বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, জনগণের মধ্যে ঐক্য দেখে সরকার ভয় পেয়ে পেয়েছে। জনগণের ঐক্য দেখে সরকার ভীত হয়ে তাদের সন্ত্রাসী বাহিনী লেলিয়ে দিয়েছে।
সোমবার (২৯ আগস্ট) দুপুর ১২টায় জাতীয় প্রেসক্লাবে সাবেক প্রধানমন্ত্রী জাতীয় পার্টির (জাফর) প্রয়াত চেয়ারম্যান কাজী জাফর আহমদের সপ্তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে স্মরণসভায় তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, এ সরকার ক্ষমতায় থাকার জন্য দেশকে সম্পূর্ণভাবে ফ্যাসিবাদী একনায়কতান্ত্রিক কর্তৃত্ববাদী রাষ্ট্রে পরিণত করেছে। ২২ আগস্ট থেকে চাল-ডাল-তেলের মূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদ করতে গিয়ে ভোলায় আমাদের নেতা নূরে আলাম ও আব্দুর রহিম পুলিশের গুলিতে নিহত হয়েছেন। এরপর থেকে আমরা আন্দোলন শুরু করেছিলাম। বর্তমানে এ আন্দোলন দেশে বেগবান হয়েছে। প্রতিটি জায়গায় জনগণ স্বতঃস্ফূর্তভাবে নেমে আসছে। সরকারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করছে।
তিনি আরও বলেন, আমাদের গণতান্ত্রিক আন্দোলন দমন করতে পুলিশ বিভিন্ন জায়গায় গুলি করে নেতাকর্মীদের আহত করছে। এতে করে এ সরকারের ভয়াবহ সন্ত্রাসী চেহারা আবারও ফুটে উঠছে। তারা সবচেয়ে বড় ভয় পেয়েছে জনগণের একটা ঐক্য সৃষ্টি হয়েছে এটি দেখে।
ফখরুল বলেন, জনগণের এ ঐক্য সরকারের পতনকে তরান্বিত করবে। আমরা বিশ্বাস করি- এবার রাজনৈতিকদলগুলোর একটা ঐক্য সৃষ্টি হবে। সবাইকে আমরা আহ্বান করেছি, সবাইকে ঐক্যবদ্ধ করে ভয়াবহ দানবীয় এ সরকারকে সরিয়ে একটা গণতান্ত্রিক সরকার প্রতিষ্ঠা করতে চাই।
বিএনপির মহাসচিব বলেন, কাজী জাফরের কাজ আমাদের অনুপ্রাণিত করবে এ সরকারের বিরুদ্ধে। আমরা যারা ষাটের দশকে ছাত্র ছিলাম তারা কাজী জাফরকে একটা অগ্নিস্ফুলিঙ্গের মতো দেখেছি। তিনি সাম্রাজ্যবাদের বিরুদ্ধে গণতন্ত্রের পক্ষে একটি শোষণমুক্ত সমাজের পক্ষে ছিলেন। সারাজীবন লড়াই সংগ্রাম করেছেন।
খালেদা জিয়া আবারও অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন জানিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, আমরা দীর্ঘ সময় তার মুক্তির সংগ্রাম করছি। বারবার অনুরোধ জানিয়েছি তাকে বিদেশে নিয়ে চিকিৎসার জন্য। কিন্তু এ সরকার খালেদা জিয়াকে তাদের জন্য সবচেয়ে প্রতিবন্ধক মনে করে সেজন্য তাকে সেই সুযোগ দেয় না।
এবি