আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, ‘বিএনপি যখন প্রমাণ করেছে তারা স্বাধীনতাবিরোধী অপশক্তি, চেতনায় পাকিস্তানকে লালন করে এবং দেশকে আবার পাকিস্তান বানানোর স্বপ্ন দেখে, সুতরাং তাদেরকে সমস্ত জায়গায় প্রতিহত করা হবে।’
বুধবার (২১ সেপ্টেম্বর) সকালে রাজধানীতে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোট আয়োজিত ‘বিএনপি মহাসচিবের দেশবিরোধী ষড়যন্ত্র ও রাষ্ট্রদ্রোহী বক্তব্যের প্রতিবাদে মানববন্ধন ও সমাবেশে’ প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এ আহ্বান জানান।
ড. হাছান বলেন, ‘মির্জা ফখরুল সাহেব তার বক্তব্যের মাধ্যমে পরিস্কার করেছেন, তারা হৃদয়ে পাকিস্তানকে লালন করে এবং সুযোগ পেলে তারা এই বাংলাদেশকে পাকিস্তান বানিয়ে ফেলবে। স্বাধীনতার ৫১ বছর পর তিনি তার বসতভিটায় বসে কিভাবে বলেন যে পাকিস্তানই ভালো ছিল! তার এই বক্তব্য মুক্তিযুদ্ধের প্রতি অবমাননা, মুক্তিযোদ্ধা এবং শহীদদের প্রতি অবমাননা, আমাদের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্বের প্রতি বৃদ্ধাঙ্গুলি প্রদর্শন।’
তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘মানবউন্নয়ন, সামাজিক, অর্থনৈতিকসহ সমস্ত সূচকে আমরা পাকিস্তানকে বহু আগেই আমরা অতিক্রম করেছি। এবং যেখানে পাকিস্তান নিজেরাই বলছে, বাংলাদেশ তাদেরকে পেছনে ফেলে বহু দূর এগিয়ে গেছে, তারা আজকে বাংলাদেশের দিকে তাকিয়ে হা-হুতাশ করে সেখানে মির্জা ফখরুল সাহেব বলেন- পাকিস্তানই ভাল ছিলো! এই কথার মাধ্যমে বিএনপি মহাসচিব প্রমাণ করেছেন বিএনপি স্বাধীনতাবিরোধী। স্বাধীনতার ৫১ বছর আমরা দেশটাকে স্বাধীনতাবিরোধীদের হাতে তুলে দিতে পারি না।’
‘রাজপথে আন্দোলনের নামে বিএনপি গাড়িঘোড়া ভাংচুর করছে, মানুষের ওপর হামলা পরিচালনা করছে’ উল্লেখ করে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাছান মাহমুদ বলেন, ‘দেশের মানুষ ও সংস্কৃতিকর্মীরা যেভাবে একাত্তরে স্বাধীনতাবিরোধী অপশক্তির বিরুদ্ধে দাঁড়িয়েছিল, আজকে মির্জা ফখরুলের বক্তব্যে স্বাধীনতাবিরোধী হিসেবে প্রমাণিত বিএনপিকেও সব জায়গায় প্রতিহত করতে হবে, প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে। আজকের সমাবেশ থেকে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের সকল শক্তির প্রতি, বাংলাদেশের সাংস্কৃতিককর্মীদের প্রতি, ছাত্র-যুবক-জনতা সবার প্রতি এই আহ্বান জানাই।
বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের কার্যকরী সভাপতি স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের শিল্পী রফিকুল আলমের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক অরুণ সরকার রানার সঞ্চালনায় আওয়ামী লীগের সাংস্কৃতিক সম্পাদক অসীম কুমার উকিল প্রধান বক্তা, ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক শাহ আলম মুরাদ বিশেষ অতিথি হিসেবে এবং বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের সহসভাপতি রোকেয়া প্রাচী, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক লায়ন মুহাম্মদ মীযানুর রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক সুজন হালদার, আবৃত্তি সম্পাদক মুনা চৌধুরী, কেন্দ্রীয় সদস্য রাজ সরকার প্রমুখ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন।