‘রাজপথে থেকেই বিএনপির সন্ত্রাস ও নৈরাজ্যের দাঁতভাঙ্গা জবাব দিবে যুবলীগ’

মো. মাসুম বিল্লাহ প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ২, ২০২২, ০৩:৫০ পিএম

দেশবিরোধী বিএনপি-জামাতের নৈরাজ্য, তাণ্ডব ও পুলিশের উপর হামলার প্রতিবাদে ঢাকা মহানগর উত্তর-দক্ষিণসহ সারাদেশে সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিল করেছে যুবলীগ। 

শুক্রবার (২ সেপ্টেম্বর) সকাল ১০টায়, ফার্মগেটে ঢাকা মহানগর যুবলীগ উত্তরের উদ্যোগে আয়োজিত বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন-বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস্ পরশ। 

একই সময় ২৩, বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে ঢাকা মহানগর যুবলীগ দক্ষিণের উদ্যোগে সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে যুবলীগ চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস্ পরশ বলেন- বঙ্গবন্ধুকন্যার নেতৃত্বে আজ যখন বাংলাদেশ সারা পৃথিবীতে উৎকৃষ্ট রাষ্ট্রীয় ব্যবস্থা ও মানবিকতার উদাহরণ হিসেবে দেখিয়ে যাচ্ছেন তখনই বিএনপি-জামাত তাদের মিথ্যা ও নৈরাজ্যের রাজনীতির অবতারণা করছে। এটাই তাদের চরিত্র।

তিনি আরও বলেন-১৯৭৫ পরবর্তী সময়ে আমরা যারা এই প্রজন্ম বড় হয়েছি পাঠ্যপুস্তকসহ রাজপথেও জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু বলতে পারি নাই। ইতিহাস বিকৃতির মাধ্যমে প্রজন্ম থেকে প্রজন্মকে নষ্ট করে দেওয়ার ঘৃণ্য ষড়যন্ত্রে লিপ্ত ছিল বিএনপি।

আজ বঙ্গবন্ধুকন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে এদেশের প্রকৃত ইতিহাস ফিরে এসেছে। উন্নয়নের ধারাবাহিকতা অব্যাহত রয়েছে। সেই মুহূর্তে বিএনপি তাদের মিথ্যাচার শুরু করেছে। 

তিন চার বছর ধরে আপনাদের খবর নেই এসি রুমে বসে দেশ ও জনগণের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের নীলনকঁশা একেছেন। আর নির্বাচন এলেই জ্বালাও-পোড়াও, নৈরাজ্য, সন্ত্রাস করেন। এ কারণেই এদেশের জনগণ আপনাদের প্রত্যাখান করেছে আগামী দিনেও জনগণ আপনাদের পাশে থাকবে না।

তিনি বিএনপিকে হুঁশিয়ার করে বলেন-আজ থেকে আমরা মাঠেই থাকবো, মাঠে থেকেই আপনাদের সকল নৈরাজ্য, সন্ত্রাস, ষড়যন্ত্র আর হিংসার জবাব দিবো। 

বিদেশে থেকে (তারেক রহমান) আপনাদের বিপথগামী করছে, জনগণকে বিভ্রান্ত করছে। সে যদি (তারেক রহমান) এতই বড় নেতা হয়ে থাকে তাহলে দেশে আসুক, আমাদের মোকাবিলা করুক।

তিনি যুবলীগের নেতা-কর্মীর উদ্দেশ্যে বলেন-জননেত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশকে উন্নয়নের যে জায়গায় নিয়ে গেছে বিএনপি জামাত যেন সেটা ধ্বংস করতে না পারে। 

যদি বিএনপি-জামাত এদেশের শান্তিপ্রিয় মানুষের শান্তি ও নিরাপত্তায় বিঘ্ন ঘটায়, জনগণের বন্ধু পুলিশের ওপর হামলা করে, জনগণের জান-মালের ক্ষতি করার চেষ্টা করে তাহলে বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের প্রত্যেক নেতা-কর্মী রাজপথে থেকে তার দাঁতভাঙ্গা জবাব দিবে।

এসময় উপস্থিত ছিলেন-যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য অ্যাড. মামুনুর রশীদ, আবু আহমেদ নাসিম পাভেল, মো. রফিকুল ইসলাম, মো. নবী নেওয়াজ, মো. এনামুল হক খান, মো. মোয়াজ্জেম হোসেন, ব্যারিস্টার সেলিম আলতাফ জর্জ এমপি, ইঞ্জিনিয়ার মৃনাল কান্তি জোদ্দার, মো. জসিম মাতুব্বর, মো. আনোয়ার হোসেন, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক বিশ্বাস মুতিউর রহমান বাদশা, সুব্রত পাল, মো. বদিউল আলম, ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নাঈম, মো. রফিকুল আলম জোয়ার্দার সৈকত, সাংগঠনিক সম্পাদক ডা. হেলাল, মো. সাইফুর রহমান সোহাগ, মো. জহির উদ্দিন খসরু, মশিউর রহমান চপল, অ্যাড. ড. শামীম আল সাইফুল সোহাগ, ঢাকা মহানগর যুবলীগ উত্তরের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি জাকির হোসেন বাবুল, দক্ষিণের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাইন উদ্দিন রানা, উত্তরের সাধারণ সম্পাদক মো. ইসমাইল হোসেন, দক্ষিণের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি এইচ এম রেজাউল করিম রেজা, কেন্দ্রীয় যুবলীগের প্রচার সম্পাদক জয়দেব নন্দী, দপ্তর সম্পাদক মো. মোস্তাফিজুর রহমান মাসুদ, শিক্ষা প্রশিক্ষণ ও পাঠাগার সম্পাদক ব্যারিস্টার আলী আসিফ খান রাজিব, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক মো. সাদ্দাম হোসেন পাভেল, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক মোঃ শামছুল আলম অনিক, উপ-দপ্তর সম্পাদক মো. দেলোয়ার হোসেন শাহজাদা।