১০ ডিসেম্বর বিএনপির গণসমাবেশ

পরিবহন ধর্মঘট না ডাকার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর

মো. মাসুম বিল্লাহ প্রকাশিত: নভেম্বর ২৮, ২০২২, ১০:১৫ এএম

রাজধানীতে বিএনপির গণসমাবেশ ঘিরে কেউ যেন পরিবহন ধর্মঘট ডাকতে না পারে, সে বিষয়ে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। একই সঙ্গে আগামী ৬ ডিসেম্বর ছাত্রলীগের সম্মেলন শেষ হওয়ার দু‍‍`দিনের মধ্যেই সম্মেলন মঞ্চ ও প্যান্ডেল সরিয়ে ফেলার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। এর আগে বিএনপির গণসমাবেশের নির্বিঘ্ন আয়োজনের স্বার্থে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশেই ছাত্রলীগের সম্মেলনের তারিখ পূর্বঘোষিত ৮ ডিসেম্বর থেকে দু‍‍`দিন এগিয়ে আনা হয়েছে।

রোববার (২৭ নভেম্বর) প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে আওয়ামী লীগের স্থানীয় সরকার জনপ্রতিনিধি মনোনয়ন বোর্ডের বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী এমন নির্দেশনা দেন। তিনি বলেন, সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বিএনপিকে নির্বিঘ্নে গণসমাবেশ অনুষ্ঠানের সুযোগ করে দিতে এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে গণসমাবেশ ঘিরে কেউ যেন কোনো ধরনের পরিবহন ধর্মঘট ডাকতে না পারে, সে বিষয়েও কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে।

এর আগে বিএনপির চলমান বিভাগীয় গণসমাবেশগুলোতে বাধাগ্রস্ত করতে পরিকল্পিত পরিবহন ধর্মঘট ডাকার অভিযোগ উঠেছিল। চট্টগ্রাম ও কুমিল্লার বিভাগীয় গণসমাবেশ বাদে সবগুলো গণসমাবেশের আগেই এমন পরিবহন ধর্মঘট ডাকার অভিযোগ ওঠে। 

আগামী ৩ ডিসেম্বর রাজশাহীতে বিভাগীয় গণসমাবেশের কর্মসূচি থাকলেও ১ ডিসেম্বর থেকে সেখানেও পরিবহন মালিক ও শ্রমিক সংগঠনের ব্যানারে পরিবহন ধর্মঘট ডাকা হয়েছে। এই অবস্থায় ১০ ডিসেম্বর ঢাকায় বিএনপির মহাসমাবেশকে ঘিরে পরিবহন ধর্মঘট না ডাকার বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর উল্লেখিত নির্দেশনা এলো।

তবে ১০ ডিসেম্বরের গণসমাবেশের বিষয়ে সরকারের এমন নমনীয় অবস্থানের পরও বিএনপির সংশয়ের অবসান হচ্ছে না। এটা সরকারের কোনো ‍‍`রাজনৈতিক কৌশলের অংশ‍‍` কিনা সে নিয়ে সন্দেহ করছেন দলটির নেতারা। তারা বলছেন, কৌশলে নয়াপল্টনে দলীয় কার্যালয়ের সামনে যাতে গণসমাবেশ করতে না পারে, সেটি নিশ্চিত করতেই সরকার এমন ফাঁদ পাততে পারে। তবে উদ্ভূত পরিস্থিতিতে দলীয় ফোরামে আলোচনার পরই এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলেও জানিয়েছেন দলটির নেতারা।

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, পুলিশ কমিশনারের পক্ষ থেকে এখনও আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু জানানো হয়নি। আমরা এখনও নয়াপল্টনে গণসমাবেশ করার পক্ষে রয়েছি। আমাদের জানানোর পর দলীয় ফোরামে এ বিষয়ে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

এ বিষয়ে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক আব্দুস সালাম জানান, তারা নয়াপল্টনে সমাবেশ করার জন্য ইতোমধ্যে আবেদন করেছেন। প্রশাসন থেকে যেভাবে বলা হচ্ছে- বিএনপির সমাবেশে অনেক বেশি লোকসমাগম হবে, নয়াপল্টনে জায়গার সংকুলান হবে না। 

এসব বলার মানে কী? তাদের এ বিষয়ে চিন্তা করতে বলা হয়নি। বিএনপির সমাবেশে কত লোক হবে, কেমন হবে তাদের সেটা বলার দায়িত্ব নয়। তাদের দায়িত্ব, বিএনপির সমাবেশ যাতে নির্বিঘ্নে হয় তার তদারকি করা।

টিএইচ