দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে নতুন জোট ঘোষণা করেছে ১৭টি দল। ন্যাশনাল পিপলস পার্টি-এনপিপির নেতৃত্বে ১৭ দল নিয়ে নির্বাচনী জোট ‘গণতন্ত্র বিকাশ মঞ্চ’ আনুষ্ঠানিক ঘোষণা করা হয়েছে। এনপিপি’র চেয়ারম্যান শেখ ছালাউদ্দিন ছালুর সভাপতিত্বে শনিবার (৭ জানুয়ারি) সকালে জাতীয় প্রেস ক্লাবের আব্দুস সালাম হলে এ নির্বাচনী জোটের ঘোষণা করা হয়।
দলগুলো হলো- ন্যাশনাল পিপলস পার্টি (এনপিপি), জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি (জাগপা), ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি-ন্যাপ ভাসানী, ডেমোক্রেটিক পার্টি বাংলাদেশ (ডিপিবি), বাংলাদেশ ইসলামী ঐক্য ফ্রন্ট, বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক আন্দোলন-বিজিএ, বাংলাদেশ মানবাধিকার আন্দোলন, বাংলাদেশ নাগরিক কল্যাণ পার্টি, বাংলাদেশ কনজারভেটিভ পার্টি (বিসিপি), গণমুক্তি পার্টি, বাংলাদেশ পল্লি উন্নয়ন পার্টি, বাংলাদেশ ন্যায় বিচার পার্টি, ইসলামিক ডেভেলপমেন্ট পার্টি, বাংলাদেশ জাতীয় লীগ, বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ পার্টি, বাংলাদেশ আইডিয়াল পার্টি এবং বাংলাদেশ জনকল্যাণ পার্টি।
লিখিত বক্তব্যে এনপিপি’র চেয়ারম্যান শেখ ছালাউদ্দিন ছালু বলেন, এনপিপি একটি নির্বাচনমুখী দল। আমরা মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাস করি। আমরা সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতিতে বিশ্বাস করি। আমরা শান্তির রাজনীতিতে বিশ্বাস করি। আমরা দেশের উন্নয়নে বিশ্বাস করি। মৌলিক অধিকার রক্ষায় বিশ্বাস করি।
২০২৪ সালের জানুয়ারি মাসে সংবিধান অনুযায়ী জাতীয় সংসদ নির্বাচন হবে। সেই নির্বাচনকে লক্ষ্য রেখে ১৭টি দল নিয়ে আমরা একটি নির্বাচনী জোট করলাম। গণতন্ত্র বিকাশ মঞ্চ চায় সুষ্ঠু ধারার রাজনীতি, সম্প্রীতির রাজনীতি, সাম্যের রাজনীতি, দুর্নীতি ও মাদকবিরোধী রাজনীতি। আগামী নির্বাচনে আমরা ৩০০ আসনে অংশগ্রহণ করব।
এসময় দেশ ও জনকল্যাণে ‘গণতন্ত্র বিকাশ মঞ্চ’র ১৮ দফা ঘোষণা করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে নেতারা অভিযোগ করেন, বিএনপি চায় না তার জোটের ছোট-ছোট দলের শক্তি বাড়ুক। তাই এক পর্যায়ে এসে ২০ দলীয় জোট ভেঙে দিয়ে বিএনপি এখন হালকা হয়েছে। দেশের চলমান সংকট মোকাবেলায় জনগণের অধিকার ফিরিয়ে দেয়ার লক্ষ্য সামনে রেখে ১৭টি দল নিয়ে এই জোট গঠনের কথা জানান মঞ্চের নেতারা।
এনপিপির চেয়ারম্যান ছালাউদ্দিন ছালু বলেন, একদিকে ঐক্যের ডাক, অন্যদিকে ঐক্য ভেঙে দেয়া- এটা পরস্পর বিরোধী। আসলে বিএনপি চায় না, ছোট ছোট দলগুলো তাদের মাথার উপর থাকুক। বিএনপি শক্তি বৃদ্ধি করে নাই। তাই জোট ভেঙে দিয়ে তারা হালকা হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন- এনপিপি’র মহাসচিব মো. ইদ্রিস চৌধুরী, সিনিয়র প্রেসিডিয়াম সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. আব্দুল হাই মণ্ডল, জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টির (জাগপা) সভাপতি এ কে এম মহিউদ্দিন আহাম্মেদ (বাবলু), ন্যাশনাল আওয়ামী পাটি-ন্যাপ ভাসানীর চেয়ারম্যান মো. আব্দুল হাই সরকার, এনপিপি’র প্রেসিডিয়াম সদস্য শেখ আবুল কালাম, মো. আনিসুর রহমান দেওয়ান, সৈয়দ মাহমুদুল হক আক্কাছ, ডেমোক্রেটিক পার্টি বাংলাদেশের (ডিপিবি) চেয়ারম্যান অ্যাড. জাহাঙ্গীর হোসেন খান, বাংলাদেশ ইসলামী ঐক্যফ্রণ্টের সভাপতি মুফতি হাবিবুর রহমান হাওলাদার, বাংলাদেশ মানবাধিকার আন্দোলনের সভাপতি খাজা মহিবউল্যাহ শান্তিপুরী, বাংলাদেশ নাগরিক কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান মো. শহীদুন্নবী ডাবলু, বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক আন্দোলন-বিজিএ’র চেয়ারম্যান এ আর এম জাফরুল্লাহ চৌধুরী, বাংলাদেশ কনজারভেটিভ পার্টির (বিসিপি) চেয়ারম্যান মো. আনিসুর রহমান দেশ, বাংলাদেশ জাতীয় লীগের চেয়ারম্যান মো. হারুন অর রশিদ, বাংলাদেশ পল্লী উন্নয়ন পার্টির চেয়ারম্যান কাজী জহিরুল ইসলাম মনি প্রমুখ।
টিএইচ