গত ১৪ বছরে বিএনপির ডাকে জনগণ সাড়া দেয়নি: তথ্যমন্ত্রী

মো. মাসুম বিল্লাহ প্রকাশিত: ডিসেম্বর ১৩, ২০২২, ০৩:৪৬ পিএম

আগামী ২৪ ডিসেম্বর বিএনপি গণমিছিলের ডাক দিয়েছে, এ বিষয়ে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, ২৪ ডিসেম্বর আওয়ামী লীগের সম্মেলন, ওই দিন এ ধরনের গণমিছিলের ডাক দেওয়া দুরভিসন্ধিমূলক। এভাবে যুগপৎ আন্দোলন, যৌথ আন্দোলন বিভিন্ন সময় তারা ডাক দেয়। গত ১৪ বছর ধরে তারা বিভিন্ন সময় ডাক দিয়েছে, তাদের ডাকে জনগণ সাড়া দেয়নি। এবারও যথারীতি তাই হবে।

মঙ্গলবার (১৩ ডিসেম্বর) সচিবালয়ে তথ্য অধিদপ্তরের সম্মেলনকক্ষে সাংবাদিক মোতাহার হোসেন সম্পাদিত ‘বঙ্গবন্ধুর তিন প্রজন্মের রাজনীতি’ ও ২টি জীবনীগ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন। 

সম্প্রতি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে বিভিন্ন দূতাবাসে দেওয়া চিঠির বিষয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে হাছান মাহমুদ বলেন, দূতাবাসে গিয়ে বিএনপির পক্ষ থেকে অতিরঞ্জিত করে নানা বিষয় উপস্থাপন করা হয় এবং তাদের প্রমোট করা হয়, যাতে তারা আমাদের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে নাক গলায়। তাদের সঠিক তথ্য সরবরাহ করার স্বার্থে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে তথ্যগুলো জানানো হয়েছে।

চার দিনপর সোমবার বিএনপি অফিস খুলে দিয়েছে পুলিশ। বিএনপির নেতারা অফিস দেখে বলেছে, এই অফিস আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এমনভাবে তছনছ করেছে, যা ৭১ সালের পাকবাহিনীও এ ধরনের নৃশংসতা করেনি। এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, যে অফিসে তাজা বোমা পাওয়া গেছে সে অফিসে তো তন্ন তন্ন করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তল্লাশি করবে, এটা খুবই স্বাভাবিক।

তিনি বলেন, বোমার সঙ্গে সেখানে কোনো গ্রেনেড আছে কি না, সেটি দেখতে যাওয়া বা অন্যান্য কোনো কিছু আছে কি না, মরণাস্ত্র আছে কি না, সেটি জিয়াউর রহমান কিংবা খালেদা জিয়ার ফটোর বাক্সের ভেতর ঢুকিয়ে রেখেছে কি না, সেটা তো আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে দেখতেই হয়।’

তথ্যমন্ত্রী বলেন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তদন্তের স্বার্থে সেখানে তল্লাশি চালিয়েছে এবং সেই তল্লাশিকে তারা (বিএনপি) যেভাবে অতিরঞ্জিত করে বলছে, আসলে ১০ ডিসেম্বর তারা প্রচণ্ড ফ্লপ করেছে। যে হাঁকডাক দিয়ে তারা সমাবেশের ডাক দিয়েছিল সেটার তুলনায় কিছুই করতে পারেনি। ১০ লাখ মানুষের সমাবেশ করবে বলে বড়জোর ৫০ হাজার মানুষের একটি সমাবেশ করেছে, তাও একটি গরুর হাটের ময়দানে। সেই কারণে মুখ রক্ষার জন্য এখন নানা ধরনের অভিযোগ-অনুযোগ উপস্থাপন করার চেষ্টা করছে।

২০২০ সালে ব্যাংকগুলো সুদের হার সিঙ্গেল ডিজিটে নিয়ে আসে। বর্তমানে মূল্যস্ফীতির ফলে ব্যাংকে টাকা রেখে ঠকছেন আমানতকারীরা—এ বিষয়ে মতামত জানতে চাইলে তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী বলেন, এখন ইউরোপে আমানতের ওপর ব্যাংকের সুদের হার এক শতাংশ। মূল্যস্ফীতি কোনো কোনো দেশে ১০ শতাংশ, ৮ শতাংশ এবং ১১ শতাংশ। ৭০ শতাংশও আছে। 

তাহলে কি সেখানেও ব্যাংকের সুদের হার ১০, ২০ বা ৮০ শতাংশ করতে হবে। শুধু ব্যাংকের আমানতের সুদ হার কখনো মূল্যস্ফীতির সঙ্গে তুলনা করে কোনো রিপোর্ট করা হলে, তাহলে সেটা মিস লিডিং রিপোর্ট। এতে মানুষকে বিভ্রান্ত করা হয়। আমি মনে করি এ ধরনের বিভ্রান্তিকর রিপোর্ট করা সমীচীন নয়।

টিএইচ