‘সরকার ভীতি প্রদর্শন করে বিরোধীদলকে নির্মূল করতে চায়’

মো. মাসুম বিল্লাহ প্রকাশিত: এপ্রিল ৬, ২০২৩, ০৪:২২ পিএম

সরকার গণতান্ত্রিক পরিসরকে সংঙ্কুচিত করে হত্যা, গুম, খুন সন্ত্রাসী কার্যকলাপের মাধ্যমে ভীতি প্রদর্শন করে বিরোধীদলকে নির্মূল করতে চায় বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

বৃহস্পতিবার (৬ এপ্রিল) দুপুরে বিএনপির চেয়ারপারসন গুলশান রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি একথা বলেন। গত ৪ এপ্রিল বিএনপি’র জাতীয় স্থায়ী কমিটির ভার্চুয়াল সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভার সিদ্ধান্ত জানাতে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে বিএনপি।

ভার্চুয়াল সভায় উপস্থিত ছিলেন জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ব্যরিস্টার জমির উদ্দিন সরকার, মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ড. আব্দুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী, সালাহ উদ্দিন আহমেদ, বেগম সেলিমা রহমান, ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু। মহাসচিব সিদ্ধান্তসমূহ বাস্তবায়নের অগ্রগতি সম্পর্কে সভাকে অবহিত করেন।

ফখরুল বলেন, সভায় ঢাকার বঙ্গবাজারে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে ব্যবসায়ীদের ক্ষয়-ক্ষতির জন্য দুঃখ প্রকাশ করা হয়। সভা মনে করে পর পর এই ধরনের অগ্নিকাণ্ডের বিষয় নিরপেক্ষ তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ না করার ফলেই ভয়াবহ দুর্ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটছে। সরকারের সংশ্লিষ্ট বিভাগের উদাসীনতা, অযোগ্যতা, দুর্নীতি ও নজরদারীর অভাবে ভয়াবহ পরিণতির স্বীকার হতে হচ্ছে সাধারণ মানুষকে।

তিনি আরও বলেন, সম্প্রতি জার্মান মিডিয়া ‘ডয়চে ভেলে’ স্যোশাল মিডিয়ায় র‍্যাবের অপকর্মের ডকুমেন্টারী প্রকাশিত হওয়ায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়। সভা মনে করে এই ডকুমেন্টারী প্রমাণ করেছে যে অনির্বাচিত সরকার আইন শৃংখলা বাহিনীকে অবৈধ ভাবে ব্যবহার করে ক্ষমতায় টিকে থাকতে চায়। অবিলম্বে সংবিধান বিরোধী, মানবাধিকার বিরোধী অপরাধ মূলক কর্মকাণ্ড বন্ধ করার জোর দাবি জানায়। সভায় র‍্যাবের বেআইনীভাবে গুম, হত্যা ও বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের তীব্র নিন্দা জানায় এবং এই সব সংবিধান ও মানবাধিকার লংঘনের জন্য দায়ী সরকারের পদত্যাগ দাবী করে।

সভায়, সম্প্রতি নওগাঁয় র‍্যাব কর্তৃক সরকারি প্রতিষ্ঠানের নারী কর্মকর্তা সুলতানা জেসমিনকে বেআইনী ভাবে তুলে নিয়ে নির্যাতনের মাধ্যমে হত্যার তীব্র নিন্দা জানায় এবং অবিলম্বে দায়ী র‍্যাব কর্মকর্তা, সরকারের যুগ্ম সচিব আজিজুল হকের বিরুদ্ধে যথাযথ শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের দাবী জানায়। সভায় এ বিষয়ে জনমত গড়ে তুলোর জন্য যথাযথ কর্মসূচি প্রদানের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।

তিনি আরও বলেন, সভায়, ডিজিটাল সিকিউরিটি এ্যাক্ট প্রয়োগ করে জনগণের স্বাধীন মতপ্রকাশ স্বাধীনতা হরণ, গণমাধ্যমের স্বাধীনতা হরণ, সাংবাদিক এবং নাগরিকদের বিরুদ্ধে মামলা, গ্রেপ্তার ও নির্যাতনের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানানো হয়।

এছাড়ায় প্রথম আলো সম্পাদক মতিউর রহমান, আমার দেশ সম্পাদক মাহমুদুর রহমান, যায়যায়দিন সম্পাদক শফিক রেহমান, দৈনিক সংগ্রামে পত্রিকার সম্পাদক মো: আবুল আসাদ সহ অন্যান্য সাংবাদিক এবং নাগরিকদের নির্যাতনের বিরুদ্ধে জনমত গড়ে তোলার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। অবিলম্বে এই নিবর্তন মূলক কালো আইন, ডিজিটাল সিকিউটিরি আইন বাতিলের দাবী জানানো হয়।

এআরএস