গণসংহতি আন্দোলনের বিক্ষোভে পুলিশের বাধা, আহত ৫

মো. মাসুম বিল্লাহ প্রকাশিত: আগস্ট ২৩, ২০২২, ০৪:৩২ পিএম

পুলিশি হেফাজতে মৃত্যু ও আয়নাঘরে নির্যাতনের বিচার এবং চা শ্রমিকদের দাবি মেনে নেয়াসহ জ্বালানি তেল ও নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম কমানোর দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে গণসংহতি আন্দোলন। এসময় সচিবালয়ের সামনে জিরো পয়েন্টে গিয়ে পুলিশি বাধার মুখে পড়েন তারা। পুলিশের বাধায় বিক্ষোভ পণ্ড হয়ে যায়। এসময় গণসংহতি আন্দোলনের ৫ জন কর্মী আহত হয়েছেন।

মঙ্গলবার (২৩ আগস্ট) দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ শেষে মিছিল নিয়ে সচিবালয়ের দিকে গেলে পুলিশি বাধায় পড়ে। এরপর গণসংহতির নেতাকর্মীরা জিরো পয়েন্ট থেকে পুনরায় প্রেস ক্লাবের সামনে এসে মিছিল সমাপ্ত করেন। আহতরা হলেন- গণসংহতির কেন্দ্রীয় সম্পাদক মন্ডলির সদস্য বাচ্চু ভুইয়া ও সদস্য সৌরভ হোসেন, রাবেয়া রফিক রিনি, মো. সজল, জুয়েল হোসেন।

এর আগে বিক্ষোভ সমাবেশে গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি বলেছেন, বর্তমানে আমাদের মাথাপিছু আয় কত তা চা শ্রমিকরা অঙ্ক করে বুঝিয়ে দিচ্ছেন। ন্যায্য মজুরির দাবিতে তারা অনেকদিন দিন ধরে আন্দোলন করে আসছে, অথচ সরকার তাদের দাবির ব্যাপারে উদাসীন। তারা তো রাষ্ট্র দখল করতে আসে নাই। তাদের আন্দোলনে এখানে কোন রাজনৈতিক পক্ষও  ঢুকে নাই। তাহলে তাদের এই ন্যায্য দাবি কেন মানা হচ্ছে না।

দিন-দিন চা পাতার দাম বাড়ছে। চায়ের রপ্তানিও বেড়েছে। তাহলে শ্রমিকদের বেতন বাড়েনা কেন।
তিনি বলেন, শুধু চা শ্রমিক নয়। গার্মেন্টস শ্রমিকদের মজুরি সমন্বয় এখনো হয়নি। প্রবাসী গার্মেন্টে শ্রমিকরা ডলার আনে বিদেশ থেকে। আর আমাদের লুটপাটের দল সেই ডলার বিদেশে নিজের একাউন্ট ভর্তি করে। ফ্যাসিবাদী সরকারের লুটতরাজদের কারণে আজ দেশের এই পরিস্থিতি।
সাকি বলেন, ফ্যাসিবাদী সরকারের বিরুদ্ধে যখনই মানুষ রাস্তায় নামে তখনই ছাত্রলীগ যুবলীগ দিয়ে হামলা চালানো হয়। গুম, খুন করা হয়। সারাদেশে বর্তমানে মানুষের ন্যায্য অধিকারের আন্দোলনে পুলিশ দিয়ে গুলি চালাচ্ছে।

আওয়ামী লীগকে উদ্দেশ্য করে সাকী বলেন, আপনারা মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বিক্রি করে মানুষের ভোটের অধিকার কেড়ে নিয়েছেন। অসাম্প্রদায়িকতা ও ধর্মনিরপেক্ষতার কথা বলে তারা নির্দিষ্ট শ্রেণির কাছে ভালো সাজতে চাইছেন। তাদের বিরুদ্ধে কেউ কথা বললেই তারা তাদেরকে রাজাকার-পাকিস্তানি ট্যাগ লাগিয়ে হেনস্তা করছে।

এবি