আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, আওয়ামী লীগকে রাজপথের ভয় দেখাচ্ছেন। ডিসেম্বর মাসে ১০ লাখ নিয়ে বসবেন কোথায়? ঢাকার রাজপথে? ডিসেম্বর বিজয়ের মাস, ডিসেম্বর আপনাদের নয় আমাদের মাস, মুক্তিযুদ্ধের মাস। ডিসেম্বরে বিজয়ের পতাকা হাতে লাখ লাখ লোক ঢাকার রাজপথে নামবে। আজ ইউনিভার্সিটি ল্যাবরেটরি স্কুল অ্যান্ড কলেজে বঙ্গবন্ধুর কনিষ্ঠপুত্র শহীদ শেখ রাসেলের জন্মদিন উপলক্ষে স্বপ্ন ও সম্ভাবনার স্ফুলিঙ্গ-শেখ রাসেল’ শীর্ষক আলোচনা সভা ও শিক্ষার্থীদের মাঝে মেধাবৃত্তি, দরিদ্র তহবিলে বিশেষ অনুদান ও শিক্ষা উপকরণ প্রদান অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানটির আয়োজন করে আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ উপ-কমিটি।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, বিদেশীদের কাছে ধর্ণা দেন, তাদের কাছে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে নালিশ করেন। আবার বড় বড় কথা বলেন, লজ্জা করে না। আপনাদের লজ্জা থাকা উচিত। তিনি বলেন, ভারতে নরেন্দ্র মোদী ক্ষমতায় আসার পর ছুটির দিন ভোর বেলা গিয়ে ফুল আর মিষ্টি হাতে দূতাবাসের সামনে দাঁড়িয়ে, কারা গিয়েছিল। নরেন্দ্র মোদী তাদের ক্ষমতায় বসাবে। কোন বিদেশী শক্তি কাউকে ক্ষমতায় বসাবে না। বাংলাদেশের জনগণই ক্ষমতায় বসাতে পারে।
বিএনপির সমাবেশে জনসমাগম দেখে আওয়ামী লীগের মাথা খারাপ হয়ে গেছে’-বিএনপি নেতাদের এমন বক্তব্যের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, আমাদেরকে লোকের ভয় দেখান? গতকাল রাসেলের জন্মদিনে বনানীর দৃশ্য কি দেখেছেন? খালি নিজেদের মিটিং দেখেন। বনানীতে ফুল দিতে ওখানে কত হাজার তরুণ উপস্থিত ছিল। বড় বড় কথা বলেন। দেখবেন লোক, ২৩ তারিখে নারায়ণগঞ্জে আসেন, সম্মেলন; জনসভা নয়। ২৯ তারিখে ঢাকা জেলার। আসুন বঙ্গবন্ধু কনভেনশন সেন্টারের পাশে যেখানে বাণিজ্য মেলা হত, সেখানে ঢাকা জেলার সম্মেলন। লোক দেখতে চান? সেখানে শেখ হাসিনা আসছেন না। আওয়ামী লীগের অন্য নেতারা যাবে। লোক কত হয় দেখতে আসেন।
বিএনপির উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, ফখরুল সাহেব, ২০০১ সালের পুনরাবৃত্তি হবে না ইনশাআল্লাহ। ২০০১ সাল ভুলে যান। এখন ২০২২ সাল। ২০০১ সালে কত যে কুকর্ম করেছেন ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য। ক্ষমতায় এসে লুটপাট, রক্তপাত, দুঃশাসন, নারী নির্যাতন, গুম, খুন কি না করেছেন। সেই দুঃশাসন, সেই লুটপাটের হাওয়া ভবনে বাংলাদেশের মানুষ আর ফিরে যাবে না। সেই সাম্প্রদায়িক নির্যাতনের দেশে বাংলাদেশের মানুষ আর যাবে না।
আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য বেগম মতিয়া চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন সভাপতিমন্ডলীর সদস্য আব্দুর রহমান, মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া (বীরবিক্রম), কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সদস্য আনোয়ার হোসেন, আনিসুর রহমানসহ অন্যান্যরা। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন ত্রাণ ওসমাজকল্যাণ সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী।
এবি