পুলিশ দিয়ে রাজনীতির খেলা হয় না

শেখ হাসিনার হাত থেকে মানুষ মুক্তি চায়: বরকত উল্লাহ বুলু

মো. মাসুম বিল্লাহ প্রকাশিত: ডিসেম্বর ১০, ২০২২, ০২:৫৭ পিএম

বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ও সাবেক মন্ত্রী বরকত উল্লাহ বুলু বলেছেন, তারেক রহমানের নির্দেশে যে আন্দোলন শুরু হয়েছে তা আর থামবে না। শেখ হাসিনার হাত থেকে মানুষ মুক্তি চায়।

শনিবার (১০ ডিসেম্বর) রাজধানীর গোলাপবাগে বিএনপির বিভাগীয় গণসমাবেশে তিনি এই কথা বলেন।

তিনি বলেন, বাকশালের আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ ছিলো। এদের কল্যাণ রাষ্ট্র তৈরি করেছেন জিয়াউর রহমান। অর্থনৈতিক চাকা তার হাত ধরেই। তারেক রহমানের নির্দেশে যে আন্দোলন শুরু হয়েছে তা আর থামবে না। শেখ হাসিনার হাত থেকে মানুষ মুক্তি চায়। আজকে সমাবেশে যে কর্মসূচি আসবে তা পালনে প্রস্তুত থাকতে আহ্বান জানান।

গণসমাবেশে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল নোমান বলেন, আজকে বাংলা দেশের যে রাজনীতি তা হচ্ছে বাকশালী রাজনীতি। আজকে দেশে যে সংকট তা শুধু বিএনপির নয়। দেশের সব মানুষের সংকট।

আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনাকে উদ্দেশ্য করে বলেন, একটা দেশের প্রধানন্ত্রী কিভাবে বলেন, হাত পা ভেঙে দিতে। তিনি সন্ত্রাসীর মতো কথা বলেন। তাই এই সরকারকে এখন সরিয়ে দিতে হবে। খালেদা জিয়াকে সামনে রেখে আবারো দেশ ঠিক করতে হবে। আজকে আমাদের শীর্ষ নেতারা সবাই কারাগারে। তাদের অপরাধ তারা রাজনীতি করেন। আজকে যদি মির্জা আব্বাস রাজনীতি না করতেন তিনি অনেক ভালো থাকতেন।

সমাবেশে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু বলেন, আজ থেকে চারমাস আগে ঢাকার সমাবেশের সিদ্ধান্ত নিই। কিন্তু এতেই সরকার পাগল হয়ে যায়। আমাদের উপর চালানো হয় হামলা মামলা। আমাদের সকল সমাবেশে বাধা দিয়ে একটি ও আটকাতে পারেনি। সরকার ব্যর্থ।তার পায়ের মাটি সরে গেছে। ওবায়দুল কি বলে খেলা হবে। আমরা তাদের সাথে খেলতে চাই না। শুধু খেলা দেখলাম। যারা প্রজতন্ত্রের চাকর তারা কিভাবে আমাদের দলীয় কর্মীদের উপর হামলা চালালো।৭১ সালের কায়দা পুলিশ গুলি চালায়। তাদের গুলিতে আমাদের পার্টি অফিসের সামনে একজন মারা যায়। পুলিশ দিয়ে রাজনীতির খেলা হয় না। রাজনীতির খেলা রাজনীতি দিয়ে করতে হয়।

তিনি বলেন, পুলিশ দিয়ে আমাদের দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল, স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসসহ অনেক নেতাকে ধরে নিয়ে গেছে। তারপর ও এই সভা বন্ধ করা যায়নি। কিন্তু মানুষ রাস্তায় নেমে গেছে। তাদের আটকে রাখা যায়নি। আমরা আসরের সময় অনুমতি পেয়েছি। মাগরিবের মধ্যেই মাঠ পূর্ণ হয়ে যায়।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সেলিমা রহমান বলেছনে,আমাদের শীর্ষ নেতাদের ধরে নিয়ে গেছে তবুও আমাদের নেতাকর্মী কিংবা জনগন ভয় পায়নি। আমাদের ১১জন নেতাকে খুন করা হয়ছে। পুলিশ ভয় পেয়ে এই সমাবেশ নষ্ট করতে চেয়েছে পারেনি। আজকে এই সমাবেশ যাত্রাবাড়ী, মতিঝিল ও মুগদা পর্যন্ত চলে গেছে। মানুষ রাস্তায় নেমে গেছে। আর পেছনে ফিরে তাকাবে না। এক দফার আন্দোলনে সবাই একমত।
 

ইএফ