বিএনপি নেতা ইঞ্জিনিয়ার ইসরাক হোসেন বলেছেন, বাংলাদেশের মানুষ আজ এই সরকারের বিরুদ্ধে মানুষ জেগে উঠেছে। আগামী দিনে দুর্বার আন্দোলনের মাধ্যমে এই সরকারকে বিদায় করতে হবে। এর কোন বিকল্প নেই।
বুধবার (২৫ জানুয়ারি) বিকেলে নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে আয়োজিত এক সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।
গ্যাস, তেল, বিদ্যুতের মূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদ ও সকল রাজবন্দিদের মুক্তির দাবিতে এই সমাবেশের আয়োজন করে ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ বিএনপি।
ক্ষমতাসীন সরকারের সমালোচনা করে ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেন বলেন, ১৯৭৫ সালে বাকশাল কায়েম করা হয়েছিল। মাত্র চারটি পত্রিকা ব্যতীত সকল গণমাধ্যমকে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। সকল ক্ষমতায় এক ব্যক্তিকেন্দ্রিক করা হয়েছিল।
আজকেও স্বাধীনতার ৫০ বছর পরে এসে এই খুনি ফ্যাসিবাদী ভোট ডাকাত ব্যাংক ডাকাতি শেখ হাসিনার সরকার আবার বাকশাল কায়েম করেছে। আবার কালো আইন দিয়ে বাংলাদেশের মিডিয়াকে কুক্ষিগত করেছে, নিয়ন্ত্রণ করছে।
তিনি বলেন, সেই বাকশালে যেমন বিচারপতিকে নিয়োগ দেওয়ার ক্ষমতা এক ব্যক্তির হাতে ন্যাস্ত করা হয়েছিল এখনো এই সরকারের সময় এসকে সিনহাকে দেশ ত্যাগে বাধ্য করা হয়েছে। ঠিক একই কায়দায় আবারও বাকশালের এজেন্ডা বাস্তবায়ন করতে চলেছে।
ইশরাক বলেন, ১০ ডিসেম্বর ঢাকার সমাবেশের পূর্বে যেভাবে নেতাকর্মীদের ওপর নির্যাতনের স্টিম রোলার চালানো হয়েছে, সারাদেশে নেতা কর্মীদের ওপর অত্যাচার চালানো হচ্ছে। আমাদের নেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে যেদিন মুক্ত করে আনতে পারব সেদিনের দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হবে। আমরা যদি আমাদের নেত্রীকে মুক্ত করতে না পারি তাহলে বাংলাদেশের মানুষের মাঝে কিভাবে গণতন্ত্র ফিরিয়ে দেবো।
কর্মীদের উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, বর্তমান সরকার দেশকে যেভাবে অন্ধকারের দিকে ঠেলে দিয়েছে সেখান থেকে দেশকে উদ্ধার করে আনতে হবে। কোন ভয় পাবেন না, জনগণ আমাদের সাথে রয়েছে। বিজয় আমাদের সুনিশ্চিত।
সমাবেশে উপস্থিত রয়েছেন- বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ড. আব্দুল মঈন খান, বেগম সেলিমা রহমান, ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল আউয়াল মিন্ট, চেয়ারপারসনে উপদেষ্টা আমান উল্লাহ আমান, বিএনপি নেতা খায়রুল কবির খোকন, ফজলুল হক মিলন, শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানী, নাজিম উদ্দিন আলম, মীর শারাফাত আলী সপু, তাবিথ আউয়াল, স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এসএম জিলানী, সাধারণ সম্পাদক রাজিব আহসান,কৃষক দলের সভাপতি হাসান জাফির তুহিন, যুবদলের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মোনায়েম মুন্না, মহিলা দলের সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক হেলেন জেরিন খান, ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক একরামুল হাসান প্রমুখ উপস্থিত রয়েছেন।
টিএইচ