ে মা আরো হতাশ হয়ে পড়েন। এমনি ৪-৫ দিনের অবিরাম হেঁটে চলা আর না খেয়ে থাকায় শরীর ফুলে গেছে। গর্বের সন্তানও ঝুঁকিতে। এখনকার মতো তখনতো এতো আধুনিক চিকিৎসাও ছিল না। যারা ছিলেন তারাও অতোটা দক্ষ নন। দুই দিন পর সন্ধান পাওয়া গেলো মেঝ ভাইয়ার। এতে কিছুটা স্বস্তি ফিরে এলেও মা হঠাৎ গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন। এভাবে কেটে গেলে ২-৩ দিন। তৃতীয় দিন গর্বের সন্তান ভূমিষ্ঠ হয়ে গেলো অপূর্ণ শক্তি নিয়েই। কয়েক দিনের চিকিৎসা আর সবার দোয়ায় মা কিছুটা সুস্থ হলেন। কিন্তু জন্ম নেয়া সন্তানের বাঁচার আসা সবাই ছেড়ে দিয়েছিলেন। অবশেষে মায়ের মমতায় সেই সন্তানও দেখলো পৃথিবীর আলো। টানা সাতদিন পর চোখ খুললো।

যুদ্ধের মাঝে জন্ম নেয়া শিশুটির নাম রাখা হলো কিরণ। তখনো যে চলছে অরিরাম যুদ্ধ। একদিকে মুক্তিযোদ্ধারা অন্যদিকে পাক হানাদার বাহিনী আর তার দোসররা সমান তালে চালিয়ে যাচ্ছেন মরণ লড়াই। যে সন্তানের নাম রাখা হলো কিরণ, তার বাবাও যে সেই যুদ্ধের সৈনিক। সবার আশা কিরণের আলোয় আসবে স্বাধীনতা। হাসি ফুটবে সবার মুখে। গল্পের মাঝে হঠাৎ চা নিয়ে হাজির হলেন ভাবি। সবার চোখ চানা ভরা। এতো রাতে চা নিয়ে কাকে দেখছি। আসলে কি মাঝে মাঝে প্রত্যাশার চাইতেও মানুষ একটু বেশি কিছু পেয়ে গেলে এমন অবাকই হয়। আমরাও হলাম। মা তো বরাবরের মতোই খুশি। হাসিমুখে বরণ করলেন চায়ের কাপ। চুমুক দিতে দিতে সবাইকে ঘুমাতে যাওয়ার কথা বললেন। অনেক রাত হলো তো। মাকে থামিয়ে দিয়ে বললাম, বাবা কীভাবে মুক্তি পেলেন তাতো তো বল্লেনা। পরে বলবো বলে এড়িয়ে যেতে চাইলেও ভাবির অনুরোধে আবার শুরু করলেন।

বাবা খেলা নিয়ে ব্যস্ত থাকতেন। বারবারের মতোই ছিলেন সংসার বিমুখ। বিয়ের পরও সেই একই অবস্থা। দাদার পিড়াপিড়িতে বাড়ি ছাড়লেন। খেলোয়াড় কোটায় বাংলাদেশ টোব্যাকোতে চাকরিও পেলেন। চট্টগ্রামের ভাটিয়ারিতে অবস্থিত কোম্পানির অফিসে যোগ দিলেন। মাঝে মাঝে ঢাকার জাতীয় লীগেও খেলতেন।

১ অক্টোবর ১৯৭১, সকালে বাবা শহরের গেলেন অফিসের কাজে। এরকম মাঝে মাঝে তো যান। চট্টগ্রাম শহর থেকে ভাটিয়ারির দূরত্ব প্রায় ১০-১২ কিলোমিটার হবে। বাবার অফিসের পাশের গড়ে ওঠা কলেনিতে বসবাস করতো আমাদের পরিবার। সকাল ১০টা নাগাদ হঠাৎ গুলির শব্দ। মানুষের ছোটাছুটি, পাশের বাসার বাবার কলিগ আসে বল্লো ভাবি তৈরি হন, বের হতে হবে, পাকিস্তানি বাহিনী যে কোনো মুর্হতে কলোনিতে হামলা করতে পারে। বাবা বাসায় নেই বলার পর সবার অনুরোধে মা বাসা ছাড়লেন। চুলার ওপর যেভাবে রান্না বসানো ছিল সেই অবস্থায় হাতের কাছে সামান্য যা টাকা পয়সা ছিল তাই নিয়ে ছুটলেন বাড়ির পথে। অর্থাৎ নোয়াখালীর উদ্দেশে।

শহরে থাকা অবস্থায় বাবা যোগ দিলেন মুক্তিযুদ্ধে। এভাবে কেটে গেলো ২-৩ দিন। মুক্তিযোদ্ধাদের সাথে থাকা অবস্থায় তিনি খবর পেলেন মা কলোনি ছেড়ে চলে গেছেন। এ অবস্থায় যুদ্ধের ঠিকানা পাল্টালেন। অর্থাৎ মায়ের সন্ধানে তিনি মায়ের কাফেলার খোঁজে ছুটলেন।

এভাবে প্রায় ১০ দিন পর তিনি বাড়ি এসে মাকে পেলেন। কিন্তু আবার চলে গেলেন যুদ্ধে। মাঝে মাঝে বাড়ি আসেন, আবার চলে যান। এলাকার যুবকদের একত্রিত করে প্রশিক্ষণের ব্যবস্থাও করলেন। যেহেতু তিনি খেলা পছন্দ করতেন তাই শারীরিক গঠনও ভালো ছিল। তার ডাকে অনেক সাড়াও দিলেন। কয়েকদিন পর একরাতে বাবাকে রাজাকাররা ধরে নিয়ে যান বাড়ি থেকে। জ্বালিয়ে দেয়া হয় বাবার থাকার ঘর। আমাদের এক আত্মীয় সম্পর্কে আমার খালু ছিলেন রাজাকার। তার বদৌলতে বাবাকে অনেক কষ্টে ফিরিয়ে আনা হয়।

লেখক: জ্যেষ্ঠ সহ-সম্পাদক, দৈনিক যায়যায়দিন

ইএইচ