বঙ্গবন্ধুকে রক্ষাকারীরা নিজেদের বাঁচাতে ব্যস্ত ছিলো: মতিয়া চৌধুরী

নিজস্ব প্রতিবেদক প্রকাশিত: জানুয়ারি ২০, ২০২৩, ০১:৫৫ পিএম

সংসদ উপনেতা ও আওয়ামী লীগের সভাপতি মণ্ডলীর সদস্য মতিয়া চৌধুরী এমপি বলেন, বঙ্গবন্ধু বাঙালিদের  বেশি ভালোবাসতেন, এজন্যই আমরা তাঁকে হারিয়েছি। তাঁকে রক্ষার দায়িত্বে যারা ছিলো তারা নিজেদের বাচাতে গাঁ ঢাকা দিয়েছিল, সেইভাবে এগিয়ে আসেনি; এজন্যই বঙ্গবন্ধু হত্যা হয়েছিল। এটা বলতে বাধ্য হচ্ছি। আর এটা প্রতিষ্ঠিত সত্য ।

শুক্রবার (২০) জানুয়ারি সকাল ১০টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি মিলনায়তনে জাতির পিতার ঐতিহাসিক স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে ‘ভেঙেছ দুয়ার, এসেছ জ্যোতির্ময়’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।

মতিয়া চৌধুরী বলেন, পাকিস্তানের কারাগারে কবর খুঁড়ে নানান মানসিক নির্যাতন করেছিল বঙ্গবন্ধুকে। তিনি এসব সহ্য করেছেন এ দেশের মানুষের মুক্তির জন্য। তিনি হাসি মুখে ফাঁসি কাষ্টের জন্য অপেক্ষা করেছিলেন পাকিস্তানের কারাগারে। সেখান থেকে ফিরতে পেরে যে কিরকম উপলব্ধি হয়েছিলো তা একমাত্র যারা রাজনীতি করে জেল খেটেছেন তারা বুঝতে পারবেন।

অগ্নিকন্যা খ্যাত মতিয়া চৌধুরী আরো বলেন, সেদিন তার বক্তব্যে আবেগে কন্ঠরুদ্ধ হয়ে আসছিলো। তবে সেদিন ভুট্টোকে বলেছিলেন, আপনাদের সঙ্গে হবেনা। আমরা বাংলাদেশের মাটি আর মানুষকে নিয়ে এগিয়ে যাবো।

বঙ্গবন্ধু  সেদিন কবি গুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সেই উক্তি লক্ষ্য করে বলেছিলেন যে দেখে যান বাঙালি এখন মানুষ হয়েছে।

সেই ধারা ঠিক রাখতে তার সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী অব্যাহত রেখেছেন। তার নেতৃত্বে অন্ন, বস্ত্র, শিক্ষা, বাসস্থানের যে নিশ্চয়তা দিয়েছেন, তা স্পষ্ট  এবং এটা বঙ্গবন্ধুর প্রতিশ্রুতি ছিলো যে এ দেশের মানুষের এ সকল কষ্ট দূর করার জন্যই তিনি স্বপ্ন দেখেছিলেন আজ তা পূরণ হচ্ছে।

শিক্ষা ব্যবস্থার উন্নয়নের কথা বলতে গিয়ে তিনি বলেন, শিক্ষা ব্যবস্থার আমুল পরিবর্তনের বঙ্গবন্ধু ড. কুদরতি খোদার কমিশন গঠন করেছিলেন। যাতে এ দেশের মানুষ বিজ্ঞান মনস্কতার সঙ্গে উন্নত মনস্কসম্পন্ন হয় এবং  স্মার্ট বাংলাদেশের মূল ভিত্তিভূমিই হলো সেই কুদরতি খোদার কমিশন। এটাকে সামনে নিয়েই জননেত্রী এ দেশের শিক্ষা ব্যবস্থা কে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন।

প্রধান আলোচকের বক্তব্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ উপাচার্য অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ সামাদ বলেন, বঙ্গবন্ধু

পরিবারের ত্যাগ ছিলো অপরিসীম। তারা এখানে সেখানে ছুটে বেড়াতেন, প্রতি মুহূর্তে ছিলো মৃত্যু ভয়। ৪৩ এর দুর্ভিক্ষের সময় বঙ্গবন্ধু নোঙ্গর খানা খুলেছিলেন। তিনি মুষ্টি তুলে এটা চালাতেন। বাংলাদেশের যা কিছু  অর্জন সবকিছুর জন্য অবদান বঙ্গবন্ধুর।

বিশেষ আলোচকের বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী ও আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া বলেন, বঙ্গবন্ধু শুধু বাঙালি নয় সারা বিশ্বের রোল মডেল। তার সুযোগ্য কন্যার নেতৃত্বে আমরা উন্নয়নের দিকে এগিয়ে যাচ্ছি, যাবো।

বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসেনের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালি আসিফ ইনানের সঞ্চালনায় এ সময় আরও বক্তব্য রাখেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতি মাজহারুল কবির শয়ন ও সাধারণ সম্পাদক তানভীর হোসাইন সৈকত প্রমুখ।

এআরএস